প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

প্রবাসীদের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে প্রতারণা, দুই ভাই গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম আইডির নিরাপত্তার দুর্বলতা ঠিক করে দেওয়া, হ্যাক হওয়া আইডি উদ্ধার করে দেওয়ার নামে নিজেরাই বিভিন্ন ব্যক্তির আইডির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতেন। এরপর আইডিতে থাকা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা। এছাড়াও আইডিতে যুক্ত থাকা প্রবাসীর স্বজনদের কাছে ম্যাসেজ দিয়ে মায়ের অসুস্থতার কথা বলেও টাকা হাতিয়ে নিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সার ও ফেসবুক বিশেষজ্ঞ পরিচয়ে প্রতারণার করে আসছিলেন শামীম আহমেদ জয় (২৩) এবং মোহাম্মদ স্বাধীন আহমেদ (১৮)। তারা আপন দুই ভাই। তাদের টার্গেটে থাকত ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডিয়ান এক প্রবাসীর আইডির নিরাপত্তা ত্রুটি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন জয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার হাতিয়ে নেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী তার বাবার মাধ্যমে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)’র সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ডেমরা থানার টেংরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিপিইউ, ২টি মোবাইল ফোন, ১টি রাউটার ও ১২টি ভুয়া এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তার দখলে থাকা প্রায় ৫০০ দেশি-বিদেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া যায়।

শামীম আহমেদ জয়কে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, একটা সময়ে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে হ্যাক হওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের কাজ করতো শামীম। ফ্রিল্যান্সার থেকে ২০২৩ সাল থেকে প্রতারণা শুরু করেন সে। শামীম প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ঐ অ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা পরিচিত ব্যক্তিদের মেসেঞ্জারে “আমার মা স্ট্রোক করেছে। জরুরী দরকার। তিন হাজার ডলার পাঠাও।” এমন সব বার্তা পাঠিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করা শুরু করে। হ্যাক করা অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেও আদায় করা হতো অর্থ। এমনকি হ্যাক করা আইডি থেকে গুরুত্বপূর্ণ-স্পর্শকাতর তথ্য, গোপন ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়াও ঐ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুদের টার্গেট করে মেসেঞ্জারে তাদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অথবা অ্যাকাউন্টের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার কথা বলে একটি মোবাইল নাম্বার অথবা একটি ইমেইল অ্যাড্রেস অ্যাড করার অনুরোধ করতো। ভুক্তভোগী মোবাইল নাম্বারটি অথবা ইমেইল অ্যাড্রেসটি অ্যাড করলে শামীম আহমেদ জয় টার্গেট অ্যাকাউন্টটিতে “ফরগেট পাসওয়ার্ড” অপশনটি ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিত। এরপর একটি লেমিনেটিং মেশিন ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড তৈরি করে ফেসবুকে সাবমিট করে হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিত। এছাড়াও হ্যাককৃত অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য ও ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় হুমকি দিয়েও অনেক ভুক্তভোগীকে অর্থ দিতে বাধ্য করত।

ব্লাকমেইল ও প্রতারণার স্বীকার ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে টাকা আনতেন। এজন্য তারা ব্যবহার করতেন ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র। শামীমের হাতিয়ে নেওয়া ডলার তার ছোট ভাই স্বাধীন আহমেদ নিজের এলাকা থেকে দূরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে তুলতেন।

অতিরিক্ত কমিশনার আসাদ আরও বলেন, শামীমকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের প্রায় ৫০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের লগইন করার প্রয়োজনীয় ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীরা এই হ্যাকারের টার্গেট। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শামীম। প্রত্যেক ভূক্তভোগীর কাছ থেকে সর্বনিম্ব ১০০০ হাজার ডলার নিতো সে।

এক প্রবাসীর ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরবর্তীতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ওই প্রবাসীর বাবা ডিএমপির উত্তরা পুর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

   

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে ফজল আলী (২৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক।

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০)।

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমিসহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। পরে বাড়িতে চলে এসেছি। আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

