মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিদিনই যেন তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই উপরে উঠছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। 

এদিকে, তীব্র তাপদাহে প্রাণীকূল ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিও যেন তীব্র গরমে বিপর্যস্ত। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে সচেতনতামূলক মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলতি মৌসুমের রেকর্ড ভাঙছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ।

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, জনজীবন বিপর্যস্ত
 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ জেলায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার (১৭ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলমান এ তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় গড় তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলার অবস্থান কর্কটক্রান্তি রেখার কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি বছর মার্চ ও এপ্রিলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে। তবে আপাতত স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সাথে বৃষ্টি হতে পারে। এটা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই গরমে হিট স্ট্রোকের ঝু্ঁকি থাকে, তাই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে আমরা জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

গরমে স্বস্তি নিতে ও শরীর ভালো রাখতে ডাবের পানি পান করছেন

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কড়া রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার নির্জন পরিবেশ খুঁজে বাতাসের জন্য প্রকৃতির দিকে চেয়ে আছেন। তবে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।

আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন মোটরসাইকেলের হাটে বাইক বিক্রি করতে আসা জসিম উদ্দীন নামের এক যুবক জানান, বাইক নিয়ে হাটে এসে পড়েছি বিপাকে। একে তো খোলা মাঠে হাট, মাথার ওপর সূর্য দাউদাউ করে জ্বলছে। রোদ আর গরমে মনে হচ্ছে শরীর একেবারে পুড়ে যাচ্ছে। বাড়ি থেকে ছাতাও নিয়ে আসা হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদরের ডাব বিক্রেতা শমসের মন্ডল জানান, এই তীব্র গরমে তার ডাবের চাহিদা ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে। প্রতিদিন যে পরিমাণ ডাব তিনি বাজারে নিয়ে আসেন, সবই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মানুষ একটু স্বস্তি নিতে ও শরীর ভালো রাখতে ডাবের পানি পান করছেন।

এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, গরমের সাথে হাসপাতালে বেড়েছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ঈদের পর থেকে এখন পর্যন্ত শয্যা সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। শয্যা সংকুলান না হওয়ার রোগীরা বারান্দা ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এই চিকিৎসক পরামর্শ হিসেবে বলেন, তীব্র গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বেশি করে পানি পান করতে হবে। ঠান্ডাজাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবের পানি বেশি করে পান করতে হবে। এসময় তাপ এড়িয়ে ঠান্ডা স্থানে থাকতে হবে।

   

‘এখানে ৩০ টাকায় চুল ছাঁটা হয়’



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুল মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। বাহারি ডিজাইনের চুল কাটতে মানুষ ছুটে যায় সেলুন বা পার্লারে। তবে রাজধানী, শহর, উপশহর ও গ্রামে চুলের কাটিং মূল্যের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। স্থান, কাল, ও পাত্র ভেদে নির্ধারিত হয় নাপিতের পারিশ্রমিক। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতর সাধারণ মানের সেলুনে দাঁড়ি-গোফ কাটার মূল্য দিতে হয় শত টাকা, আর চুলের ডিজাইন করতে গুণতে হয় কয়েক’শ টাকা। এ সময়ে এসেও মাত্র ৩০ টাকায় মাথার চুলের নান্দনিক ডিজাইন করে দেন লব শীল।

সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে সামান্য পারিশ্রমিকে খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে মানুষের মাথার চুল, গোফ, দাঁড়ি সেফ করেন তিনি। তার ভ্রাম্যমাণ সেলুনে চুল কাটার মূল্য ৩০ টাকা, গোফ ও দাঁড়ি সেফ করা হয় মাত্র ২০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকালে কলাগাছি গ্রামের রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে ভ্রাম্যমাণ সেলুনে কাজ করতে দেখা যায় লব শীলকে।

