চলমান তাপ প্রবাহের সামাজিক প্রভাব ও করণীয়



ড. মতিউর রহমান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ থেকেই দেশজুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। এমন তীব্র দাবদাহে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। এই তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফর।। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প অস্বস্তি আরো বাড়াতে পারে।

পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চুয়াডাঙ্গায় পর পর কয়েকদিন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। এ সময় দিন ও রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনো পার্থক্য না থাকায় এ অঞ্চলের জনজীবন খুবই দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই প্রচণ্ড গরমে শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সতর্ক না হলে যে কেউ সাধারণ পানিশূন্যতা, বদহজম থেকে হিটস্ট্রোকে ভুগতে পারে।

বাংলাদেশ এখন নিয়মিত তীব্র তাপ প্রবাহের সম্মুখীন হচ্ছে, যা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, কিডনি বিকলতা, হৃদরোগ, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী, এবং দরিদ্র মানুষ তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। তাদের শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম হয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা পেতেও তাদের সমস্যা হয়। তীব্র গরমের কারণে মানুষের মেজাজ খারাপ হতে পারে, বিরক্তি, উদ্বেগ, এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাপ প্রবাহের সময় হাসপাতালগুলিতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ বেড়ে যায়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা কমে যায়। অনেক প্রতিষ্ঠানে কাজের সময় পরিবর্তন করা হয়, যার ফলে কর্মীদের জীবনে বিঘ্ন ঘটে। এই সময় ফসলের উৎপাদন কমে যায়, যার ফলে কৃষকদের আয় কমে যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি দেখা দেয়। তাছাড়া, নির্মাণ, পরিবহন, এবং পর্যটন শিল্পও তাপ প্রবাহের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ কমে যায় এবং তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। তীব্র দাবদাহের সময় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তীব্র গরমের কারণে অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পানি ও খাদ্যের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে সামাজিক দ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। তীব্র গরমের সময় অপরাধের হার বৃদ্ধি পায় বলে দেখা গেছে। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে অনেক মানুষ তাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়, যার ফলে জনগোষ্ঠীর স্থানান্তরের সমস্যা দেখা দেয়।

তীব্র গরমের কারণে মানুষের মনে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে থাকে, যার ফলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার সমস্যা দেখা দেয়। তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবারে অশান্তি দেখা দিতে পারে।

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে পরিবেশগত ক্ষতি হয়, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা দেয়। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তীব্র তাপ প্রবাহ মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তা মানবদেহের সহনশীলতার সীমার মধ্যে থাকে। কিন্তু বাতাসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এর চেয়ে বেশি হলে মানবদেহ তা সহ্য করতে পারে না। ফলে অস্বস্তি এবং সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে তাপ বাড়লে তাপ ব্যবস্থাপনাই হবে মূল কাজ, অর্থাৎ কীভাবে তাপ কমানো যায় তা দেখতে হবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তীব্র তাপ প্রবাহে শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করতে এ সময় প্রচুর পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। পানি, স্যালাইন, ফলের রস এবং পানীয় শরীরে আর্দ্রতা বাড়ায়। ডিহাইড্রেশনের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ পানিশূন্যতার কারণে স্ট্রোক হতে পারে।

পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি যুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। তরমুজ, আনারস, জাম্বুরা, আপেলের মতো ফল শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রচুর শাকসবজি খেলে হজমে সাহায্য করে। এটি শরীরের অস্বস্তি কমায়।

দিনের তাপমাত্রা যখন বেশি থাকে তখন সরাসরি সূর্যালোক বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলতে হবে। বাংলাদেশে সাধারণত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্যের আলো সবচেয়ে বেশি থাকে। রোদে যেতে চাইলে ছাতা, টুপি, জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে। চোখ রক্ষা করতে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। কোথাও যাওয়ার আগে সঙ্গে পানির বোতল নিতে হবে।

তীব্র গরমে ভাজা সুস্বাদু খাবার বা জাঙ্ক ফুড শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বার্গার, পটেটো চিপস বা পিজ্জার মতো খাবারে ক্যালোরি, সোডিয়াম এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। ফলে একদিকে যেমন গরম বেশি থাকে, তেমনি বদহজম ও বিরক্তির আশঙ্কা তৈরি হয়। গরমে ভাজা খাবার কম খেতে হবে বা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়ানোর পরামর্শ দেন।

গরমে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই ধরনের কাপড় দ্রুত তাপ শোষণ করে ফলে কম গরম হয়। ঘর ঠাণ্ডা ও বাতাসযুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলায় ঘরে আলো কম থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে। বাড়িতে গাছপালা থাকলে তাপ শোষণ করে। মেঝে পাকা হলে, ঘর বারবার পরিষ্কার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে।

