শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায়নি ট্রাফিক ব্যবস্থা



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায় নি ট্রাফিক ব্যবস্থা

শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায় নি ট্রাফিক ব্যবস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার মো. ফেরদৌস হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ পুলিশে। চাকরি জীবনের ২২ বছরের প্রায় ১০ বছরেই দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাফিক বিভাগে। বিশ্বের ছোট-বড় বেশিরভাগ দেশেই ট্রাফিক ব্যবস্থায় রিমোট কন্ট্রোল লাইট অথবা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এখনো ভরসা ফেরদৌস হোসেনদের হাতের ইশারা।

ফলে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ির সামনে দাঁড়াতে হয় ফেরদৌস হোসেনের মতো এ-বিভাগের দায়িত্বরত সবাইকে। কখনো কখনো হাতের ইশারার এই ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে হতে হয় দুর্ঘটনার শিকার। রোদ অথবা বৃষ্টি যাই হোক। ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো দায়িত্ব পালনে দু-পায়ের উপর ভর দিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকাই বড় দায়িত্ব ফেরদৌস হোসেনের।

ফেরদৌস হোসেন বলেন, রোদ হোক বৃষ্টি হোক সরকারি কাজের জন্য আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়। কখনো কখনো দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। তবে আধুনিক ব্যবস্থা থাকলে আমাদের কষ্ট কম হতো। সাথে জীবনের ঝুঁকিও কমতো।


শুধু ফেরদৌস হোসেনই নন। যানজটের শহর ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এমন করুণ গল্প প্রায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ সদস্যের। এতে জনসম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি বিপুল অর্থও ব্যয় হচ্ছে সরকারের।

জনসম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষও। হাতের ইশারায় নিয়ন্ত্রণের ফলে অতিরিক্ত সময় রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে অনেককে। পাশাপাশি পথচারীদের ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে ঢাকার সড়ককে।

প্রাইভেট কারচালক সামসুল হক বলেন, চলন্ত অবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশদের দেখা যায় না। তাদের হাতের ইশারা কখনো কখনো চোখে পড়ে না । এর জন্য আমাদের জরিমানা গুনতে হয়। এছাড়া যখন তখন মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। আধুনিক ব্যবস্থা থাকলে এসব এড়ানো যেত।

তথ্য অনুসারে, ২০০১-০২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের (ডিইউটিপি) আওতায় ৭০টি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। এছাড়া ২০১২-২৩ অর্থবছরে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ (কেস) প্রকল্পের আওতায় আবারও ২৯টি ইন্টারসেকশনে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা বসানো হয়। এই প্রকল্পেও ছিল বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা। এসব প্রকল্পেরে দেখভালের দায়িত্ব ছিল দুই সিটি করপোরেশনের। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব প্রকল্প দেখেনি আলোর মুখ। অল্প কদিনেই অচল হয়ে পড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকার ঢাকার ৪৩টি ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয় কেস প্রকল্পের আওতায়। এর ফলে শুধুমাত্র গুলশান দুই সিগন্যালে লাল ও সবুজ বাতি জ্বললেও বাকিগুলোর সবই অকেজো।


ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, গত দুই দশকে এসব প্রকল্পে শুধু ট্রাফিক ইন্টারসেকশন আর সিগন্যাল স্থাপনেই খরচ হয়েছে প্রায় পৌনে দুইশ কোটি টাকা। তবে এত টাকা খরচ করেও রাজধানীর সড়ক সংযোগে আসেনি নিয়ন্ত্রণ। অথচ ১১৫টির বেশি ট্রাফিক সিগন্যালসহ আরও ৫৫০টির মতো স্থানে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের ভরসা হাতের ইশারা দিতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ। তথ্য বলছে, শুধু যানবাহন চলাচলের ইশারা দিতেই বছরে বিপুল সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশের বেতন দিতে সরকারের শত শত কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে আধুনিকায়ন করা গেলে সড়কের দুর্ঘটনা কমার সাথে ট্রাফিক পুলিশদের ঝুঁকি কমে আসবে, সাথে সরকারের বিপুল অর্থ ও জনশক্তি সঞ্চয় হবে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিটি ইন্টারসেকশনে কম পক্ষে চার জন পুলিশ সদস্য কাজ করে। যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের জনশক্তি কম অপচয় হবে পাশাপাশি আমাদের যে ঝুঁকি তা কমে আসবে।

এদিকে ঢাকার চারটি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিস্টেম বসানোর আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছিল ডিটিসিএ। এতে ব্যয় হয় ৫২ কোটি টাকা। দুই সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে ইনটেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইটিএস) নিয়ে কাজ করে ডিটিসিএ। পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো এসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রাফিক লাইট উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী ও গুলশান-১ ইন্টারসেকশনে সফটওয়্যারের অভাবে দাঁড়িয়ে আছে প্রদর্শন হিসেবে। দক্ষিণের যন্ত্রপাতি তো খোয়া গেছে।


প্রশ্ন হলো দুই দশকে এত সব প্রকল্পের ব্যর্থতা কার? নতুন পরিকল্পনাই বা কি দুই সিটি করপোরেশনের?

