ব্ল্যাকে টিকিট কিনে বিপাকে ১৩ যাত্রী, কালোবাজারির নাম 'জসিম'



মাসুম বিল্লাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বুড়িমারী (লালমনিরহাট) থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে দ্বিগুণ দামে ঢাকার টিকিট কিনেও যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে। হাতে টিকিট থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষের কাছে সাভ্যস্ত হতে হয়েছে বিনা টিকিটের অবৈধ যাত্রী হিসেবে। শুধু কি তাই? সিনেমার মতো যেন অভিনয় দেখতে থাকেন ট্রেনের অন্য যাত্রীরা। আর দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা পালন করে ক্যামেরাম্যান এবং সাংবাদিকের ভূমিকা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এমনই হতাশাজনক এক ঘটনা ঘটেছে ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেসে'। যাত্রীরা দ্বিগুণ মূল্য দিয়ে টিকিট কিনেও পড়তে হয়েছে তোপের মুখে। এদিন ট্রেন সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নের কোনও সদত্তোর দিতে পারেনি পাঁচ টিকিটে থাকা ‘ঞ’ বগীর ১৩ যাত্রী। তাদের মধ্যে দুই সন্তানসহ যেন দুমরে-মুচরে গেছেন এক নারীও। কারণ তাদের টিকিটগুলো ছিল ব্ল্যাকে ক্রয় করা।

কিভাবে পেয়েছেন এসব টিকিট?  এমন প্রশ্নের উত্তরে যাত্রীদের মুখে ছিল একটিই নাম 'জসিম'। প্রশ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রেতা কে এই জসিম?

এদিন বুড়িমারী এক্সপ্রেসে নাটোর যাচ্ছিলেন বার্তা২৪.কমের গাইবান্ধার এই প্রতিবেদক। তিনি গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন। এদিন বুড়িমারী এক্সপ্রেস রাত ১০ টা ৫৬ মিনিটে গাইবান্ধা রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে গিয়ে বোনারপাড়া স্টেশনে প্রবেশ করে রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে। সেখান থেকে ‘ঞ’ বগিতে বেশ কিছু যাত্রী ওঠেন। ট্রেনে উঠেই এক নারী যাত্রীসহ চারজন যাত্রীর মধ্যে আসনে বসা নিয়ে বিবাদ বাধে। কারণ তাদের হাতে থাকা টিকিটের প্রত্যেকটি টিকিটই ছিল একই আসন নম্বর। মূলত কোনটা কার আসন সেটিই নিয়েই বিবাদের শুরু হয়। পরে উপস্থিত যাত্রীদের সহায়তায় বিষয়টির সমাধান হয় এবং ঞ- ৫, ৬, ৭ ও ১১ নম্বর আসনে বসেন বিবাদে ওই নারীসহ জড়ানো যাত্রীরা।

বিবাদ হওয়া চার যাত্রীর কাছে থাকা টিকিটে দেখা যায়, টিকিট দুটি ১৩ এপ্রিল একই তারিখে ক্রয় করা। যার একটিতে ঞ-৫,৬,৭, ও ১১ এই চারটি আসন এবং নারীর হাতের অপর টিকিটেও রয়েছে ঞ-৫ ও ৭ ও ১১ আসন নম্বর। ওই টিকিটে যাত্রীরা বোনারপাড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাত্রা করবেন।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়; 

এদিন রাত ১ টার দিকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস যখন সান্তাহার-নাটোর স্টেশনের মাঝামাঝিতে তখন ট্রেনের এই ‘ঞ’ বগিতে আসেন টিকিট কালেক্টর 'টিটিই' গোলাম হাফিজ রিজু। এসময় টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে বিতর্কিত এই দুটি টিকিটসহ একই ধরণের আর পাঁচটি টিকিট দেখতে পান তিনি। যা দেখে ওই সব টিকিটের যাত্রীদের সাথে চটে যান টিকিট কালেক্টর। রাগান্বিত হয়ে কোথায় আর কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে এসব টিকিট এমন প্রশ্নে দুই সন্তানসহ ঢাকাগামী এক নারী ছাড়া যাত্রী ১১ যাত্রীই বলেন একটিই নাম জসিম। তারা বোনারপাড়ার জসিমের থেকে দ্বিগুণ দামে ক্রয় করেছেন এসব টিকিট। এসময় টিটিই'র সাথে থাকা পুলিশ সদস্য তাদের ছবি ও কথা ভিডিও রেকর্ড করতে থাকেন। এদিন শত আপত্তি সত্ত্বেও ওই নারীরও ভিডিও বক্তব্য রেকর্ড করেন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য। এ সময় ওই নারী চরম বিব্রতবোধ করে কাপড়ে ভিতরে মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন।

