বার্তা২৪.কম-কে ড. এম. মুশতাক হোসেন

‘তাপদাহে সাধারণের জন্য উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এ অবস্থায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য শুধুমাত্র উপদেশ নয়, প্রয়োজন সহায়তা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা। বলেছেন বিশিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন।

বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। চলমান তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের অসহায়ত্বের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মতো সেবাদানকারী সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের তো কষ্ট হচ্ছেই। তারা বাইরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। খোলা আকাশের নীচে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাদের জন্য উপদেশের পরিবর্তে করণীয় হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ ও কমিউনিটি-যাঁরা সরকারের হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য পানি, ছায়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আর যাঁরা বেসরকারি মালিকের অধীনে কাজ করছেন, মালিককেই তা এনশিওর করতে হবে।’

‘মালিক যদি একা না পারেন তবে কয়েকজন মালিক মিলে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে ছায়া ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। খাবারের ব্যবস্থাও করতে হবে, কেননা দাবদাহে তো শুধু পানিশূন্য হয় না পুষ্টিঘাটতিও তৈরি হয়। ভারী খাবার না হোক, চিড়া-বিস্কুট, স্যালাইন পানি ইত্যাদির আয়োজন কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাদের সক্ষমতা আছে, উপদেশে তাদের কাজ হবে, তারা তো চাইলে ঘরেও থাকতে পারছে, কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ বা যাদের কাজ না করলে ভাত জুটবে না তাদের জন্য সহায়তামূলক কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। এসব বাদ দিয়ে শুধু উপদেশ দিলে কাজ হবে না,’ বলেন ড. হোসেন।

দাবদাহে খোদ ঢাকাতেই মানুষের মৃত্যুকে ‘খুবই দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘এত প্রচারণার পরেও তাদের ঘরে বসে থাকলে চলছে না। সুতরাং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তায় সমাজের সক্ষমদের এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ বক্সগুলোকে সহায়তা কার্যক্রমের কেন্দ্র করা যেতে পারে। ট্রাফিক পুলিশ যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে।’

রাজধানী ঢাকার দূষণ ও বায়ু নিম্নমানের প্রসঙ্গ টেনে জনস্বাস্থ্যের জন্য সৃষ্ট সংকটে করণীয় বিষয়ে ড.  মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সকালে রাস্তার পাশের মাটিতে ও গাছে পানি দিতে হবে, যাতে তারা পানি শুষে নিয়ে অক্সিজেনটা দিতে পারে। পানিটা দিতে হবে যখন রোদ থাকে না তখন, অন্য সময় দিলে তো তা বাষ্প হয়ে যাবে।’

চলমান এই তাপপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব তাতে কোন সন্দেহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো বৈজ্ঞানিক তথ্য। এবারের এই তাপপ্রবাহ পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাতের ভয়াবহতাকেই স্পষ্ট করে তুলেছে।’  

চলমান তাপদাহের ফলে কি ধরণের রোগবালাই বাড়তে পারে, বা রোগতত্ত্ব বিভাগে সাম্প্রতিকতম মূল্যায়ন কি? -এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এই তাপপ্রবাহে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধি পাবে। সেইসঙ্গে নানা পুরনো জটিল রোগে যাঁরা আক্রান্ত তাদেরও ঝুঁকি বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এসব অজানা বিষয় নয়, সবই জানা বিষয়।’

কোভিড বা অন্য সংক্রামক রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনের কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারচেয়েও বড় সমস্যা হবে শ্বাসতন্ত্র ও পানিবাহিত রোগ নিয়ে। ত্বক সংক্রান্ত সমস্যাও বাড়বে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।’         

জলবায়ু তহবিল ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখানে তো সরকারের রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার থাকতে হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের শিকার তো সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও বয়স্কদের ওপর বেশি পড়ে। তাদের সহায়তা করতে হবে। যেমন ধরুন তাপপ্রবাহ নিয়ে করণীয় প্রচার করাই যথেষ্ট নয়। উপকূলে লবনাক্ততা প্রকট। আমরা দেখি সহযোগিতা জায়গা মত পৌছায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। তাপদাহ-সহ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাব মোকাবেলায় সরাসরি কবলিত মানুষদের জন্য যদি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো তথা কমিউনিটিকে আমরা এনগেজ করতে পারি-তাতে দ্রুত সুফল আসবে।’

সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপি) এর ভিত্তিতে অনেক কর্মসূচি থাকলেও জনস্বাস্থের জন্য তা কেন নয়?-এ নিয়েও কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হয়ে এটা করা যাবে না। আমরা যদি শিক্ষা ও স্বাস্থের মত খাতে বেশি টাকা খরচ করি তবে ততো রিটার্ন আসবে। যদিও সরকার তো নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সেভাবে ওন করে না। যদি করতো তবে তারা চিন্তা করতেন তাহলে ভাবতেন শহরটাকে ক্লিন রাখা যায়, এতে ওষুধের খরচ বেঁচে যেত।’