দুই দশকে প্রায় পৌনে দুইশত কোটি টাকার সব প্রকল্পই ছিল পাইলট প্রকল্প। পাইলট প্রকল্পে সফলতা না আসায় মুল প্রকল্প নেওয়া হয়নি। তাই ব্যর্থতার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট অফিসার মো. সেলিম খান বলেন, এর আগের সব প্রকল্পই ছিল পাইলট প্রকল্প। এখানে ব্যর্থতা বা সফলতার নয়। প্রকল্পগুলোতে ভালো সম্ভাবনা না থাকায় পরে মূল প্রকল্প নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা আরও একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। এআই বেইজড। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে সফলতা আসবে। এর পর আমরা এটা নিয়ে কাজ করব।

এ বিষয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কারো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মাথাব্যথা নেই আগের প্রকল্প নিয়ে। তবে নতুন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম।

তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পাইলটিং করছি গুলশান-২ এ। ইতোমধ্যে আমরা সফলতাও পেয়েছি। এবার ডিজিটাল নয় হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেইজড। এর পর যত প্রকল্প হবে । সব এআই দিয়ে চলবে। আমরা সে দিকে এগুচ্ছি।

   

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: লাইন থেকে সরানো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বগি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১ টা থেকে লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে বগির সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় ।

  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনা: ৩ ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
  • গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন

উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

;

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন খেজুরতলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় সাতটার দিকে পতেঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. মিনহাজ (৩৫)। আহত হয়েছেন আবু হেনা মাহমুদ (২৬) ও মনি নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারী। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ইমাম হোসেন ও ওমর মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। তারা বার্তা২৪.কম-কে জানান, সন্ধ্যায় আমরা পতেঙ্গা খেজুরতলা এলাকায় বীচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি মোটরসাইকেলসহ তারা তিনজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিনহাজ নামের একজন মারা যায়।

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে এসে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে যেটি বুঝেছি। মাহমুদ একা ওই মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। নিহত মিনহাজ ও মনি নামের মেয়েটি এক সঙ্গে ছিল। মিনহাজকে মনি তার স্বামী বলে দাবি করছে। মনি আঘাত কম পেলেও আহত মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, নিহত মিনহাজ রাউজানের সুলতানপুর ওয়াহাবউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির মো. শওকত আলীর ছেলে। আহত আবু হেনা মাহমুদ হালিশহরের নন্দন মহাজন সড়কের মহাজন বাড়ির আবু জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল পথচারীদের চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজন মারা যান। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামায় হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় নয় শতাধিক বাড়িঘর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এতথ্য জানা যায়।

কালবৈশাখী ঝড়ের দুই দিন পরেও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশরা খোলা ছাদের নিচে বসবাস করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে আজ লামায় আসেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। সেই সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালবৈশাখর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় লামা পৌরসভার লাইনঝিরি এলাকায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ সিদ্দিক জানান, ০১ মে ভোরে ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১১ কেভি সঞ্চালনের ১৭টি খুঁটি ও ৩৩ কেভি সঞ্চালনের ১টি খুঁটি ভেঙে যাওয়াতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

শুক্রবার মেইন লাইন চালু করে লামা হাসপাতাল ও শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাইনঝিড়ি হতে ছাগলখাইয়া, লামা আলিকদম সঞ্চালনের ১১ কেভি লাইনটি প্রায় দেড় কিলোমিটার বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়াতে আলিকদম সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যুতের লাইন স্বাভাবিক করতে। দুয়েকদিনের মধ্য লামা ও আলিকদমের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।


লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লামা পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৯ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লামা পৌরসভার মেয়র’সহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে সড়কে ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ও কিছু ঢেউটিন তাৎক্ষণিক বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে জানান তিনি।

লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম (আবছার) জানান, গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে লামা উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। শুধু পৌর এলাকায় একশ বিশটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও তিনশটি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পৌরএলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিনকোটি টাকা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক চাল ও আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, লামা পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নে গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছয়শত থেকে সাতশত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বমোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ সময় সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।

;

আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম

আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) সংগঠনের আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন- দৈনিক আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার তাওহীদুল ইসলাম।

শুক্রবার (০৩ মে) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আরআরআর -এর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা নির্বাচিত হন।

কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস (প্রতিদিনের সংবাদ), যুগ্ম সম্পাদক শিপন হাবীব (দৈনিক যুগান্তর), অর্থ সম্পাদক শাহিন আক্তার (নিউ এইজ), সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন শুভ্র অধিকারী (দ্য ডেইলি স্টার), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তৌফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তারেক সিকদার (বৈশাখী টিভি), কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিমা সুলতানা (দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস), রাজীব আহম্মদ (দৈনিক সমকাল) এবং ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ (দৈনিক জনকণ্ঠ)।

এ ছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি সেল গঠন করা হয়। শামীম রহমানের (বণিক বার্তা) নেতৃত্বে সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- সজিব ঘোষ (দৈনিক কালের কণ্ঠ), আল আমিন সজল (ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি), তৌফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান) এবং তারেক সিকদার (বৈশাখী টিভি)।

তিন সদস্যের একটি কমিটি নির্বাচন পরিচালনা করে।

নির্বাচনের আগে অর্থ সম্পাদক শাহিন আক্তার ও বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) নামে পরিচিত ঢাকা-ভিত্তিক পেশাদার এবং কর্মরত সাংবাদিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম যারা স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও অনলাইনে সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ অবকাঠামো এবং পরিবহন সম্পর্কিত খাত নিয়ে প্রতিবেদন করে।

;