সংগীতশিল্পীর আড়ালে মাদকের কারবার করতেন রেবেল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এনামুল কবির রেবেল

এনামুল কবির রেবেল

  • Font increase
  • Font Decrease

সংগীতশিল্পীর আড়ালে মাদকের কারবার করে ধরা পড়েছেন এনামুল কবির রেবেল।

কোটি টাকার মাদক ক্রিস্টাল মেথসহ (আইস) শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে এই সংগীতশিল্পীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, এনামুল কবির রেবেল ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের একজন সংগীতশিল্পী। তিনি সঙ্গীতের আড়ালে মাদকের কারবার করতেন।

তিনি বলেন, রেবেল মাদক ব্যবসায়ী মো. রিপন ওরফে লিটু ওরফে ভাইজানের হয়ে কাজ করতো। তার (রেবেল) দেওয়া তথ্যে বাড্ডা এলাকায় মো. লিটুর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে লিটুকে না পাওয়া গেলেও তার বাসা থেকে মাদকসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, লিটুর মাদক ব্যবসায় রেবেল ও তার গাড়িচালক অমি সহযোগিতা করতো। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিটুর মাদক ব্যবসায় সহায়তা করে আসছিল রেবেল।

তিনি আরও বলেন, একটি অনুষ্ঠান থেকে লিটুর সঙ্গে রেবেলের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

   

হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত ৫ হাজার এজেন্ট একাউন্ট বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগে ৫ হাজার ৭৬৬ জন এজেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্য হুন্ডি লেনদেনে জড়িত সন্দেহে ৫ হাজার ২৯টি এমএফএস এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ সংসদে জানান, বর্তমান সময়ে দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) ও ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে লেনদেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তিগত এই উন্নয়নের সুবিধা কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র অনলাইন জুয়া/বেটিং, গেমিং, ফরেক্স/ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং ও হুন্ডি মত অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ফলে একদিকে যেমন দেশ হতে মুদ্রা পাচার বেড়ে যাচ্ছে, অপরদিকে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছে এবং ফলশ্রুতিতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, অনলাইন জুয়া/বেটিং এবং হুন্ডির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ৫৮৬টি ব্যক্তিগত এমএফএস হিসাব বিএফআইইউ কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অভিযোগে ৫ হাজার ৭৬৬ জন এজেন্ট এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তারমধ্য হুন্ডি লেনদেনে জড়িত সন্দেহে ৫ হাজার ২৯টি এমএফএস এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে। সেইসাথে ১০ হাজার ৬৬৬টি এমএফএস এজেন্ট হিসাবের লেনদেন ব্লক করা হয়। হুন্ডির সাথে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে ২১টি মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান ও এদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৩৯টি হিসাবের তথ্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী সংসদে আরও জানান, অবৈধ হুন্ডি গেমিং, বেটিং সংক্রান্ত এক হাজার ৯৬টি ওয়েবসাইট, ১৮২ টি অ্যাপ ও এক হাজার ২ ফেইজবুক ফেইজের তথ্য বিটিআরসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।

 

;

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, চালক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, সাভার (ঢাকা)
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, চালক আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, চালক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় একটি আঞ্চলিক সড়কে অনিয়ন্ত্রিত মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর পরিচয় না মিললেও স্থানীয়দের সহায়তায় মোটরসাইকেল চালক ও ঘাতক মোটরসাইকেল আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংপুর-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কের ইউসুফ মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা ওই নারীকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সেখানে নেয়ার আগেই তিনি নিস্তেজ হয়ে পরেন। পুনরায় তাকে নারী ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা ঘাতক চালক ও মোটরসাইকেল আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন, রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার হাতিমপুর গ্রামের আ. হাদির ছেলে মো. রতন মীর। তিনি আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

নিহত নারীর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর হবে।

খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও ঘাতক চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, আমরা নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। মোটরসাইকেল জব্দ করে চালককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

আইসিএমএবি ও সিআইইউর মধ্যে সমঝোতা স্মারক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
আইসিএমএবি ও সিআইইউর মধ্যে সমঝোতা স্মারক

আইসিএমএবি ও সিআইইউর মধ্যে সমঝোতা স্মারক

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের একধাপ এগিয়ে রাখতে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউর) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে বুধবার (৮ মে) এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আইসিএমএবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আকতারুজ্জামান এবং সিআইইউর পক্ষে বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের সমঝোতা স্মারকে সই করেন। চুক্তিতে সিআইইউর শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিএমএবির নানান ধরণের কোর্সগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাড় এবং স্কলারশিপের সুযোগ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া আগামি দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে আর্থিক হিসাব-নিকাশসহ নানা ধরনের কাজের জন্য অভিজ্ঞ হিসাবরক্ষক বা ব্যবস্থাপক গড়ে তুলতে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সময়োপযুগী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী, আইসিএমএবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক মাহবুব উল আলম, সিবিসি শাখার চেয়ারম্যান প্রদীপ পাল, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, সিআইইউর ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমেদ চৌধুরী, বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ড. নুরুল আবসার, রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিআইইউর অ্যাকাউন্টিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ইমন কল্যাণ চৌধুরী।

;

কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে: ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ জানিয়েছে। তারমধ্য বড় কারণ বৃষ্টি ও হাওড় এলাকায় কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

এই কমিশনারের ব্যাখ্যায় মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরি আবহাওয়া, বিএনপি ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, যে ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরো কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।

এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আাবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।

সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এনিয়ে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে জন্য হয়েছে এটা বলা যাবে না, সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকেও জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পরিবর্তন হবে না এই নির্বাচনে। তাই দলগুলোকে ভোটের আসার জন্য আমরা আলোচনায় ডাকিনি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সকল দল আসলে ভোট পড়ার হার আরো বেশি হতো।

প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে হয়েছে ১১৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে।

;