কেএনএফ'র আরও ২ সদস্য কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
কেএনএফ'র আরও ২ সদস্য কারাগারে

কেএনএফ'র আরও ২ সদস্য কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য লাল সিয়াম লম বম (৬০), নারী উইংয়ের সদস্য সেবা লাল নুং বম (১৮)-কে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে দুই আসামিকে বান্দরবান সদর থানা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মো. নুরুল হক।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানচি থানার ৩নং মামলায় ২ আসামিকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৬টায় র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা বান্দরবান সদরের লাইমি পাড়া এবং ফারুক পাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে লাল সিয়াম লম বম (৬০) ও সেবা লাল নুং বমকে (১৮) গ্রেফতার করে। তারপর রাতে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।

এপর্যন্ত মোট ৮৬ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ৮৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন।

   

লোকসানে চামড়া বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটেঁ চামড়ার কেনাবেচা জমেনি।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হাটঁ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাহিরের জেলাগুলো থেকে বড় ব্যবসায়ীরা ও চামড়ার ক্রেতারা না আসায় প্রায় ক্রেতাশূন্য ছিল এ হাট।

যশোরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করতে আসা ব্যাপারীদের অভিযোগ, সরকার ট্যানারী মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও খোলা বাজারে সে দামের সাথে কোন মিল নেই।

যশোরের কেশবপুর থেকে ৭টা ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন চন্দর দাস। তিনি বলেন, '৭টা চামড়া খরচসহ কেনা দাম পড়েছে ৭৮০ টাকা। বিক্রি করতে আসলে ক্রেতারা ৭টা চামড়ার দাম বলছে ১৫০ টাকা।

মনিরামপুর থেকে ১৪০ পিস ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছেন সঞ্জয় কুৃমার। তিনি বলেন, '১৪০ পিস চামড়ায় কেনা খরচসহ ২৫০০ টাকা। প্রতি পিচ চামড়ার দাম বলছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লোকসান গুনেই চামড়া বিক্রি করে দিতে হচ্ছে।

যশোর শহরের তালতলা এলাকার চামড়া ব্যাপারী সুবদ দাস বলেন, আমি গতকাল ১৭ পিস কোরবানির গরুর চামড়া ১১০০ টাকা করে প্রতি পিস কিনেছি। বিক্রি করতে আসলে ক্রেতারা দাম বলছে ৯০০, সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকা। আমরা চামড়া ব্যাপারীরা এবার শেষ।

তিনি বলেন, 'অনান্য বছর বাহিরের জেলা থেকে ৫০-১০০ জন ক্রেতা ও বড় বড় ব্যবসায়ীরা আসে। এ বছর বাহিরের জেলা থেকে বড় ব্যবসায়ীরা না আসায় ঈদ পরবর্তী আজ প্রথম হাটেঁ চামড়ার দাম কম। তাছারা বর্তমানে সবাই মাদ্রাসায় চামড়া দান করে দেয়। এজন্য কেউ গরজ করে চমড়া ছাড়ায় না, চামড়া ছাড়াতে গিয়ে চামড়ায় ফুটো-ফাটা করে ফেলে যার কারণে অধিকাংশ চামড়া চাতিল বলে ফিরিয়ে দেয় ক্রেতারা।

স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী ও ক্রেতা পদীপ দাস বলেন, ট্যানারী মালিকরা আমাদের অনেক টাকা আটকে রেখেছে। তা বাদে তারা অনেক চামড়া ফিরিয়ে দেয়। ফলে আমাদেরও লোকসানে পড়তে হয়। এজন্য চামড়ার দাম কম।

আরেক ক্রেতা শিবপদ দাস বলেন, 'আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ী। আমরা চামড়া কিনে ঢাকায় পাঠাই, আমাদের বহন খরচ আছে। তারপরেও আমাদের অনেক চামড়া তারা বাতিল বলে ফিরিয়ে দেয়। লবনের দাম বেশি, চামড়া সংরক্ষণে খরচ বেশি। তাছাড়া ট্যানারী মালিকরা আমাদের টাকা বাকি রাখায় আমরা ব্যাপারীদের কাছ থেকে ভালো দামে চামড়া কিনতে পারি না।'