দাঁড়ি সেফ করতে করতে লব শীল বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমরা পেশায় নাপিত। আমার বাপ দাদারাও এই কাজ করে গেছে, এখন আমিও করছি। আমার দুই ছেলে তারাও এই কাজ বেছে নিয়েছে। বংশ পরস্পরায় আমাদের সবাই এই কাজ বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সব পেশাতেই আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগায় এখন আর কেউ খোলা আকাশের নিচে মাটিতে বসে, টুলের উপর বসে দাঁড়ি, গোফ, চুল কাটাতে চায় না। এসবের জন্য গ্রামের মানুষ এখন শহরে ছুটে যান। আগের মতো আমাদের আর কাজ হয় না। দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের পূর্বপুরুষদের এ পেশা। তাই বাপ দাদার আমলের পেশা ধরে রাখতে এখনো কাজ করছি। আধুনিকায়নের যুগে এসে আমাদের পেশা প্রায় বিলুপ্তির পথে।

তিনি বলেন, এখর আর আগের মতো আমাদের আয় রোজগার হয় না। সারাদিনে যা আয় হয় তা দিয়ে পেট চলে না। আমরা খোলা আকাশের নিচে চুল কাটি বলে আমাদের মজুরি মাত্র ৩০ টাকা। গোফ ও দাঁড়ি সেফ করা হয় মাত্র ২০ টাকায়। কিন্তু যখন বাজারে চেয়ারে বসে একই ভাবে চুল কাটে তখন তাদের মজুরি হয় ৭০ টাকা। শুধু পার্থক্য আমরা খোলা আকাশের নিচে আর তারা দোকানের ভেতরে চেয়ারে বসিয়ে চুল কাটে।

তার ছেলেদের এ পেশায় নিয়ে আসছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমার ২ ছেলে। আমাদের পূর্বপুরুষদের পেশা ধরে রাখতে আমি তাদেরও এ পেশায় নিয়ে এসেছি। আমার দাদু এ কাজ করেছে, আমার বাবাও করেছে, এখন আমি করছি আর আমার দুই ছেলেও এ পেশায় কাজ করছে। তবে আয় কম হওয়ায় ছেলেরা এভাবে কাজ করতে চায় না বলেও জানান তিনি।

লব শীলের ছেলে গোলক শীলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখছি বাবা সব মানুষের চুল কেটে আসছে। তাই আমরা দুই ভাই ও বাবার পেশা মাথাই তুলে নিয়েছি। আমরা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসেছি, সেখানে দোকান ভাড়া নিয়ে এ পেশা বহাল রাখেছি। আমরা গ্রামে গ্রামে ঘুরি না। গ্রামে কাটলে ভালো মজুরি পাওয়া যায় না কিন্তু শহরে একটা চুল, দাঁড়ি কাটলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পাওয়া যায়।

;

রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২

রাঙামাটিতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে বজ্রপাতের আঘাতে ২ জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে জেলার পৃথক স্থানে এই নিহতের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টার সময় রাঙামাটি শহর সংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আহত হয় নজির আহাম্মেদ (৫০) নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার পরপরই তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত জানিয়েছেন, নজির আহাম্মেদ নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। তবে তার শরীরে বজ্রপাতের আঘাতের সদৃশ কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, বজ্রপাতের আঘাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা সদরের বড়াদম মুসলিম ব্লক এলাকায় বাহারজান নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। একই সময়ে একটি গরু মারা গেছে বলে জানা গেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১মে) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৮টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

তীব্র তাপপ্রবাহের পর চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের পর গভীর রাতে স্বস্তির বৃষ্টি দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম নগর ও আশেপাশের উপজেলায়। সাত ঘণ্টার দুই দফায় মোট ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (১ মে) রাত ৩টার দিকে প্রথম দফায় বৃষ্টি হয়। পরে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে আরও এক দফায় বৃষ্টি হয়। 

এদিকে টানা তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি দেখে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। পাশাপাশি কমেছে গরমের তীব্রতা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, চট্টগ্রামে আগামী ২৪ ঘণ্টায় থেমে থেমে হালকা ও মাঝামাঝি ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই অফিসের আবহাওয়াবিদ আব্দুল বাকের বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'রাত ৩টায় চট্টগ্রামে প্রথম দফায় এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পরে সকালের দিকে আরেক দফায় ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ও বিকেলের দিকে চট্টগ্রামে আরও বৃষ্টির হতে পারে। আগামীকালও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।'

;