ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

   

বরিশালে পেনশন মেলার উদ্ধোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন মেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে দিনব্যাপী সর্বজনীন পেনশন মেলা উদ্বোধন করা হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল মো. শওকত আলী ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতিক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শাহ সাজেদা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

শুরুতে প্রধান অতিথি বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিরা ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় অতিথিরা সর্বজনীন পেনশনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। মেলায় ১৩টি স্টল অংশগ্রহণ করে।

;

পরীক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ: রিজওয়ানা হাসান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পরীক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

প্রকৃতির কাছ থেকে আমাদের এবং কৃষকের কাছ থেকে কৃষিকে সরাতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেনেটিক্যালি মডিফাইড বেগুন ৩টি দেশে অনুমোদন চেয়েছিল বহুজাতিক কোম্পানি। দেশগুলো হলো- ভারত, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ। ভারত অনুমোদন দেয়নি কিন্তু বাংলাদেশ অনুমোদন দিয়েছে। এখন বহুজাতিক কোম্পানি গোল্ডেন রাইসের অনুমতি চাচ্ছে। রাজনৈতিক অর্থনৈতিক চিন্তা করে প্রকৃতির প্রতি অত্যাচার করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জি এম শস্য গোল্ডেন রাইস এবং বিটি বেগুন: বাংলাদেশে প্রবর্তনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রশ্নের নিরসন জরুরি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতিনির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, জিএম ফসল হিসেবে গোল্ডেন রাইসের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংক্রান্ত ঝুঁকি, কার্যকারিতা এবং এই ধানের আদৌ কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি না এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তারা সময় নিয়ে এর নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করছেন এবং এখনও অনুমোদন দেননি। কিন্তু কোম্পানি এবং উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে তাড়া দেওয়া হচ্ছে। তারা সরাসরি সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন।

তিনি আরও বলেন, গোল্ডেন রাইস সারা বিশ্বে বিতর্কিত। ফিলিপাইনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলা হলেও এখন তা বাতিল করা হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে ফিলিপিনো কৃষকরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। কাজেই ফিলিপাইনের উদাহরণ দিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়ার কোন অর্থ নাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ কৃষক ব্রি ২৯ চাষ করেন। সেখানে কোন পেটেন্ট নাই। কৃষক এর বীজ নিজেই রাখে কিংবা বাজার থেকে কিনে নেয়। স্বাধীনভাবে তারা এই ধান চাষ করতে পারে। তাহলে এই ধানের স্বত্ত্ব বিদেশি কোম্পানির হাতে চলে গেলে বাংলাদেশের লাখ কোটি কৃষকের ভাগ্যে কি ঘটবে? এই প্রশ্নের জবাব কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই দিতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাজ বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের স্বার্থ দেখা, কোম্পানির স্বার্থ নয়।

বক্তারা বাংলাদেশে বিতর্কিত জিএম ফসল প্রবর্তনের আগে জনগণের স্বার্থে সরকারের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে ধরেন।

>> কৃষি বৈচিত্র্যের দেশের গোল্ডেন রাইস ধান এবং বিটি বেগুন প্রবর্তনের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি?

>> জিএম ফসলের পরিবেশ, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ঝুঁকির যে সম্ভাবনা আছে বলে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন, তার ব্যাপারে বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ব্রি) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) কোন তথ্য আছে কিনা।

>> ভিটামিন এ’র ঘাটতির অজুহাতে গোল্ডেন রাইস প্রবর্তন না করে দেশে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সবজি, ফল, শাক, ইত্যাদি উৎপাদনে সহায়তা করা হচ্ছে না কেন?

ব্রি-২৯ এর পেটেন্ট সিনজেন্টা কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হলে দেশের কোটি কোটি কৃষকের ধানের এই জাত চাষ করার অধিকার কি ক্ষুন্ন হবে না? এই ধান বহুজাতিক কোম্পানিকে দেওয়া হল কেন?

কীটনাশক ব্যবহার কমাবার কথা বলে বিটি বেগুন প্রবর্তন করা হচ্ছে অথচ ধান থেকে শুরু করে সব ধরনের হাইব্রিড ফসলে ব্যাপকভাবে কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহার করা হচ্ছে? এগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না কেন।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন ও জিএম বিরোধী মোর্চার নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সায়েদ রানা প্রমুখ।

;

চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইন, টাকা বিতরণের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রার্থীর বেয়াইকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় নুরুল আলমের বাড়িতে এ অভিযান চালান মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমানের পক্ষে বেয়াই নুরুল আলমের বাড়িতে সকালে শতাধিক নারী-পুরুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান।

পরে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী নুরুল আলমকে জরিমানা করা হয়। তবে টাকা বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান।

মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, শান্তিরহাট এলাকার একটি বাড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। এটা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন। অভিযুক্ত নুরুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

;

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে উচ্চবিত্তদের দাঁড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ এপ্রিল) খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ পরবর্তী সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ইতিমধ্যে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকদের মাঝে একটি করে ছাতা ও ১২টি খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির পট বিতরণ করেন মেয়র আতিক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র তিনি।

রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে মেয়র আতিক বলেন, তাপদাহ যতই তীব্র হোক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা বিশেষ করে রিকশাচালকরা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে না। তীব্র এই তাপদাহ তারা যে কষ্ট করছে তা অসহনীয়। আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।

চীনা অ্যাম্বেসি রিকশাচালকদের জন্য ১৫০০ ছাতা ডিএনসিসিকে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত রিকশা আছে ৩০ হাজার। অন্যান্য মিলিয়ে আমরা মাত্র ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। শহরে আরও হাজার হাজার রিকশাচালক রয়েছে যারা একই কষ্ট করছে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সবার পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু সমাজের উচ্চবিত্তরা চাইলেই সম্ভব। তাই আমি উচ্চবিত্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আপনারা এগিয়ে আসুন।


মেয়রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একজন রিকশাচালক মো. শামিম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কে কি কইবো জানি না, কিন্তু মেয়র সাহেব যে আমগো লাইগা চিন্তা করছে এইটাই অনেক। যেই রোইদ পরে শইলডা জ্বলে। এই ছাতা দিয়াতো আর রিকশা চালাতে পারুম না। যাত্রী নামাইয়া দিয়া অন্তত ছাতার নিচে একটু খাড়াইতে পারুম। এইডাই আলহামদুলিল্লাহ।’

রিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘এমন তাপে কোনো জায়গায় যে একটু ছায়ায় খারামু ওই অবস্থাও নাই। শহরে কোনো গাছ আছে, মাইনষের দোকানপাটেও বেশিক্ষণ খারান যায় না। অনেকক্ষণ গাড়ি চালাইয়া হেই রোইদের মধ্যেই জিরাইতে হয়। ছাতাটা কামে লাগবো।’

ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির পট পেয়ে খুশি অন্যান্য রিকশাচালকরাও।

রিকশা চালকদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

;