গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামিসহ তিন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা।
রোববার (২ মে) সকাল পৌনে দশটার দিকে র্যাবের স্কোয়াড্রন লিডার মাহমুদ আল বশির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে শনিবার দিনগত ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাপিয়া হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি রাব্বি মিয়া (২৬), চার নম্বর আসামি পাপুল মিয়া (৩০) ও ৮ নম্বর নারী আসামি ইসমত আরা বেগম (২৬)। তাদের মধ্যে রাব্বি ও পাপুল উপজেলার বিরামের ভিটা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। এছাড়া আসামি পাপুল ও ইসমত আরা বেগম স্বামী-স্ত্রী।
মামলার এজাহার ও র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে নিহত পাপিয়া ও তার আপন চাচা দুলা মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল। গত ১৮ মে সকালে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ রোপন করতে যান দুলা মিয়াসহ তার লোকজন। এ সময় পাপিয়া গাছ রোপনে বাঁধা দিলে প্রথমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে চাচা দুলা মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভাতিজি পাপিয়ার গলায় প্রচন্ডভাবে আঘাত করে ৷ এতে পাপিয়ার শ্বাসনালি কেটে গিয়ে প্রচন্ড রক্তাপাত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা গুরতর আহত পাপিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ১৯ মে নিহত পাপিয়ার ভাই আরিফুজ্জামান (৪৫) বাদি হয়ে মৃত শায়েখ আলীর ছেলে চাচা চাঁন মিয়া (৬০) ও দুলা মিয়া (৬২), চাঁন মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৬) ও পাপুল মিয়া (৩০), রাব্বি মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৩), দুলা মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪৮), পাপুল মিয়ারর স্ত্রী ইসমোতারা বেগম (২৬) এবং মৃত নয়া মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৪০) সহ আরও ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। পরে ছায়া তদন্তে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ও র্যাব-১১ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শনিবার ভোর রাতে নারায়ণগঞ্জের চর কাশিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, ঘটনার দিনই অপর এক অভিযুক্ত নারী পারভিন আক্তারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ।