কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা, বেঁকে গেছে গার্ডার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুতে একটি পণ্যবাহী নৌযান (লাইটার) ধাক্কা দিয়েছে। এতে সেতুর নিচের দিকে থাকা গার্ডার বেঁকে গেছে। তবে দক্ষিণে রেল চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুর তেমন ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সেতুর নগরপ্রান্তে জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের দিকে মেসার্স রোকোনুর মেরিটাইম লিমিটেডের একটি পণ্য পরিবাহী নৌযান সেতুতে ধাক্কা দেয়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মেহেদি হাসান জানিয়েছেন, সেতুতে এখন ওয়াকওয়ের কাজ চলছে। জাহাজের ধাক্কায় সেখানে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি সেতুর নিচের দিকে থাকা গার্ডারগুলোও কিছুটা বেঁকে গেছে।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম উল্লাহ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাহাজটি নোঙর করা ছিল। কিন্তু তীব্র বাতাস জোয়ারের কারণে ভেসে গিয়ে জাহাজটি সেতুতে গিয়ে ধাক্কা দেয়। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতু কেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটি দেখতে রেলওয়ের কর্মর্কতারা পরিদর্শন করেছেন, তারা বলতে পারবেন। জাহাজটি সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হচ্ছে।

তবে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিশান দত্ত জানিয়েছেন জাহাজের ধাক্কায় সেতুর বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজটি সরানোর পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা জানা যাবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণের পর বোঝা যাবে ক্ষতি কতটা।

১৯৩১ সালে কালুরঘাট রেলসেতুটি নির্মিত হয়। এরপর ১৯৬২ সালে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এই সেতুটি। সেতুটির মেয়াদ অনেক আগে ফুরিয়ে গেলেও সংস্কার করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট সেতুটির বড় ধরনের সংস্কারকাজ শুরু হয়। বর্তমানে কালুরঘাট সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে তিন জোড়া ট্রেন চলাচল করছে।

   

রংপুরে হিটস্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে তীব্র তাপদাহে হিটস্ট্রোকে ফজু মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। ফজু মিয়া বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর বালাচওড়া এলাকার বাসিন্দা।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে স্থানীয় চাপড়ার দোলায় (বিল) নিজের জমিতে ধান কাটতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে সেখানেই মৃত্যুর হয় তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফজু মিয়ার ছেলে রোকছানুল হক।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, গত দু’দিন ধরে রংপুর অঞ্চলে ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।

;

কবুতরপ্রেমীদের মিলনমেলা যেন গুলিস্তান



খন্দকার আসিফুজ্জামান, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহের এই সময়ে রোদের প্রখরতায় জ্বালা করছে শরীর, কিন্তু সেদিকে যেন কারো কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। সবার নজর রাস্তার দুই ধারে খাঁচায় সারিবদ্ধ করে রাখা রঙ-বেরঙের নানা প্রজাতির কবুতরের দিকে। এ যেন কবুতরপ্রেমীদের এক মিলনমেলা। বলছি, গুলিস্তান হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তায় গড়ে ওঠা কবুতরের হাটের কথা।

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে কাপ্তান বাজার এলাকায় রাস্তার দুই ধারে প্রতি শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় কবুতরের এই হাট। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে কবুতরপ্রেমীরা বিক্রির জন্য তাদের পোষা নানান প্রজাতির কবুতর নিয়ে আসেন এই হাটে। সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে থাকা এই হাট, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ক্রেতা, বিক্রেতা ও স্থানীয়দের মতে শহরের সবচেয়ে পুরনো এবং সর্ববৃহৎ কবুতরের হাট এটি।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাপ্তান বাজার এলাকার রাস্তার দুই ধারে কবুতর ভর্তি খাঁচা সাজিয়ে বসে আছেন অনেকেই। আবার কেউ সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানে করেও কবুতর নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসেছেন পছন্দ অনুযায়ী কবুতর সংগ্রহ করতে।