এদিনের ব্ল্যাকে ক্রয় করা টিকিটগুলো বিশ্লেষন করে দেখা যায়, একই তারিখে ক্রয় করা ওই সব টিকিটে আসন সংখ্যা ছিল ১৩ টি। যার দুটি টিকিট ৮ যাত্রী, একটিতে ২ যাত্রী এবং অপর দুটি টিকিটে আসন সংখ্যা ৭ টি দেওয়া থাকলেও যাত্রী ৩ জন। টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি, মোবাইল নম্বর, এবং যাদের নামে ক্রয় করা হয়েছে তাদেরকে যাত্রীদের কেউই চেনেন না। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে পাঁচ যাত্রীর কেউ কাউকেই চেনেন না!

১৩ যাত্রীর হাতে থাকা পাঁচ টিকিটের একটিতে দেখা যায়, ১৩ এপ্রিল তারিখে ক্রয় করা। ক্রয়কারীর নাম মো.আব্দুর রাজ্জাক বেরারি। টিকিটে এনআইডি নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে ৮৬৭...৬৮৪ এবং মোবাইল নম্বর ০১৩০......৬৩৩ ।

এছাড়া আরেকটি টিকিটে দেখা যায় টিকিট ক্রয় কারীর নাম হাওয়া আকতার হাসি। যেখানে এনআইডি নম্বর ৩৩১...৩৭৯, আর মোবাই নম্বর ব্যবহার হয়েছে ০১৭০...৫৮১। 

ওইসব টিকিটে যাত্রীদের মধ্যে একজন শাহিন (৫৫)। তার বাড়ি বোনারপাড়ায়। তিনি ফার্নিচারের ব্যবসা করেন, জরুরী কাজে ঢাকায় যাচ্ছেন তিনি। তার কাছে থাকা টিকিটের আসন নম্বর ঞ-৫, ৬, ৭ ও ১১। টিকিট দেওয়ার সময় তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ঞ-৭। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে অপর তিনটি আসন কার? এছাড়া তার এই টিকিটে ক্রয়কারীর নাম দেখাচ্ছে আব্দুর রাজ্জাক বেরারি।

এ সময় জানতে চাইলে যাত্রী শাহিন বলেন, ‘কয়েকদিন চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি। পরে জসিমের থেকে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে টিকিট কিনেছি। কিছু করার নাই সবখানেই একই অবস্থা। যেতে হবে তো!’

আপনার হাতের টিকিটে আব্দুর রাজ্জাক কে? এনআইডি আর এই মোবাইল নম্বরইবা কার? এমন প্রশ্নের যাত্রীর সরল উত্তর, মোবাইল নম্বর এবং এনআইডি আর আব্দুর রাজ্জাক কে আমি জানিনা।

এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে ওই নারীর বাড়ি সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়ার শিমুলতাইর গ্রামে। মেয়ে মাহমুদা (১১) ও ছেলে মামুন (৬) কে সাথে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন তিনি। তার হাতের টিকিটে আসন নম্বর ছিল ঞ-৫, ৭, ও ১১ নম্বর। ওই নারীর দাবি তাকে বলা হয়েছে তার আসন নম্বর ৫ ও ৭। তাহলে কোচের ১১ নম্বর আসনের যাত্রী কে?

