চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবরটি সঠিক নয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে চুয়াডাঙ্গায় নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে তাদের মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (৪৪)। তিনি ঠাকুরপুর পীরপুরকুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। আর মর্জিনা খাতুন (৫৫) দামুড়হুদা উপজেলা শহরের আজিম উদ্দিনের স্ত্রী। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাকির হোসেন ও বেলা ৩টার দিকে মর্জিনা খাতুনের মৃত্যু হয়।

জাকির হোসেনের পিতা আমির হোসেন জানান, ‘দীর্ঘ ৫-৬ বছর যাবত উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিল আমার ছেলে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও তার প্রেশার বেড়ে যায়। ওই সময় মাথায় পানি ঢেলে ও ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়। ভোরবেলা জাকির তার ছেলেকে সাথে নিয়ে পাশের জমিতে পাটের বীজ বুনছিল। এর কিছুক্ষণ পরই জাকির হোসেন মাটিতে পড়ে যায়। আমার নাতি আমাদের জানালে ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এতো সকালে হিট স্ট্রোক হওয়ার কথা না। আমার ছেলে মালয়েশিয়া থেকে পাঁচ বছর আগে দেশে আসে। সেখান থেকে আসার পর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিল সে।’

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুজনের হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবর দেখার পর আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওই দুজনের কেউই হিট স্ট্রোকের কারণে মারা যাননি।’

তিনি বলেন, শনিবার সকাল সাতটার পরে পরিবারের সদস্যরা মৃত অবস্থায় জাকির হোসেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। হার্ট বা ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। তাপমাত্রা ৪০ কিংবা তার অধিক হলে সেই সময় রোদে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক হতে পারে। সকালে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ডা. মহিবুল্লাহ আরও বলেন, শনিবার বিকেল চারটার দিকে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পরিবারের দাবি, সকাল ১০টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন মর্জিনা খাতুন। ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়েছিল। দুপুরের দিকে অতিরিক্ত অসুস্থ অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান। তিনি হিট স্ট্রোকে নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, এতো সকালে যদি মৃত্যু হয়, তাহলে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে, এটা বলা ঠিক হবে না। কারণ সেই সময় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি খুবই কম। হতে পারে তার প্রেশার কিংবা ডায়াবেটিস ছিল। সেই কারণে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে তাপমাত্রা কম থাকে। এসময় হিট স্ট্রোকের কোনো ঝুঁকি নেই। ওনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতেও অসুস্থ বোধ করেছিলেন বলে জেনেছি। ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাক কিংবা ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে তার। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার অধিক তাপমাত্রায় রোদের মধ্যে কায়িক পরিশ্রম করলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। আসলে যে কোনো স্ট্রোক হলে হিট স্ট্রোক বলে চালিয়ে দেওয়া মেডিকেল সায়েন্স সমর্থন করে না। তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষকে সতর্ক করতে হবে। এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না, যাতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;