গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আহবান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয় বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয় তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরণের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। যত্রতত্র এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করার জন্য তিনি আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে এসময় তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোন চ্যালেঞ্জই মোকাবেলা করা অসম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার নীতি আদর্শ তথা কৃষি দর্শন এবং তাঁরই উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকৌশলের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথ ধরে অনুন্নত দেশ থেকে ইতোমধ্যেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।

জাতির পিতা উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মেধাবী ছাত্রদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করতে কৃষিবিদগণকে প্রথম শ্রেনীর মর্যাদা প্রদান করেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিয়েছিলেন সেটা মাথায় রেখে কাজ করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।

অধিকতর গুনগত উৎপাদনের প্রতি ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধি, হাইব্রীড জাত নির্বাচন এবং সংরক্ষণ, আধুনিক জলবায়ু কৌশলের আবির্ভাব এবং গ্রীন-হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণ, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোক্তার পরিবর্তিত চাহিদা, জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ও ঝুঁকি মোকাবেলা এবং প্রাণিসম্পদ চাষাবাদের জন্যে নির্ধারিত জমির পরিমান কমে যাওয়াকে প্রাণিসম্পদ খাতের চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের সুযোগ্য নেতৃত্বে সংকট মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানগণের নিবিড় পরিশ্রমে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মিত হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি ক্ষমতায় থাকেন তাহলে তৃণমূল থেকে দেশকে গড়ে তুলে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের যে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা তিনি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে তিনি ভেটেরিনারিয়ানদের স্বীকৃতি দিবেন।

প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ জনাব সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ জনাব খায়রুল আলম প্রিন্স বক্তব্য প্রদান করেন।

   

কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ জানিয়েছে। তারমধ্য বড় কারণ বৃষ্টি ও হাওড় এলাকায় কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

এই কমিশনারের ব্যাখ্যায় মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরি আবহাওয়া, বিএনপি ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, যে ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরো কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।

এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আাবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এনিয়ে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে জন্য হয়েছে এটা বলা যাবে না, সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকেও জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পরিবর্তন হবে না এই নির্বাচনে। তাই দলগুলোকে ভোটের আসার জন্য আমরা আলোচনায় ডাকিনি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সকল দল আসলে ভোট পড়ার হার আরো বেশি হতো।

প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে হয়েছে ১১৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে।

;

চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করলে দাম কমবে: খাদ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এক কেজি চালও আমদানি করতে হয়নি। বরং উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়েছে। এখন আমরা অনায়াসে ৫-৭ লাখ টন চাল রফতানি করতে পারি, সে অবস্থা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের শুধু পালিশ করে যে চাল নষ্ট হচ্ছে সেটা অর্ধেক রপ্তানি করলেই হবে। কারণ উৎপাদিত প্রায় চার কোটি টনের মধ্যে তিন শতাংশ হারে প্রায় ১২ লাখ টন চাল পালিশ করার কারণে অপচয় হচ্ছে। আমাদের চাল পাঁচ দফা পালিশ করে চকচকে করা হচ্ছে। দুবার পালিশ করলেও ৫-৭ লাখ টন চাল বাড়বে।

তিনি বলেন, দফায় দফায় পালিশ করার পর চালের মধ্যে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া অন্য কোন পুষ্টি থাকছে না। এতে খরচ হচ্ছে বিদ্যুৎ, শ্রমিকের মজুরি সবকিছু মিলে প্রতি কেজিতে প্রায় চার টাকা। যে ভার ভোক্তাকে বহন করতে হচ্ছে। চালের দামে এ খরচ যুক্ত হচ্ছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা নতুন আইন করে এ পালিশ বন্ধ করছি, মিনিকেট বা বিভিন্ন নামে চাল বাজারজাত করাও বন্ধ করেছি। ভোক্তাদের আমি বলব, আপনারা চকচকে চাল খাওয়া বন্ধ করুন। তাহলে যেমন চালের দাম কমবে, আমরা চাল রপ্তানি করতেও সফল হব। এ আইন কার্যকর হওয়ার পর আগামী আমন মৌসুম থেকে চাল পালিশ করলে মিলমালিকরা জরিমানার শিকার হবে। আসুন সকলের প্রচেষ্টায় আমরা চাল রপ্তানির প্রস্তুতি নেই।

এদিকে দেশে এক অঙিনায় খাদ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্য পর্যটন নিয়ে ওই আটটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ এর আয়োজনে তিনদিনের এ আয়োজন চলবে শনিবার পর্যন্ত।খাদ্যমন্ত্রী এসব প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।

একযোগে শুরু হওয়া এসব প্রদর্শনী হচ্ছে, ৭ম ফুড বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৪র্থ ফুড প্যাক এক্সপো, ৭ম এগ্রো বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো এবং ৭ম পোল্ট্রি অ্যান্ড লাইভস্টক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১৫তম মেডিটেক্স বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ১০তম ফার্মা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো, ৮ম বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাব এক্সপো এবং ৭ম ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ট্যুরিজম অ্যান্ড সার্ভিসেস এক্সপো বাংলাদেশ।

কৃষি ও প্লাস্টিক শিল্প জগতের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম, উন্নত প্রযুক্তি, পণ্য এবং পরিষেবা বিষয়ক এ প্রদর্শনীসমূহে বাংলাদেশ, তুর্কিয়ে, ভারত, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও চীনসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১০০টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান, দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহযোগিতা বিষয়ক এ প্রদর্শনীসমূহে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, তুর্কিয়ে, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকাসহ ১৫টিরও অধিক দেশের প্রায় ১১২টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ।

আগামী ৯ মে থেকে ১১ মে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীগুলো উন্মুক্ত থাকবে।

;

পরিবহনে অবৈধ চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ১২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। রাজধানীর কোতয়ালী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, শশি গ্রুপের মূলহোতা মো. তৌকির আহমেদ ওরফে শশি (৩০), মো. সুমন (৩২), মো. আরিফ (২৭), মো. কামরান (২৪)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৩ হাজার ৪০ টাকা ও ৪টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া হানিফ গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. আবু হানিফ (৩৮), মো. মজিবুর রহমান ওরফে বাতাস (১৯), মো. শাহিন (২১), মো. শান্ত (২২), মো. লিটন (১৮), মো. সাগর ইসলাম (১৮), মো. শাহাদাত হোসেন (১৮), মো. রুবেল (৩২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ২০০ টাকা ও ৮ টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এম. জে. সোহেল বলেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) আনুমানিক মাধ্যরাত ২টা ৪৫ মিনিটে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. তৌকির আহমেদ ওরফে শশি সহ ৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।

এছাড়া র‌্যাব-১০ এর অপর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। এসময় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্র হানিফ গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা মো. আবু হানিফসহ ৮ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কোতয়ালী, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ

দক্ষতা ও সক্ষমতা উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ

  • Font increase
  • Font Decrease

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনস এর বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত পরিকল্পনা ২০২২-২০২৪ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ‘ক্রীড়া এবং মানবাধিকার’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয়।

উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কমনওয়েলথ ফোরাম ফর ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ইনস্টিটিউশনসের স্টিয়ারিং কমিটির একজন সদস্য।

এছাড়াও, গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মানবাধিকারের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ও প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনাকালে মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মানবাধিকার সুরক্ষার তাগিদে দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার উপরে গুরুত্বারোপ করেন।

;