ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কমিশন উদ্বিগ্ন নয়: ইসি আলমগীর
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/May/20/1716192102157.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
বর্তমান কমিশনের সময়ে সবগুলো ভোটই শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, ভোট পড়লেই খুশি।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, আগামীকাল দেশের ১৫৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। ভোট সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে কমিশন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে। ভোটাররাও আগের নির্বাচন যেহেতু শান্তিপূর্ণ হয়েছে তাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবে।
দেশে ভোটের হার দিন দিন কমছে, এর দায় দলগুলোর ওপর দিচ্ছেন, ইসির কোনো দায় আছে কি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের প্রথমেই দায় দিতে হবে ভারতের ওপর। কেননা, সেখানে সব দল অংশ নিচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা নিয়ে কোনো সমস্যা নাই, কোনো বিতর্কও নাই। কিন্তু সেখানে ৬০ ভাগ ভোট পড়ছে। তাহলে এখানে কি নির্বাচন কমিশন দায়ী। সেটা আপনারা যদি বলতে পারেন ভারতের নির্বাচন কমিশন দায়ী, তাহলে আমরাও দায়ী। তাদের দায়ী না করলে আমরাও দায়ী না।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের হার বেশি হলে আমরা খুশি, কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই। আমরা সবটাতেই সন্তুষ্ট। কেননা, ভোটের হার টার্গেট করা নাই। ফ্রান্সের নির্বাচনে যেমন বলা আছে এতো শতাংশ ভোট না পড়লে আবার নির্বাচন হবে। তুরস্কে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে এরকম। নির্বাচনে যদি সংবিধানে যেটা বলে দিয়েছে যে এতো শতাংশ ভোট পড়তে হবে,সেটা না হলে ফের নির্বাচন হবে। আমাদের এরকম আইন নাই। তাই যেকোনো হার হলেই আমরা খুশি।
ভোটের হার বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ইসির কাজ না। অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যারা স্থানীয় সরকার নিয়ে কাজ করে, তারা গবেষণা করে প্রতিবেদন সরকারের কাছে দেবে। আমাদের গবেষণা করার দক্ষতা বা সক্ষমতা নাই। আমরা গবেষণা করলে সেই গবেষণা তো আপনারা বিশ্বাস করবেন না। গবেষণা করতে হবে তৃতীয় পক্ষ থেকে।
বিএনপির ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। যে কোনো দল ভোটে অংশ নিতে পারে, বিরত থাকতে পারে, ভোটারদেরও আহ্বান করতে পারে। তবে সেটা যেন শান্তিপূর্ণভাবে হয়। সহিংস কর্মকাণ্ড করলে সেটা তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। শান্তিপূর্ণভাবে তারা প্রচার করলে কেউ বাধা দিতে পারবেন না।