বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে ‘বান্দরবান’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। দেশে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৯৫ শতাংশই পার্বত্য চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তবে ম্যালেরিয়া রোগী বাড়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি সরকারের লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে, পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে বান্দরবানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ ম্যালেরিয়া রোগী বান্দরবানে। বান্দরবানে ২০২৩ সালে এ রোগীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম হলেও এই সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় বেশি।

যদি কোনো এলাকায় এক বছরে প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে একজনের বেশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়, তবে তা উচ্চ ঝুঁকির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ হিসেবে পার্বত্য তিন জেলার মধ্যে বর্তমানে বান্দরবান সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তার পরপরই অবস্থান রাঙ্গামাটির। খাগড়াছড়িতে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কিছুটা কম হলেও ঝুঁকিতে রয়েছে ।

দেশের ১৩টি জেলা ম্যালেরিয়া প্রবণ। এর মধ্যে পার্বত্য দুই জেলা বান্দরবান ও রাঙামাটিতে ৯০ শতাংশ সংক্রমণ ঘটছে। যা ১০ বছর ধরে একই হারে চলছে।

সরকারের ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশে ১৬ হাজার ৫৬৭ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হন। তার মধ্যে ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বান্দরবানের। ২৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ রাঙামাটি, ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ কক্সবাজারে, ২ দশমিক ৫২ শতাংশ খাগড়াছড়িতে।

২০২২ সালে ১৮ হাজার ১৯৫ জনের ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয়। তার মধ্যে বান্দরবানে ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। রাঙামাটির ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ আর কক্সবাজারে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

২০২১ সালে সারা দেশে ম্যালেরিয়া শনাক্ত হয় ৭ হাজার ২৯৪ জনের। তার মধ্যে বান্দরবানের ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ। রাঙামাটির ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। কক্সবাজারের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ আর খাগড়াছড়িতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ১৫৮ জন ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৫০৩ জন। বান্দরবানে ৪৬০ জন এবং কক্সবাজারে ১৩৮ জন। এ ছাড়া খাগড়াছড়িতে ৪০, চট্টগ্রামে ১৩, হবিগঞ্জে দুই এবং সিলেট ও নেত্রকোনায় একজন করে রোগী শনাক্ত হন। এ সময় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে এ রোগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা এবং সীমান্ত এলাকার মোট ১৩টি জেলার ৭২টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এর মধ্যে বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়িতে ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। এ তিনটি জেলার মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বান্দরবান। বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও থানছি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ রয়েছে-এমন ১৩ জেলার মধ্যে ১২টি জেলার ৩৬ উপজেলার সঙ্গে ভারতের আন্তঃসীমান্ত রয়েছে। আর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সঙ্গে প্রতিবেশী মিয়ানমারের আন্তঃসীমান্ত রয়েছে।

ইনক্রিমিনেশন অব ম্যালেরিয়া ভেক্টর মসকিউটোস ইন বাংলাদেশ: সিজনাল প্রিভিলেন্স অব অ্যানোফিলিস মসকিউটোস অ্যান্ড দেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ম্যাপস' শীর্ষক পিএইচডি গবেষণা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

তিনি তার গবেষণায় জানিয়েছেন, লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারিত সময়ে ম্যালেরিয়া নির্মূল খুবই কঠিন কাজ। পার্বত্য অঞ্চলে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে কীটনাশক যুক্ত যে মশারি বিতরণ করা হয়, তাতে ডেলটামেট্রিন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে এটি মশা প্রতিরোধ করতে পারছে না। কীটনাশক পরীক্ষা করলেও আমরা মশারি পরীক্ষা করিনি। কারণ, কীটনাশকই যেখানে কাজ করছে না, সেখানে মশারির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।

তিনি জানান, পার্বত্য অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন-যারা বনে গাছ কাটেন, জুম বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করেন এবং সীমান্তে চোরাচালানে জড়িত। তারা বাইরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়া কাজ ও ঘোরাঘুরি করেন।

তিনি আরো জানান, আমাদের দেশের সঙ্গে ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। এই দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে নিয়ে ম্যালেরিয়া নির্মূলে একযোগে কাজ করতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, পার্বত্য অঞ্চলের যেসব জায়গায় যাওয়া খুব কঠিন, যেসব এলাকার স্থানীয় মানুষদের প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের ম্যালেরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক (ডা:) মো. আবুল ফয়েজ জানান, পরীক্ষামূলকভাবে লামা ও আলীকদম উপজেলায় ম্যালেরিয়ায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০০টি পাড়ার ১০ হাজার মানুষকে নির্বাচিত করে চার বছরে ধাপে ধাপে এ ম্যালেরিয়া টিকা ও ওষুধ প্রদান করা হবে। ম্যালেরিয়া নির্মূলের চলমান সেবার পাশাপাশি সবার জন্য ম্যালেরিয়ার টিকা এবং ওষুধ প্রয়োগ হতে পারে যুগোপযোগী পদক্ষেপ। সে লক্ষ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূলের নতুন টিকার কার্যকারিতা নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে লামা-আলীকদমে। এই গবেষণায় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ম্যালেরিয়ার টিকা ব্যবহার করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত এই টিকা ইতিমধ্যে ৭৭% উচ্চ কার্যক্ষমতা আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগের মধ্যে অন্যতম হল ম্যালেরিয়া। স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ছড়ায়। বাংলাদেশে মোট ৩৬ প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশার উপস্থিতি রয়েছে, এদের মধ্যে সাতটি প্রজাতি বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।

আফ্রিকায় ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়। ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির ৬০তম অধিবেশনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের প্রস্তাবনা করা হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করা হয়য়।

   

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান দৌলতপুর উপজেলার কোলদিয়াড় গ্রামের ক্লিকমোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি কোমল পানীয় (কোক,স্প্রাইট)'র ডেলিভারি ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর-প্রাগপুর সড়কের বাগোয়ান নামক স্থানে হঠাৎ সড়কের ওপর উঠে আসা (বাথানের) গরুর পালকে সাইড দিতে গেলে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত (পটাং) টি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ে যায়। এসময় পটাং এ থাকা দুই ডেলিভারিম্যান গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জাহিদ হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।

রোববার (৫ মে) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

এর আগে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে শনিবার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, ফায়ার ফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যে কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারেনি তারা।

ফায়ার সার্ভিসের মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়েছে।

এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে বাড়িতে লাগা আগুনে পুড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ভোর ৫ টার দিকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তাদের ৮ বছরের ছেলে মো. হানিফ মিয়া।

স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার জানান, ভোর রাতে বজ্রপাতে বাড়ির চালে আগুন লেগে মা ও ছেলে পুড়ে মারা গেছে। নিহতের পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

;

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি। 

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এক কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

;