দশ হাজার টাকার জন্য বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না দেয়ার আব্দুল কাদের (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে ছেলে। এই ঘটনার পর থেকে ছেলে আরিফ হোসেন (২০) পলাতক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল কাদের ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ ছেলের বাবা, ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট ছেলে।

ফুলবাড়িয়া থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত আব্দুল কাদের ৬ ছেলের বাবা। ঘাতক আরিফ হোসেন সবার ছোট। সে প্রায়ই টাকার জন্য বাবাকে চাপ দিতেন ও নির্যাতন করতেন। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে আরিফ। আরিফ মাঝে মাঝে নেশা করতেন। ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে আরিফ হঠাৎ করে ১০ টাকার জন্য বাবাকে চাপ প্রয়োগ করে। টাকা না দিলে বাড়ি ঘর ভাঙচুর করবে বলে জানায়। এতে ভয়ে বাবা আব্দুল কাদের আলাদা বাড়ি করা বড় ছেলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

বড় ছেলেকে বিষয়টি জানালে বাবাকে অভয় দিয়ে বাড়িতে দিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাবা আব্দুল কাদের আবারও ভয়ে তার বড় ছেলের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আরিফ পিছন থেকে বাবার পেটে-পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এসময় আব্দুল কাদের চিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ছেলে আরিফ ঘটনার পর থেকে।

   

মোহাম্মদপুরে হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার জাকির হোসেন রোডে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে যায় থানা পুলিশ। পরবর্তীতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোড খেলার মাঠের পাশের ড্রেন তৈরির কাজ করার সময় একটি পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিট গিয়ে গ্রেনেড উদ্ধার করে নিস্ক্রিয় করেছে।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত। দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকায় জং ধরে গেছে। সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধার হওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি।

;

নলকূপেও পানি মিলছে না ঠাকুরগাঁওয়ের কয়েকটি গ্রামে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ, নেই বৃষ্টি। পুড়ছে উত্তরের জনপদগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকটি গ্রামে নেমে গেছে পানির স্তর। এতে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। ফলে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন কাজে পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, জেলার সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছেনা। ক্রমশ বেড়ে চলছে এমন দূর্ভোগ। এতে দৈনন্দিন জীবনের কাজে ব্যত্যয় ঘটছে৷

দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর। টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। যারা বডিং করে পাম্প বসিয়েছেন, তারা কিছুটা পানি পাচ্ছেন। তাদের বাড়ি থেকে পানি আনতে গেলেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাওয়ায় তারা পানি দিতে চাচ্ছেন না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। দীর্ঘ সময় পর একটু পানি উঠলেই কিছু সময়ের মধ্যে আবার তা শেষ হয়ে যায়।

শাহানাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, এমনিতে গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েল গুলোতে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেকক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এ

রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের প্রায় সময়ে ওযু করার জন্য পানির প্রয়োজন হয়। কয়েকদিন থেকে টিউবওয়েল গুলোতে পর্যাপ্ত পানি মিলছে না। এতে সবারই অনেক রকম সমস্যা হচ্ছে। যদিও এটি এখন চলমান জাতীয় সমস্যা। আমরা আবদার করছি যাতে স্থানীয় ভাবে এটি সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক শামীম আনোয়ার বলেন, সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে এ জেলায় কয়েকটি জায়গায় এমন চিত্র দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এটির সমাধান করা যায়।

;

ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ লিবিয়া থেকে বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। 

এ ঘটনায় একটি মামলাও হয়েছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্য রাত সাড়ে চারটার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জনের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালক ছিলেন। 

দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিশরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা পাঁচজন মাদারীপুরের ও তিনজন গোপালগঞ্জের।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা অভিযোগ করেন ওই ৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে বলে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তারা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।

;

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় বজ্রপাতে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে মাটিরাঙ্গার বড়নালের ইব্রাহিম পাড়ায় বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াছিন আরাফাতের মৃত্যু ঘটে।

নিহত ইয়াছিন আরাফাত ওই এলাকার ইউসুফ মিয়ার বড় ছেলে।

জানা যায়, বৃষ্টির আগে দমকা হাওয়ার সময় বাড়ির পাশের গাছ থেকে আম কুড়াঁতে যায় আরাফাত। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তার মৃত্যু ঘটে।
মাটিরাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে বিধি মোতাবেক সহযোগীতা করা হবে।

;