সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

   

বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারে বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় সাভারের কলমা এলাকায় রেবেলা অ্যাপারেলস নামে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের।

শ্রমিকরা জানান, তিন বছর আগে কারখানাটি চালু হয়। তখন থেকেই বেতন, ওভার টাইম পরিশোধ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করে আসছিল কর্তৃপক্ষ। এ বছরও একইভাবে বেতন বকেয়া রাখছিল তারা। সম্প্রতি ঈদ-উল-ফিতরের দুই দিন আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয় শ্রমিকদের। ঈদের পরে পুরো বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও তা কয়েকবার ঘুরিয়ে পরিশোধ করা হয়নি। সবশেষ ২৮ এপ্রিল বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এরই জেরে বৃহস্পতিবার অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

কোলে শিশু সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন এক শ্রমিক। তিনি বলেন, দুই মাস হয়ে গেছে বেতন পাই না। বারবার ঘুরাচ্ছে। বাসার খরচ, বাসা ভাড়া মেটাতে পারছি না। সংসার চালাতে পারছি না। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। বেতন না দিলে বাসায়ও যেতে পারবো না।

আরেক শ্রমিক বলেন, বেতন দেয় না দুই মাস হলো। ওভারটাইম ডিউটি করালেও সেটার পুরো টাকা দেয় না। এখন ডেট দিয়েও ঘুরাচ্ছে। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

রেবেলা অ্যাপারেলস ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়হান আহমেদ বলেন, ঈদের আগে একটি শিপমেন্ট না পাওয়ায় বেতন দেরিতে দেওয়া হয়েছে। তবে ঈদের আগে অর্ধেক বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বাকিটাও করা হবে। তবে সেজন্য বিক্ষোভ করা শ্রমিকদের ইস্তফা দিতে হবে।

শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। সম্ভবত কারখানাটি নিবন্ধিত নয়। সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করছে। শ্রমিকরা অভিযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

;

তীব্র তাপদাহে সড়কের বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

তীব্র তাপদাহে যশোরে বিটুমিন গলে যাওয়া, উত্তর খুঁজতে ঘটনাস্থলে দুদক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে যশোরে সড়কের বিটুমিন (পিচ) গলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই ধারাবাহিকতায় যশোর-নড়াইল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা বিটুমিন (পিচ) পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখেন দুদকের কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক আল আমিন বলেন, বিটুমিন (পিচ) গলার ঘটনা পরিদর্শনে আমাদেরকে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এসে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে গলা পিচ পরীক্ষা করেছি। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ করে আমরা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক চিরঞ্জন নিয়োগী, সহকারী পরিদর্শক সাফিউল্লাহসহ সড়ক বিভাগের দুইজন সহকারী প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।

 

;

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনালের জন্য ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী মূল্যে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ৫০০ একর সরকারি খাস জমি বরাদ্দ পেল চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে আউটার রিং রোড ঘেঁসে বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পাওয়া জমির দাম রাখা হয়েছে মাত্র তিন কোটি তিন টাকা। সরকার নির্ধারিত এই ফি জমা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২ মে) বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতারের সই করা চিঠিতে তিন মৌজায় ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ একর জমির বিপরীতে পৃথক তিন চালানে এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি ৩ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে বন্দোবস্ত পাওয়া ৫০০ দশমিক ৭০৬৩ এর জমির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ কাট্টলী মৌজার ৬২ দশমিক ২২৫২ একর, উত্তর হালিশহর মৌজার ৩৩৯ দশমিক ২৬৭৫ একর এবং হালিশহর মৌজায় ৯৯ দশমিক ২১৩৬ একর খাস জমি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে হালিশহর এলাকার সাগর উপকূলে মোট আড়াই হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে বে টার্মিানাল প্রকল্প।

চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) পান্না আকতার। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মৌজায় ৫০০ একর জমির জন্য নির্ধারিত এক কোটি এক টাকা করে তিন কোটি তিন টাকা পৃথক তিন চালানে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ম্যানেজার (এস্টেট) মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য প্রতীকী মূল্যে ৫০০ একর জমি জেলা প্রশাসন থেকে দীর্ঘমেয়াদে বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে সরকার নির্ধারিত মূল্য জমা দেওয়া জন্য জেলা প্রশাসন চিঠি দিয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৬ সাল থেকে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রায় জায়গা ভরাট করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে এবং ২০২৬ সালে আংশিকভাবে কার্যক্রম শুরু করারও লক্ষ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

;

ওমরায় পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওমরায় পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা ও প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানার দক্ষিণ আউচপাড়া মৃত আব্দুল মালেকের পুত্র তানভীর আব্দুল হান্নান (৪২) এবং আউচপাড়া সুর তরঙ্গ রোডের আবদার হোসেনের পুত্র শরীফ হোসাইন ঔরফে মাসুম বিল্লাহ (৪৬)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন আসামীদ্বয় ওমরা হজ্বে পাঠানোর প্রলোভনে মযমনসিংহের তারাকান্দা ফুলপুর, ময়মনসিংহ সদর, টাংগাইল, শেরপুর, নেত্রকোণা উপজেলা সহ সারাদেশের শত শত লোকের কাছ থেকে প্রায় দেড়/দুই কোটি টাকা নিয়ে গত এক বছর আগে লাপাত্তা হয়ে যায়।

মাসুম বিল্লাহ বিশ্বাস অর্জনের জন্য কিছু লোককে গত বছর ওমরা করান এবং তারাকান্দা থানার মাঝিয়ালি গ্রামে কয়েকটি পুকুর ভাড়া নিয়ে ফিশারির ব্যবসা শুরু করে। শত শত লোকের টাকা নিয়ে এক বছর আত্মগোপনে থাকে। হঠাৎ তিন চার দিন আগে আসামিরা তাদের ফিশারিতে এসে মাছ বিক্রি শুরু করলে সংবাদ পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশ তাদের কে আটক করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পাওনাদার আরিফ হোসেন নামে বাদী হয়ে তারাকান্দা থানা মামলা দায়ের করেন।

তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওয়াজেদ আলী আরও বলেন পুলিশ যথাযথ ভাবে নিয়মিত মামলা দায়ের করে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

;