জহুরুল আরও জানান, আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।

নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা বলেন, গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।

কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুইজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেতলে গেছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

;

জামিনে মুক্তি পেলেন মামুনুল হক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২টি মামলা ছিল। সর্বশেষ গত রোববার খুলনা ও চট্টগ্রামের দুই মামলা তিনি জামিন পান।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। এ সময় জেলগেটে ছিলেন, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরি, বড় ভাই মুফতি মাহফুজুল হক, ছেলে যিমামুল হক, ভাগিনা এহসানুল হক।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে তার জামিনের কাগজ কারাগারে এসে পৌঁছায়। তবে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। যার কারণে গতকাল তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার বড় ভাই এর জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

এর আগে তার মুক্তির খবরে রাতভর গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাফটকে অপেক্ষা করেছেন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

এর পরপরই ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান পুলিশ। গ্রেফতারের পর থেকে এসব মামলায় তিনি কারাভোগ করছেন।

;

গৌরনদীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বাটাজোর বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে গণসংযোগে যায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ ও তার সমর্থকরা।

আহতের স্বজনদের অভিযোগ, বাটাজোর বাজারে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক মেয়র হারিছুর রহমানের সমর্থক দিলু হাওলাদার, মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ীসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীরা ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নিজে উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুকে গুলি চালায় এবং তার বাহিনীদের পিকলুকে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। হারিছের নির্দেশের পরপরই তার সন্ত্রাসী বাহিনী পিকলুকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে অবরুদ্ধ করে রাখে।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল চালক পলাশ হাওলাদারকেউ কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের স্বজনরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরি ও পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে আহতদের বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

তবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে, চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় তার সমর্থক দিলু হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বরিশাল গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দিবে মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা চালকদের মাঝে ছাতা, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে অর্ধশতাধিকের বেশি রিকশা চালকদের এসব বিতরণ করেন উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এর আগে উত্তরার ওই সেক্টরে একটি খেলার মাঠে হাঁটার রাস্তার উদ্বোধন করেন তিনি। 

এদিকে তীব্র গরমে সরাসরি সূর্যের তাপ থেকে রক্ষায় ছাতা ও অন্যান্য উপকরণ পেয়ে খুশি রিকশা চালকরা। ১২ দিনের খাবার স্যালাইন, একটি পানির বোতল ও রিকশার সামনে শক্তিশালী ছাতা গরম ও বৃষ্টি থেকে রক্ষাতে ভালো ভূমিকা রাখবে বলে জানান তারা।


কাশেম নামের এক রিকশা চালক বলেন, এই গরমে আমাদের স্যালাইন পানি দিলো। ছাতা দিয়েছে। আমাদের এখন কষ্ট কম হবে। আমরা সব সময় ছায়ায় থাকব। মেয়রকে ধন্যবাদ। 

বাশার উদ্দিন নামে আরেক রিকশা চালক বলেন, ছাতাটা খুব উপকারে আসবে। বৃষ্টির সময়ও আমাদের আর ভিজতে হবে না।

উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় লাইসেন্স ধারী ৩০ হাজার ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অনুমোদিত ৫ হাজারসহ মোট ৩৫ হাজার রিকশাচালককে ছাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার রিকশা চালক আছে আমাদের উত্তর সিটিতে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের সকলকে আমরা একটা করে ছাতা দিব। কারণ এরা যদি গরমে অসুস্থ হয়, একদিন ইনকাম করতে না পারে তাহলে তাদের বাড়িতে রান্না হবে না। আমরা তাদের জন্য ১২টি স্যালাইন ও একটি পানির পট দিয়েছি। ঘেমে যে লবণ তাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায় তা এই স্যালাইনের মাধ্যমে পূরণ হবে। 

ছাতা বিতরণ শেষ ওয়াটার ক্যানন স্প্রে মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ছড়ানো হয় উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়। কৃত্রিম বৃষ্টিতে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সর্ব স্তরের মানুষ উল্লাস করেন।

;