এ সময় জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, ঢাকা যাওয়ার জন্য আমার স্বামী দুটি টিকিট ১৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছে। স্টেশন থেকে নয়। তবে, কার থেকে কিনেছে তা জানা নেই ওই নারীর। তিনি বলেন, টিকিট থাকার পরেও এমন ঘটনা খুব কষ্টের। এসময় পুলিশের নেওয়া ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দিবে কি না-এমন প্রশ্ন করে আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন তিনি।

ব্লাকে টিকিট ক্রয় করা আরেক যাত্রীর নাম শাকিল (২৩) । তবে, শাকিলের কাছে একটি নয় রয়েছে দুটি টিকিট। ওই দুই টিকিটের ৮টি আসনে ঢাকা যাচ্ছেন তারা আট যুবক।

শাকিলের হাতে থাকা দুটি টিকিটই কাউন্টার থেকে প্রিন্ট করা। যার মধ্যে ১, ৪,২৮ ও ৩০ নম্বরের ৪ টি আসনের একটি টিকিটে যাত্রীর নাম দেখাচ্ছে হাওয়া বেগম।  

হাওয়া বেগম কে? শাকিলের কাছে টিটিই'র এমন প্রশ্নে শাকিল বলেন, চিনিনা। তাহলে তার নামের টিকিটটি তোমার হাতে এলো কিভাবে? শাকিল বলেন, বোনারপাড়ার জসিম ভাইয়ের থেকে প্রতিটি টিকিট ৮০০ টাকা করে কিনেছি। এসময় জসিমের নাম শুনে ক্ষিপ্ত হন টিটিই। এসময় টিটিই সহ ট্রেন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি এসব কালোবাজারিতে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে বোনারপাড়া স্টেশনের বর্তমান স্টেশন মাস্টার খলিলও জড়িত আছে বলে অভিযোগ তোলেন।

এ সময় জানতে চাইলে টিকিট কালেক্টর গোলাম হাফিজ রিজু বার্ত২৪.কমকে বলেন, এই ঞ বগীর পাঁচটি টিকিটে থাকা ১৩ যাত্রীর প্রত্যেকেই ব্ল্যাকে টিকিট কিনেছেন। বিধি মোতাবেক তারা প্রত্যকেই অবৈধ যাত্রী। কেননা, তাদের কাছে থাকা টিকিট ক্রয়ে যে এনআইডি ব্যবহার করা হয়েছে সেই নামের বা সেই এনআইডিধারীর সাথে যাত্রীদের কোন মিল নেই । তাদের সবগুলো টিকিট ব্ল্যাকে পাওয়া। নিয়ম অনুযায়ী এসব যাত্রীদের এখন জরিমানাসহ টিকিট ক্রয় করতে হবে। যদিও তিনি তা করেন নি।

কে এই জসিম?

সেদিনের একটি বগীর ১৩ যাত্রীর কাছে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রেতা কে এই জসিম? তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেছেন বার্তা২৪.কমের গাইবান্ধার এই প্রতিবেদক। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে-

সাঘাটা উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বীর মুক্তযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর ছেলে 'জসিম'। তিনি এক সময় বোনারপাড়া স্টেশনে ব্যবসা করতেন। জসিম ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর টিকিট কালোবাজারে বিক্রির সময় বোনারপাড়া থেকে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশ। সে সময় তার (জসিম) কাছ থেকে ট্রেনের চারটি টিকিট উদ্ধার করা হয়। পরে একই তারিখে রেলওয়ে পুলিশ বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাকে কারাগার পাঠানো হয়। যার মামলা নম্বর-২। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জসিম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, "এখন টিকিট সব অনলাইনে, আর টিকিটে আমার নাম বা আমার নম্বর (এনআইডি-মোবাইল) নাই। বোনারপাড়াতে মানুষকে ভালবেসে কিছু করতে যায়া (গিয়ে) আমার নামে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। তারপর থেকে আমি অনেকটাই দূরে।

এ সময় তিনি বলেন, বোনারপাড়া স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে সবাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত। মূলত তারাই এসব টিকিট বিক্রি করে যদি কোনো সমেস্যা হয়, তারা আমার (জসিম) নামটা তাদেরকে বলতে বলে দেয়।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ট্রেনে সেদিনের ঘটনা আমি শুনেছি, যাত্রীরা নাকি আমার নাম বলেছে। আপনিও নাকি সেদিন ট্রেনে ছিলেন আমি জানি।

