পাচারকালে প্রায় ৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ, বিএসএফের হাতে আটক ৪



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পাচারকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬ কেজির ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ ও ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জব্দ করা স্বর্ণের বার গুলির ওজন ৫ কেজি ৮শ ৪০ গ্রাম এবং এর বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ১শ ৬৫ টাকা।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এক বার্তায় আটকের এ তথ্য সংবাদকর্মীদের জানায়।

বার্তায় জানানো হয়, বুধবার কয়েক ধাপে পাচার কালে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের একজন হলেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শরীয়তপুরের মাতবরকান্দি উপজেলার আব্দুল হোসেন মোল্লার স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। বেনাপোল কাস্টমস পার হয়ে ভারতে ঢোকার পর দিলরুবা আক্তারের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যদের। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার শরীরের পায়ুপথ থেকে দুটি স্বর্ণবার জব্দ করেন পেট্রাপোল কাস্টমসে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা।

এছাড়া একই দিন পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাস থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে ১৮টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। এরা হলেন- উত্তর ২৪ পরগণার পশ্চিমবঙ্গের আকারে অবস্থিত ধাকপাদা গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে তাপস রায় ও কোরবাগার জেলার নামনগর গ্রামের অনুপ লুমার ছেলে অভিজিৎ। অন্যদিকে, একই সময়ে পেট্রাপোল বন্দর থেকে ভারতীয় ট্রাকচালক পোলতা গ্রামের দিলীপ মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলকে ৩০টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। তিনি বেনাপোল বন্দর থেকে মনসুর শেখ নামে এক ব্যক্তির দেওয়া ৩০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ট্রাকে লুকিয়ে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণবারসহ পাচারকারীদের আটকের বিষয় জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের জানান, আটক চোরাকারবারি ও জব্দ করা স্বর্ণের বিস্কুট পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ, পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এ বিএসএফ কর্মকর্তা।

জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমসের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। তবে স্বর্ণ নিয়ে নির্বিঘ্নে বেনাপোল পার হয়ে গেলেও পেট্রাপোলে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন ধরা পড়ছে চোরাকারবারিরা।

জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়, বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম।

এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন- কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো তিনটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় গেল ছয় মাস ধরে স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন চোরাচালানে।

বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী, সেটির ব্যয় কাস্টমসের বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং তিনটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

 

   

কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাজার মনিটরিংয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাজার মনিটরিংয়ে জোরালোভাবে নজর দিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কিছু পণ্যে বাজারে জোগানের সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরু করার জন্য বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।

;

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

টিকাদানে ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম চালু করল চসিক

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুদের টিকাদানের ইপিআই কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্লাটফর্মে রূপান্তরের মাধ্যমে এক বছরের নিচে সকল শিশুকে চিহ্নিত করা এবং আরও নিখুঁতভাবে অধিকতর কভারেজের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে টিকাদান কার্যক্রমে ই-ট্র্যাকার চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

সোমবার (২০ মে) নগরীর পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে ইউনিসেফের সহায়তায় এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ইমিউনাইজেশন ই-ট্র্যাকারের মতো একটি আধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রমে সংযোজন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। ইতোমধ্যে ভেকসিন হিরো'র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমের সাফল্য। ই-ট্র্যাকার চালুর মূল উদ্দেশ্য নগরীতে টিকা না পাওয়া বা কম পাওয়া এবং ভাসমান শিশুদের খুঁজে বের করে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা। আমরা টীকাদানকে শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই।

'চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই কার্যক্রম অধিকতর জোরদারকরণের লক্ষ্যে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে ইপিআই E-Tracker এর কার্যক্রম ১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ২০ এপ্রিল থেকে GIS-Based Online Microplanning & Reporting ইপিআই কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৩ হাজার শিশুকে SMART HEALTH BD এ্যাপ-এর মাধ্যমে নিবন্ধন করা হয়েছে। আজ এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল।'

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান মায়া ভেন্ডেন্যান্ট, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যানার্জী, চসিকের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা। প্রেজেন্টেশন স্থাপন করেন ইউনিসেফ এর হেলথ্ স্পেসালিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদ।

উপস্থিত ছিলেন-চসিকের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ্ আহম্মদ চৌধুরী, সলিম উল্লাহ বাচ্চু, নাজমুল হক ডিউক, মো. ইসমাইল, সফিউল আজিম, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, জাফরুল হায়দার চৌধুরী সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা বেগম নুরজাহান।

;

বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণপদক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক চালু করেছে সরকার। প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা) পাবেন। এছাড়া তাকে ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদক দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

মাহবুব হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুব রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নীতিমালা করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই আলোকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ (খসড়া) প্রস্তুত করা হয়। ২০ মে বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা, যুদ্ধ নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ ও অবদান রাখা, দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখা, টেকসই সামাজিক পরিবেশগত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ সাধন- পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কোন দেশের সরকার, রাষ্ট্রপ্রধান বা সেই দেশের সংসদ সদস্যরা প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি যত দূতাবাস রয়েছে সেই দূতাবাসের প্রধানরা বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশন বা দূতাবাসের প্রধানরাও প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন। জাতিসংঘের কোনও সংস্থা প্রধানও নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। তবে কোনও ব্যক্তি নিজে পুরস্কারের জন্য দাবি জানাতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে (১৭ মার্চ) পুরস্কারের নাম ঘোষণা করা হবে, আর নিকটতম সময়ে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে।

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় জুলিও কুরি পদক। সেই পদক প্রাপ্তির ৫২তম বার্ষিকী হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে পান শান্তি পদক জোলিও কুরি।

;

রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদেরকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে রংপুর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপ প্রধান নগরের কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার, মোবারক আলম ও শাহ আলম।

তাদের মধ্যে জাহিদকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড ও ছয় হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড এবং মোবারক ও শাহ আলমকে চার বছর করে কারাদণ্ড ও চার হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে র‌্যাব-১৩ এর একটি দল রংপুর নগরের কেরানীপাড়ার আব্দুল্লাহর ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসারের বাড়িতে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য একত্রিত হয়েছেন বলে জানতে পান। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সময় জাহিদ আটক হলেও অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। অভিযানে র‌্যাব জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত গান পাউডার, মোটরসাইকেলের বল বিয়ারিং, পুরাতন ক্যাপাসিটর, স্কচটেপ, ইলেক্ট্রিক তার, ব্যাটারি ও মোবাইল সেট জব্দ করে। সেই সঙ্গে জাহিদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বোমা তৈরির পদ্ধতি, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা সংক্রান্ত নানা তথ্যাবলি পায় র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব জাহিদ ও তার সহযোগীদের আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরে পলাতক আসামি মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে তাদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার এ রায় দেন বিচারক।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার।

;