রাজারহাট চামড়া মোকামের ব্যবসায়ী নেতা আমিনুর পলাশ বলেন, আজকে ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটেঁ চামড়ার দাম কম। বাহিরের জেলা থেকে ক্রেতারা আসেনি। অনান্যবার, নাটোর, পাবনা, ঢাকা, কুষ্টিয়া থেকে ক্রেতারা আসে। আমরা তারপরেও চেষ্টা করছি সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া কিনে ঢাকায় সরবরাহ করতে। আশা করি আগামী শনিবার সামনের হাঁটে বাজার জমজমাট হবে।

;

প্রস্তুত সাভার চামড়া শিল্পনগরীর সিইটিপি, হবে আরও দুটি: শিল্প সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপিকে পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সাভারের হেমায়েতপুরের বিসিক চামড়া শিল্প নগরী পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সচিব বলেন, এবার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপিকে পুরোপুরি প্রস্তুত ও কার্যকর করা হয়েছে। এর সবগুলো মডিউলকে ওভারহোলিং তথা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও মেরামতপূর্বক ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দিয়ে তরল বর্জ্যকে পরিশোধন করা হয়েছে। তাছাড়া বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট ব্যবস্থা চালু রয়েছে। প্রাথমিক পরিশোধন ছাড়া যাতে কোনো ট্যানারির বর্জ্য সিইটিপিতে আসতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের পুরো টিম নিয়ে আমরা এখানে এসেছি। এখানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আছেন বিসিকে চেয়ারম্যান আছেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা রয়েছেন আমরা সবাই মিলে এসেছি মূলত গতকাল কোরবানির সেটির যে চামড়া আনা হয়েছে তা দেখতে। এখানে যে সিইটিপি রয়েছে, তা পুরোপুরি প্রস্তুত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটি সরেজমিনে দেখতে আমরা এখানে এসেছি।

তিনি আরও বলেন, সব সময় বলা হতো, সিটিভি কার্যকর নয় সিইপিটি কার্যকর হচ্ছে না এসব কারণে আমাদের আউটলেটে যে পানি রয়েছে বা স্যাম্পল যেটা হচ্ছে সেটার মানমাত্রা বেশি হচ্ছে, সেই জায়গা নিরসন করতে পারি তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আমরা কাজ করছিলাম আমরা বলেছি। সিইটিপির যে মডিউল গুলা সেটির সবগুলোকে ওভারহোলিং করা হয়েছে। বায়োলজিক্যাল যে সব কাজ ছিল, সেগুলোকে আমরা লাইভ করেছি বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট এর উদ্দেশ্যে। আর যেটা করা হয়েছে হলো- পানির পিউরিফাই করার জন্য ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা সেটা আমরা করেছি।

জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রতিটি ট্যানারি মালিককে বলা হয়েছে, তারা কোনোভাবেই অন ট্রিটমেন্ট ভাবে কোন পানি যদি ছাড়ে, তাহলে তাদের আর কোনো পানি দেবে না কর্তৃপক্ষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পেরেছি পুরো সিইটিপি ঘুরে দেখেছি, গত কয়েক বছর ধরে আমরা উন্নতি করছিলাম, এই সিইটিপিতে বারবার এসেছি। সব সংশ্লিষ্টরা মিলে যে টাস্ক ফোর্স সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হলো, সেটি দেখেছি।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি, লবন মাখানো ছাড়া কেনো চামড়া ঢুকবে না। সেটিও দেখলাম, এবার উন্নতি হয়েছে। গত ৬৩ বছরের মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ পরিমাণ ২৪ লাখ ৩৭ হাজার টন। ফলে লবনের সঙ্কট নেই। আর এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তৃণমূলে প্রচারণা করা হয়েছে। কারণ আমাদের সিইটিপির যে কার্যক্ষমতা ২৫ হাজার লিটারের মতো, সেটির ওপর চাপ কম পড়বে। এজন্য বলেছি, ঢাকার বাইরের চামড়া সাত দিন এখানে ঢুকবে না। ফলে ক্রমান্বয়ে চামড়া এলে সিইটিপির ওপর একবারে চাপ তৈরি হবে না। এটার ভালো ফল আমরা এরমধ্যে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঢাকায় সিইটিপি-২ ও চট্টগ্রামে আরও একটি সিইটিপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি করা গেলে, আমাদের সারা বছরের চামড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা, কোরবানির সময় এক কোটি আর সারা বছর আরও এক কোটি, মোট দুই কোটি চামড়া প্রসেসের জন্য যত ধরনের ক্যাপাসিটি প্রয়োজন, তা আমরা অর্জন করবো।