গুলিস্তান কবুতর হাটে এত উপস্থিতির কারণ জানতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দামে কম, মানসম্পন্ন উন্নত জাতের সব ধরনের কবুতর এই হাটে পাওয়া যায়। জোড়াপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে জোড়াপ্রতি ২০ হাজার টাকার কবুতর মেলে এই হাটে। যে কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে থাকে গুলিস্তানের কবুতরের এই হাট।

কবুতরপ্রেমীদের ভাষায়, এই বাজারে বিভিন্ন জাতের কবুতর যেমন, মিলি রেসার, সিরাজী, বোম্বাই, সবুজ গোল, লক্ষা, গ্রিজেল, বোগদাদি, সবজি রেসার, আর্মি, গিরিবাজ, পোটার জাতের কবুতর (সাদা, কালো ও হলুদ), জগা পিনসহ দেশি বিভিন্ন জাতের কবুতর পাওয়া যায়।

এই বাজারে মিলি রেসার কবুতর বিক্রি করা হচ্ছে ১২০০/১৫০০ টাকা, লাহোরি সিরাজী ২৫০০/৩০০০ টাকা, বোম্বাই ৫০০/৭০০ টাকা, লক্ষা ১০০০/১৫০০ টাকা, গ্রিজেল রেসার ১৫০০ টাকা, বোগদাদি হোমা ৮০০/১৫০০ টাকা, সবজি রেসার ১৮০০/২০০০ টাকা জোড়াপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া, জাত, আকার আকৃতি, রঙ অনুযায়ী একজোড়া সবুজ গোল কবুতরের দাম ৫০০/৫০০০ টাকা ও আর্মি রেসার জোড়া প্রতি ৪০০০/২০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয় বলেও জানান গুলিস্তান কবুতর হাটের বিক্রেতারা।

বর্তমানে কবুতরের দাম একবারেই কমে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, যে কবুতরে দাম ছিল আকাশচুম্বী, তার আজকের বাজারে দাম নাই বললেই চলে।

৩৬ বছর যাবত কবুতর পোষেন যাত্রাবাড়ীর গোপাল ঘোষ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শখের বসে কবুতর পালন শুরু করেছিলাম। নেশা হইয়া গেল, আর ছাড়তে পারলাম না। তবে কবুতরের আর সম্মান নাই। গত দুই এক বছর আগেও যে কালা বিউটি একজোড়া কবুতর বিক্রি করেছি ৫০,০০০০ থেকে ৬৫,০০০ টাকায় আজকের বাজারে সে কবুতরের দাম ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।

দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কবুতরের খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার পর আমাদের অজান্তেই কবুতরের দাম হুট করে নেমে গেছে; সম্ভবত ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে।

সানারপাড়ের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন। মোটরসাইকেলে করে তিনিও খাঁচায় বেশকিছু কবুতর নিয়ে হাটে এসেছেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি কবুতর পালন করেন। পেশায় তিনি চাকরিজীবী। শখের বসেই তার কবুতর পালন। এই কবুতর পালন করেই সানারপাড় এলাকায় বাড়ি করেছেন বলে জানান তিনি।


মনির হোসেন বলেন, শখের বসে কবুতর পালতে এসে একসময় নেশা হয়ে যায়। তারপর থেকে বন্ধুবান্ধবদের সাথে আড্ডা বাদ দিয়ে অবসরে কবুতর পালনে সময় দিই। কষ্ট আছে, কিন্তু শ্রম দিতে পারলে লাভও আছে। এই কবুতর পালনের টাকা দিয়াই সানারপাড় বাড়ি করছি, ৩টা মোটরসাইকেল কিনছি। যে মোটরসাইকেলের উপর কবুতর রাখা দেখতাসেন, এটাও এই কবুতর বিক্রির টাকায় কেনা।

রাজস্থানের খিলগাঁও থেকে কবুতর কিনতে এসেছেন শিক্ষার্থী আবির রহমান। আলাপচারিতায় আবির জানান, তার সংগ্রহে বর্তমানে ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২,৫০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা।

