নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে: মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রজন্ম ’৭০ বাংলাদেশের প্রজন্ম সম্মেলন ও তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৪৮-’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র এগারো দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠে। ’৭০’র সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমগ্র পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালি জাতিকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেয়নি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন, চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা শুরু করে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

মন্ত্রী বলেন, সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর থেমে যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা। শুরু হয় হত্যা, ক্যু আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশি বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে আজ তিনি উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

প্রজন্ম ৭০ বাংলাদেশ-এর সভাপতি আশরাফুল করিম ভূঁইয়া সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন খান, বাংলাদেশ সচিবালয় রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ফসিহ উদ্দিন মাহতাব, সদস্য সচিব এস এম মাহাবুবুর রহমান, আলোক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন বক্তৃতা করেন।

   

চলন্ত অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে চালকের মৃত্যু



স্টাফ করেপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে ওসমান গনি (৪০) নামের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত অটোরিকশাচালক ওসমান গনি পটিয়ার চরকানাইয়ের আদমপাড়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিলিটারিপুল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহতের ভাতিজা মো. রাদেশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার চাচা অটোরিকশা চালায়। আজকে হঠাৎ অটোরিকশার চাকা ব্লাস্ট হয়ে তিনি গুরুতর আহত হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, সিএনজির চাকা খুলে দুর্ঘটনায় আহত হন ওসমান। তাকে চমেক হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: এক এক করে সরানো হচ্ছে রেলের বগি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর জাংশনের কাজী পাড়া এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রেলের লাইনচ্যুত বগি এক এক করে সরিয়ে নিচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উদ্ধারকারী একটি ক্রেনসহ ঘটনাস্থলে পৌছায় দলটি। পরে বিকেল ৪ টা থেকে তারা উদ্ধার কাজে তৎপরতা চালানো হয়।

এর আগে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চালকসহ কয়েকজন আহত হলেও নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার পরপরই গাজীপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি গুলো এক এক করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলোতে তেল থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘন্টা পর থেকে অপর পাশের রেল সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল করছে।

;

জমিতে পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তার, প্রাণ গেল বৃদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জমিতে ছিঁড়ে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সাবা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ডাক্তার কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবা খাতুন ওই এলাকার মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সাবা খাতুন বিকেলে গরুর জন্য জমিতে ঘাস কাটতে যান। এরপর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে গেলে জমিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মৃত অবস্থায় পায়।

এদিন বিকেল চারটার দিকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ওই তারটি ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে একাধিকবার জানালেও তারা তা ঠিক করতে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীরা এই মৃত্যুর জন্য পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাকে দায়ী করছেন।

মো. সরওয়ার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই মহিলাটি মারা যাওয়ার আগে অর্থাৎ দিনে তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে দেখে আমি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে অভিযোগ দিয়েছি। তারা আসতেছি বলে আর আসেনি। তখন আসলে হয়ত এই মহিলাটি মারা যেত না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওই এলাকায় জমিতে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে যাওয়া একটি তার ছিঁড়ে পড়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা বিদ্যুত অফিসকে জানালেও কোনো লোক আসেনি। এদিকে বিকেলে জমিতে ওই মহিলা জমিতে ঘাস কাটতে যায়। মহিলাটি তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। সন্ধ্যায় বিল থেকে ঘরে না ফেরায় খুঁজতে গিয়ে পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম (ফটিকছড়ি জোনাল অফিস) আব্দুস ছালামকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

;

নাম ফলকে বাংলা লেখার অনুরোধ ডিএসসিসির, নইলে ব্যবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এই নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার (৩ মে) সম্প্রতি এক গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএসসিসি। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ওই গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ফলক, চিহ্ন ফলক বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;