সচিব বলেন, এলডব্লিউজির সক্ষমতা অর্জন করতে আমরা কাজ করছি। বেশ কয়েকটি ট্যানারি এরইমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট চালু করেছে। এভাবে সব ট্যানারি যদি ক্রোম রিকভারি ইউনিট চালু করে, আমরা এতে এগিয়ে যাব।

তিনি বলেন, চামড়া শিল্পের বিষয়ে হাইকোর্টের চারটি নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হচ্ছে। বড় ট্যানারিগুলো ইতোমধ্যে ক্রোম রিকভারি ইউনিট (সিআরইউ) স্থাপন করেছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের মধ্যে ক্রোমিয়াম ও বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) ছাড়া অন্যান্য প্যারামিটারগুলো নির্দিষ্ট সীমার মধ্যেই রয়েছে। পরিশোধন করা তরল বর্জ্যের সঠিক মান নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও আমাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে।

পরিদর্শনকালে বিসিকের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মো. শামীমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

চুয়াডাঙ্গায় বাস মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজ হোসেন (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন মোটরসাইকেলের ওপর আরোহী সজিব (১৮)।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনে বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বেলালমারী মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজ হোসেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ি মাদ্রাসাপাড়ার মজনু মিয়ার ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আহত সজিব একই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে।

নিহত রাজের বন্ধু ফয়সাল বলেন, মঙ্গলবার সকালে বন্ধুরা মিলে মোটরসাইকেলযোগে কুষ্টিয়ায় ঘুরতে গিয়েছিল। অন্যরা অনেক আগেই ফিরে এলেও রাজ ও সজিব পরে আসে। বিকেল পাঁচটার দিকে তারা বোয়ালামারী পৌঁছালে সামনে থেকে আসা রয়েল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হয়ে সজিব প্রাণে বাঁচলেও ঘটনাস্থলেই রাজের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা একটি পাখিভ্যানযোগে রাজ ও জখম সজিবকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জোবায়দা জয়া বলেন, 'আমরা রাজ নামের এক যুবককে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসপাতালে নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। সজিবের মাথা ও একহাতে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, 'যাত্রীবাহী পরিবহন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজ নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না পেলেও এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে।'

;

দরজায় কড়া নাড়ছে কুড়িগ্রামের বন্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব অঞ্চলের তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। যেকোন সময় এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করবে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টায় পাউবো’র দেয়া তথ্যমতে,গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩৮ সে.মি, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৩৭ সে.মি. তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ০২ সে.মি. ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৪৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়,গত ২৪ ঘন্টায় জেলার উত্তরদিকে দুধকুমার পয়েন্টে ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন জেলায় বজ্রসহ ভারীবৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, উজানে ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদী গুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘন্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, জেলায় প্রাথমিকভাবে বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে ১৭ লাখ টাকা ও ১৮০ মেট্রিক টন জিআর চাল মজুদ আছে। উদ্ধারের জন্য বেশ কিছু নৌকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

;