সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় গত কয়েকদিন এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি হিন্দু (সনাতন ধর্মের) বলে জানান এলাকাবাসী।
বিজ্ঞাপন
শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম জানান, সকালে সোরা এলাকার সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দিলে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মৃত অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
পরিচয় শনাক্ত করা না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে হামলায় যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আলম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
সেদিন মুল নথি না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। নথি প্রাপ্তি সাক্ষেপে আজকে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানির জন্য রাখেন আদালত।
রিমান্ড শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামির পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুরে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন সরকার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।
দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছরের ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। পরে ১৯ অক্টোবর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
খুলনা থেকে অপহৃত দুই মাদরাসাছাত্রকে উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশ। এ সময় তুহিন (১৭) নামে এক অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে শিশু দুটিকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃতরা হল- খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার আলফারুক মোড় এলাকার নিজামুদ্দিনের ছেলে নিয়াজ উদ্দিন শান্ত এবং খুলনার রূপসা থানার ওহিদুজ্জামানের ছেলে আবুবক্কর আমান। তারা দুজনেই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী।
অপহরণকারী তুহিন পাবনা সদর থানার দোগাছিচর এলাকার মুকুল হোসেনের ছেলে।
ভেড়ামারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভেড়ামারা ষ্টেশনে এসে পৌঁছালে ট্রেন থেকে তিনজনই প্লাটফ্রমে নামে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তুনি শিশু দুটিকে খুলনা থেকে ট্রেনে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। শিশু আবুবক্কর তার বাবার মোবাইল নম্বর বলতে পারায় তার বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আবুবক্কর এর বাবা থানায় আসার কথা বলেছেন। বর্তমানে তিনজনই ভেড়ামারা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নিয়াজ উদ্দিন শান্তের পরিবারের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম জানান, উদ্ধারকৃত দুই শিশু খুলনার দারুল নাযাত মডেল মাদরাসার শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। মোবাইল ফোনে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এ পোস্ট করেন তিনি।
‘জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে’ শিরোনামে দেয়া ওই পোস্টে গণঅভ্যুত্থান ও ‘মাস্টারমাইন্ড নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
পোস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইসে। ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে, তারা অবশ্যই পাবলিক-প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদরাসা-স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট (বৈধ) নেতৃত্ব হিসাবে মানতেন।’
ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টে সবাইকে মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে কিন্তু, Saboteur (নাশকতাকারী) দের বাদ দিয়ে। Sabotage বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস- এসব যেকোন বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen's Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।’
‘তৌহিদী জনতা’ আখ্যায়িত করা নিয়ে পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্যকোন বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সেক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিং বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনটাই হতে চাই না।’
গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তির গন্তব্য নিয়ে মাহফুজ আলম আরও লিখেছেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেয়া যাবে না।’