প্রচন্ড গরমে মানুষের শরীর সাধারণত অতিরিক্ত ঘামের কারণে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতার কারণে মানুষের শরীর দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া এ সময় বদহজম ও পেট খারাপ এবং পানিবাহিত রোগ হতে পারে। রোটাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব, কেউ কেউ এমনকি বমিও করতে পারে। এই ধরনের অসুখ সাধারণত একটু সাবধান হলেই এড়ানো যায়। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বাংলাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের সামাজিক প্রভাব ব্যাপক ও দীর্ঘমেয়াদী। এই সমস্যা মোকাবিলায় সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাপপ্রবাহের ঝুঁকি কমানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, এবং পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

   

৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দিবে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অর্ধশতাধিকের বেশি রিকশা চালকদের এসব বিতরণ করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এর আগে উত্তরার ওই সেক্টরে একটি খেলার মাঠে হাঁটার রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। 

এদিকে তীব্র গরমে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি রিকশা চালকরা। ১২ দিনের খাবার স্যালাইন, একটি পানির বোতল ও রিকশার সামনে শক্তিশালী ছাতা গরম ও বৃষ্টি থেকে রক্ষাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।


কাশেম নামের এক রিকশা চালক বলেন, এই গরমে আমাদের স্যালাইন পানি দিলো। ছাতা দিয়েছে। আমাদের এখন কষ্ট কম হবে। আমরা সব সময় ছায়ায় থাকব। মেয়রকে ধন্যবাদ। 

বাশার উদ্দিন নামে আরেক রিকশা চালক বলেন, ছাতাটা খুব উপকারে আসবে। বৃষ্টির সময়ও আমাদের আর ভিজতে হবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্স ধারী ৩০ হাজার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত ৫ হাজারসহ মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার রিকশা চালক আছে আমাদের উত্তর সিটিতে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সকলকে আমরা একটা করে ছাতা দিব। কারণ এরা যদি গরমে অসুস্থ হয়, একদিন ইনকাম করতে না পারে তাহলে তাদের বাড়িতে রান্না হবে না। আমরা তাদের জন্য ১২টি স্যালাইন ও একটি পানির পট দিয়েছি। ঘেমে যে লবণ তাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা এই স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ হবে। 

ছাতা বিতরণ শেষ ওয়াটার ক্যানন স্প্রে মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হয় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়। কৃত্রিম বৃষ্টিতে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সর্ব স্তরের মানুষ উল্লাস করেন।

;

গাইবান্ধায় অতিরিক্ত গরমে পল্লী বিদ্যুতের বিলিং সহকারীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অতিরিক্ত গরমে সেলিনা (৪৫) নামের পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতিরর এক বিলিং সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার বোনারপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসেই তার মৃত্যু হয়।

সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন মোবাইল ফোনে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সেলিনা ওই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রংপুর শহরের জুম্মাপাড়ার মৃত হাসান উল্ল‍্যা শরীফের মেয়ে। চাকরির সুবাদে বোনারপড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

বোনারপাড়া পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতির জেনারেল ম‍্যানেজার কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে মুঠোফোনে জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে আসেন সেলিনা। আসার কিছুক্ষণেই মধ্যেই তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ ঘটনার সাথে সাথেই সহকর্মীরা তাকে চিকিৎসার জন্য সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিয়া আফরিন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রাত মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

এরআগে, জেলার পলাশবাড়িতে মে দিবসের (১মে) কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গরমে অসুস্থ্য হয়ে সাজু মিয়া (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

ওই দিন তাদের সংগঠনের মে দিবসের র‍্যালীতে অংশ নেন সাজু। র‍্যালী শেষে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাজু টাউন হল থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে এসে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়। পরে সেখানকার উপস্থিত লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি কালেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোটবনপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি বাসের সহকারী (হেলপার) ছিলেন এবং গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য।

;

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।

৩ মে রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড়ের বড় একটি অংশ সড়কের উপর ধসে পরে। এই ঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সকাল থেকে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কের দুই পাশে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। পাহাড় ধসের সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভোর থেকে মাটি সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন। বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল খায়রুল আমিন পিএসসি, নিজেই মাটি সরানোর কাজ তদারকি করছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী ও সড়ক যোগাযোগ বিভাগের লোকজনকে মাটি সরানোর অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সড়ক ও জনপদের লোকজনও রওনা হয়েছে। তারা পৌছালে আমরা আশাবাদী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের পর গতকাল দুপুরে বাঘাইছড়িতে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত দুই নারী নিহত ও সাতজন পুরুষ আহত হয়েছে, মারা গেছে ৩ টি গবাদিপশু। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ: আহত শতাধিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়।

এতে ট্রেনের প্রায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া যাত্রঅবাহী ট্রেনটির ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...

;