বোনারপাড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার খলিল মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, টিকিট কালোবাজরীর বিষয়টি দেখার দায়িত্ব জিআরপি এবং আরএমপি পুলিশের। তারা কী করে? টিকিট এখন শতভাগ অনলাইনে। যদি কেউ আমার কথা বলে থাকে তা মিথ্যা বলেছে। আমি জসিমকে সেরকমভাবে চিনিওনা। 

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন,' অভিযুক্ত জসিমকে ২০১৯ সালে কালোবাজারে টিকিট বিক্রিকালে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় রেলওয়ে পুলিশ। এই অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট (লালমনিরহাট) আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে শতভাগ টিকিট এখন অনলাইনে।

তিনি বলেন, অনেক সময় সিন্টিকিটেরা এক সিটের টিকিট একাধিক ব্যক্তিকে দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ট্রেনে থাকা সংশ্লিষ্টরা যাদের টিকিটের সাথে নাম বা এনআইডির মিল পায় তাদেরকে ওই সীটে বসিয়ে দেয় এবং অন্যজনকে জরিমানাসহ নতুন টিকিট করে দেওয়া হয়।

তবে, ট্রেনের টিকিট শতভাগ অনলাইন করা সত্ত্বেও এখনো শতভাগ কালোবাজারী নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি স্বীকার করে তিনি বলেন, একজন কৃষক যখন কোনো দোকানে টিকিট নিতে যান, আর সেই দোকানদার যদি সিন্ডিকেট হয় তাহলে তার আইডি দিয়েই ওরা চারটি টিকিট ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে।

এ সময় ষ্টেশনের আশেপাশে টিকিট কালোবাজারী থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ষ্টেশনের আশেপাশে চিপায়-চাপায় ট্রেনের টিকিট কালোবাজারীর একটি সিন্ডিকেট আছে। যারা টিকিট কেনে তারাও বিষয়টি জানেন। বিষয়টি একটি ফৌজদারী অপরাধ।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) ফারহাত আহমেদ মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম; অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশ কালোবাজারী নির্মূলে শতভাগ চেষ্টা করছে, তৎপর রয়েছে। টিকিট সিন্ডিকেট ধরতে রেলওয়ে পুলিশের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’

 

   

সিলেটে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে সিলেটের চারটি উপজেলায় শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।

ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন চারটি উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

সিলেটের চারটি উপজেলায় বিজয়ী যারা-

সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৩ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাংবাদিক মো. সাইফুল ইসলাম। উড়োজাহাজ প্রতীকে তিনি ১৮ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাংবাদিক ওলিউর রহমান। তিনি টিয়া পাখি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৫৮টি।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. হাসিনা আক্তার। ফুটবল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৩৫ হাজার ৭৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি দিলরুবা বেগম। পদ্মফুল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮১ ভোট।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম। তিনি টেলিফোন প্রতীকে ২০ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো.মাহবুবুর রহমান। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের ফয়েজ আহমদ ১৮ হাজার ৯০ ভোট পেয়েছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আইরিন রহমান কলি। তিনি পদ্মফুল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ২৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের মোছা. ফহিমা বেগম পেয়েছেন ১৮ হাজার ৮২০ ভোট।

গোলাপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম।

তিনি দোয়াত কলমে প্রতীকে ৩৭ হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল যুবলীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান উজ্জ্বল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৭ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. নাবেদ হোসেন। তিনি চশমা প্রতীকে ২১ হাজার ৬৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. লবিবুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন সেলিনা আক্তার শীলা। তিনি ৪৬ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নার্গিছ আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯৫৭ ভোট।

বিশ্বনাথ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তিনি কাপ-পিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান সুইট। তিনি মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ইসলাম উদ্দিন বই প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট।

নারী ভাইস চেয়াম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কলস প্রতীকের মোছা. করিমা বেগম। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোছা.জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