‘উন্নয়ন অগ্রাধিকার নেওয়ার পূর্বে চিন্তা করা উচিত, কিছু অর্থ খরচ করে যদি শহরের বাতাসটা পরিষ্কার রাখা যায়, পানি ও মাটিটা নিরাপদ রাখা যায়-তবে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ওষুধ কিনতে হবে না। যেহেতু আমরা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবারসব্যবস্থা এখনও করতে পারিনি। বাংলাদেশের মানুষ আজ চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে উদ্বাস্তু হয়ে যাচ্ছে। সামিগ্রক বিবেচনায় এটিও সম্পর্কিত। সুতরাং পলিটিক্যাল কমিটমেন্টটা আসতে হবে। নাগরিকদের পকেট থেকে টাকাটা গেলেও তা জাতীয়ভাবেলঅপচয়ই হচ্ছে। যদি রোগ প্রতিরোধের জন্য কাজগুলো করা যেত তবে অনেকগুন উৎপাদনশীলতা বাড়তো। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে তারা জাতীয় আয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারতো,’ বলেন ড. হোসেন।

সম্পাদনা: মাহমুদ মেনন, এডিটর-অ্যাট্-লার্জ, বার্তা২৪.কম

   

গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প

গফরগাঁওয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার(৪ মে) দুপুরে উপজেলার হাতিখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।

ছানি অপারেশন ক্যাম্প উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বালেল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালন ডা. শেখ মহিউদ্দিন, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামছুল আলম খোকন।

আদ্-দ্বীন চক্ষু প্রকল্পের এজিএম রবিউল হক বলেন, গফরগাঁওসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৮শ রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করা হয় এবং অপারেশনের পর রোগীদের কালো চশমা ও বিনামূল্যে ঔষুধ দেওয়া হয়। উক্ত রোগীদের নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা করা হবে।

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. মো. শফিউল আজমের নেতৃত্বে একটি চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এ ক্যাম্প পরিচালনা করেন।

;

৩০ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত সব বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সেতাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের সব বগির উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বগি ও তেলের ওয়াগন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আপলাইন ক্লিয়ার আছে।

এর আগে, শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায়
তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনার চার ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে আসে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন। এর ১২ ঘণ্টা পর রাত ১১টা থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী দল।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত বগিগুলো একে একে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রেললাইন সচল করা হয়। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ সচল হয়েছে।

;

শ্রমিক মারধরের ঘটনায় ব‌রিশালে সড়ক অবরোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ব‌রিশালে সড়ক অবরোধ

ব‌রিশালে সড়ক অবরোধ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে বাসচালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা।

শ‌নিবার (৪ মে) দুুপুরে নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, শ‌নিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টা‌র্মিনালে মাদারীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটি যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষা করছিল। এসময় আটকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল সাইড নিতে হর্ন দেয়। পরে বাস মা‌লিক স‌মি‌তির কয়েকজন স্টাফ এসে বাস‌টি স‌রাতে বলে। তারপরেও বাসটি না সরানোয় মালিক সমিতির স্টাফরা ওই বাসের চালককে মারধর করে। এ ঘটনায় দুই শ্রমিক সৌরভ ও সা‌কিল মোবাইল ফোনে ভি‌ডিও করতে গেলে তাদের বেদম মারধর করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নেওয়ার পথে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর ছ‌ড়িয়ে পড়লে তাদের উদ্ধারের দাবিতে শ্রমিকরা একজোট হয়ে টা‌র্মিনালে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং সড়ক অবরোধ করেন।

জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপ‌তি কাজী ক‌বির হোসেন বলেন, ‌নতুন কমিটিকে নাজেহাল করতে তুচ্ছ ঘটনায় একটি মহল শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেট্রোপলিটন পু‌লিশের এডি‌সি মো. ফারুক হোসেন ব‌লেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে কথা বলে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

;

বরিশালে গরমে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে জামাল ফরাজী (২৬) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) সকালে উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের নরসিংহা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত জামাল ফরাজী বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা গ্রামের সৈয়দ ফরাজীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের নরসিংহা এলাকার মোখলেস খানের জমিতে বোরো ধান কাটছিলেন জামাল ফরাজীসহ অন্যান্য শ্রমিকরা। এসময় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন জামাল। পরে তাকে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

বোরো ধান কাটার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে জামাল ফরাজীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আহমেদ জানান, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;