আবির বলেন, আমার সংগ্রহে যে কবুতরগুলো রয়েছে তা খুব দামি না। আমার ইচ্ছা এখন থেকে দামি কবুতর সংগ্রহে নেওয়া। আজকে এই হাটে আসার কারণও তাই। আমার হাতে যে কবুতরটা দেখছেন এটা আর্মি রেসার। এই জোড়াটা কিনেছি ৫,৫০০ টাকায়। কবুতর পালা এখন নেশার মতো কাজ করে। এখন আর আড্ডা ভালো লাগে না। কবুতর নিয়াই থাকি সারাদিন।


গুলিস্তান কবুতর হাটের ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাদের ভেতরে হাট ব্যবস্থা নিয়ে চাপা কষ্ট রয়েছে বলে জানান কিছু ব্যবসায়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে জানান, কবুতর বিক্রি হোক বা না হোক, এই হাটে বসতে হলে ব্যবসায়ীদের খাঁচা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, আবার কখনও তার বেশি ইজারাদারকে দিতে হয়। যা ব্যবসায়ীদের উপর অনেকটা জুলুম হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, যারা এই হাট থেকে কবুতর কিনবে তাদেরও কবুতরের দাম অনুযায়ী শতকরা ১০% হারে ইজারাদারকে হাসিল দিতে হয় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এই অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন রাজধানীর পুরনো এবং সর্ববৃহৎ কবুতর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে বলেও বার্তা২৪.কমকে জানান হাটে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে ইজারাদারের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি এবং ইজারাদারের পক্ষে হাট থেকে টাকা আদায়কারীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনিও কথা বলতে রাজি হননি।

;

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। এ নিয়ে জানুয়ারি থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া একজন রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯ জন। আর ঢাকার বাইরের ৩ জন। 

আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫ জন ও নারীর সংখ্যা ৭ জন। 

এ সময়ের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৩ জন। আর মোট বাড়ি ফিরেছেন দুই হাজার ৪১৩ জন। 

;

ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকে ধর্মান্ধরা সমাজকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যার যার ধর্ম তার তার কাছে থাকবে এটা নিয়ে হিংসা করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী শ্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।

শুক্রবার (১৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। আলোচনা সভায় ভূমিমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পরে মৌলবাদের যে প্রভাব শুরু হয়েছে সেটি এখনো পর্যন্ত কন্ট্রোলে নিয়ে আসা যায়নি। আজকে তারা পহেলা বৈশাখকে বিতর্কিত করতে চায়। আমাদের নতুন প্রজন্ম এই পহেলা বৈশাখকে গ্রহণ করতে চায়; কিন্তু তারা এটা চায় না।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িকতা ছিল, বর্তমানে সেটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মিথ্যাচার করা হচ্ছে সেটি অসাম্প্রদায়িকতার পরিপন্থী। নির্বাচনের সময় যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরী হয় সেটি আমরা কখনোই চাই না। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা যা-ই বলি না কেন; কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। সামাজিক শক্তি আমাদের এখানে খুবই দূর্বল হয়ে গেছে। সমাজ এখন মৌলবাদের হাতে চলে গেছে। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। সরকার যেভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স হয়েছে, আমরা চাইবো এই অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চাই। আমাদের যে শক্তি আছে আমরা কখনোই চাই না সেটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাক

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুর সংখ্যা এখন একেবারেই কম। আমরা প্রায় পাকিস্তানের সমানে হয়ে এসেছি। আমাদের উপরে যে আচরণ করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেগুলোর বিচার তেমন হয় না। অসাম্প্রদায়িকতা এখন আর নেই। এদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে সাম্প্রদায়িক দেশে তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাস গুপ্ত, নাট্যকার শ্রী রামেন্দু মজুমদার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. বিরেন সিকদার, অর্থনীতিবিদ ড. দেব প্রিয় ভট্টাচার্য, প্রফেসর ড. মেজবাহ কামাল প্রমুখ।

;