;

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে জয়ী হলেন যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু, মিরসরাইয়ে এনায়েত হোসেন নয়ন ও এস এম আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এর আগে সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।

সীতাকুণ্ড:

সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৯২টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু দোয়াত-কলম প্রতীকে ১১ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান (সাধারণ) পদে মো. গোলাম মহিউদ্দিন উড়োজাহাজ প্রতীকে ৫৮ হাজার ২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী। টিউবওয়েল প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জালাল আহমেদ পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩০ ভোট।

৫৪ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান (সংরক্ষিত) পদে শাহীনুর আক্তার বিউটি বিজয়ী হয়েছেন। হাঁস প্রতীকে ৮ হাজার ৮০৯ ভোট পেয়ে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন শামীমা আক্তার লাভলী।

মিরসরাই:

এদিকে মিরসরাই উপজেলায় ১১৩টি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে এনায়েত হোসেন নয়ন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৩ হাজার ৭০ভোটে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান ঘোড়া প্রতীকে ২০ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সাইফুল ইসলাম চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়া প্রতীকের মোহাম্মদ সেলিম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৩৭ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে ফুটবল প্রতীকের উম্মে কুলসুম কলি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসমত আরা কলস প্রতীকে ২০ হাজার ৫৭৭ ভোট।

সন্দ্বীপ:

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে মোট ৮৫ টি ভোট কেন্দ্রে এস এম আনোয়ার হোসেন আনারস প্রতীকে ৪১৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মিশন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩১ ভোট।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে হালিমা বেগম শান্তা ফুটবল প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাহিদ তানমি লিজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৮। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওমর ফারুক নির্বাচিত হয়েছেন।

;

উপজেলা নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে দুইজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। 

বুধবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন ঘোষণা করেন চূড়ান্ত ফলাফল।

ফলাফল অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৬ ভোট। ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর আপন ভাতিজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেমের কাছে পরাজিত হন তিনি। ব্যরিস্টার মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেমের প্রাপ্ত ভোট ২৭ হাজার ৩৯৪। বেসরকারিভাবে কুতবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। নির্বাচনের তিন দিন আগে এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

অপরদিকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান পরাজিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছারের কাছে। ৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার ৮২টি কেন্দ্রে মোটর সাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছার পান ৩৪ হাজার ৯৭৪ ভোট  এবং আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মুজিবুর রহমান পান ২৬ হাজার ৫৫ ভোট।

পরাজিত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমানে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেনে দায়িত্ব পালন করছেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এছাড়াও কক্সবাজার সদর উপজেলায় বেসরকারিভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রশিদ মিয়া এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন অধ্যাপক রোমেনা আক্তার। আর কুতুবদিয়া উপজেলায় বেসরকারি ভাবে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আকবর খান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাসিনা আকতার।

অপরদিকে মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াতকলম প্রতীকে ৩৮ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জয়নাল আবেদীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাবিব উল্লাহ টুপি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭১৫ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু ছালেহ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ারা কাজল। 

এ তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৯৬ জন৷ যার মধ্যে সদর উপজেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৮শ ৬৮ জন। মহেশখালী উপজেলায় ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৫৮ জন এবং কুতুবদিয়া উপজেলায় ৯৭ হাজার ১৭০ জন ভোটার। এ তিন উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র ২০৪ টি; যার মধ্যে সদরে ৮২ টি, মহেশখালীতে ৮১ টি এবং কুতুবদিয়ায় ৩৭ টি কেন্দ্র।

;

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের জয়জয়কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় ৩ টিতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়জয়কার।

বুধবার (৮ মে) রাত ৮ টার পর থেকে রামগড়, লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ গুলোর কন্ট্রোল রুম থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে রামগড়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী, মানিকছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, লক্ষ্মীছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাথোয়াইঅং মারমা বিজয়ী হয়েছেন।

অন্যদিকে, মাটিরাঙ্গায় ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। খাগড়াছড়ির জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কামরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৮ শ ৯৭ জন। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩৭ জন।  

;