সিজারিয়ান কতটা প্রয়োজন



খন্দকার আসিফুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
সিজারিয়ান প্রসবে নিষেধাজ্ঞার দাবি কি যৌক্তিক?

সিজারিয়ান প্রসবে নিষেধাজ্ঞার দাবি কি যৌক্তিক?

  • Font increase
  • Font Decrease

সিজারিয়ান প্রসবে নিষেধাজ্ঞা যৌক্তিক কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিতর্ক থাকতে পারে। তার আগে জানা দরকার সিজারিয়ান প্রসব কেন করতে হয়। সিজারিয়ান প্রসব করা হয় যখন মা স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে শিশুর জন্ম দিতে অপারগ হন বা মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী যদি মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারগণ মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিজারিয়ান প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রসবে কোনও ঝুঁকি না থাকা সত্ত্বেও গর্ভবতী মায়ের ইচ্ছেতেও অনেক সময় সিজারিয়ান প্রসব করতে হয়।

সর্বশেষ জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের (নিপোর্ট) একটি সমীক্ষাতে বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে (বিডিএইচএস) ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায় যে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাত্র ৫ বছরে সিজারিয়ান প্রসবের ঘটনা ৩৪ থেকে বেড়ে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সমীক্ষাই প্রমাণ করে বাংলাদেশে অস্ত্রোপচার বা সিজারিয়ান সন্তান জন্মদানের প্রবণতা কতটুকু বেড়েছে।

যদিও সিজারিয়ান প্রসব করানো হয় শুধুমাত্র প্রসবের সময় কোনও জটিলতা দেখা দিলে। তবে বাংলাদেশে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও দিন দিন বেড়েই চলছে সিজারিয়ান প্রসবের প্রবণতা। সমীক্ষায় এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে গিয়ে প্রসব করানোর প্রবণতা বাড়ার কারণে।  সরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশনের হার কম হলেও বেসরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে হচ্ছে সিজারিয়ান প্রসব। তবে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সিজারিয়ান প্রসব করা হলে মা ও শিশু উভয়ই পড়তে পারে ঝুঁকির মুখে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হয় না, সে ক্ষেত্রে সিজারিয়ান প্রসব তখন বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। যেমনটি ঘটেছিল দুই সন্তানের জননী সানজিদা মাহমুদ চৈতির ক্ষেত্রে। চৈতি বার্তা২৪.কমকে জানান, তার প্রথম সন্তানের প্রসব স্বাভাবিকভাবে হওয়ার কথা থাকলেও, শিশু গর্ভেই মলত্যাগ করে ফেলে এমনকি শিশু অক্সিজেনও নিতে পারছিল না। এবং চৈতি নিজেও দুর্বল হয়ে পড়েন। যে কারণে আর কোনও উপায় না পেয়ে মা ও শিশুকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত ডাক্তারকে সিজারিয়ান সেকশনে যেতে হয়েছে।

চৈতি বলেন, আমিও খুব চেষ্টা করছিলাম স্বাভাবিক প্রসবের জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারিনি। তবে এটাও ঠিক, ডাক্তার যদি সে সময়ে সিজারিয়ান সেকশনে না যেতেন তাহলে হয়তো আমি আজকে বেঁচে থাকতাম না।

সিজারিয়ান প্রসব করাবেন বলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাশফিয়া। কেন তিনি সিজার করাবেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমি ছোটবেলা থেকেই সামান্য ব্যথাও সহ্য করতে পারি না। ভয় হচ্ছে কীভাবে কী হবে। সিজারে কষ্ট কম হবে শুনেছি তাই সিজারই করব।'

সিজারিয়ান প্রসব নিয়ে বার্তা২৪.কমের কথা হয় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সালিমা আখতার জাহানের সাথে। তিনি বলেন, আমি দেশে-বিদেশে অসংখ্য ডেলিভারি কেস হ্যান্ডেল করেছি এবং এখনও করছি। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি স্বাভাবিক প্রসব করানোর জন্য। তবে সিজারিয়ান সেকশনের ইন্ডিকেশন যখন আসে তখন আর কিছু করার থাকে না, সিজারিয়ান সেকশনে যেতে হয়। মায়ের গর্ভের জায়গা অনুযায়ী বাচ্চা ঠিক আছে কিনা, বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা, বাচ্চার আকার ঠিক আছে কিনা, গর্ভের ভেতরে বাচ্চার পজিশন ঠিক আছে কিনা-এই সব যদি ঠিক থাকে তাহলে স্বাভাবিক প্রসবই হবে। যদি এগুলো ঠিক না থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের সিজারিয়ান সেকশনে যেতে হয় এবং পৃথিবীর সব দেশেই একই নিয়মে সিজারিয়ান সেকশনে যান ডাক্তারেরা।

তিনি আরও বলেন, পূর্বে আমাদের দাদি-নানিদের সময়ে তারা অনেক পরিশ্রম করতেন, তাদের ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হত। যে কারণে তাদের স্বাভাবিক প্রসবই হত। কিন্তু বর্তমানে তা হয় না। যে কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিজারিয়ান সেকশনে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই থাকে না।

অপ্রয়োজনে সিজারিয়ান সেকশনে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, সিজারিয়ান সেকশন একবারে বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে এমন অনেক দেখা যায়, গর্ভবতীর ৫ ঘণ্টা ধরে প্রসব ব্যথা হচ্ছে কিন্তু প্রসবের রাস্তা ছোট বা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কোনভাবেই বাচ্চা প্রসব হচ্ছে না- এমন অবস্থায় সিজারিয়ান প্রসবই করাতে হয়। এমন আরও অসংখ্য কারণ রয়েছে। সুতরাং, সিজারিয়ান সেকশন বাদ দেওয়ার কোনও রাস্তা নাই। যার মেডিকেল হিস্ট্রি স্বাভাবিক থাকবে তার স্বাভাবিক প্রসব হবে এবং যার স্বাস্থ্যগত  ঝুঁকি থাকবে তার সিজারিয়ান প্রসব হবে। এভাবেই বলছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. সানজিদা তাবাসসুম।

এদিকে, সম্প্রতি মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে গর্ভবতী নারীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, গত ১৩ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গর্ভবতী মাকে মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে বের করে দিলেন গাইনি চিকিৎসক’ শিরোনামে প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত শনিবার এক বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে মানবাধিকার কমিশন জানতে পারে, মিটফোর্ড হাসপাতালে সন্তান প্রসব করাতে গিয়েছিলেন রাজধানীর শ্যামপুরের এক নারী। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে স্বাস্থকর্মী জানায় সব স্বাভাবিক রয়েছে। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার আর্থিক অবস্থা জানতে চান এবং অস্ত্রোপাচারের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই নারী তার আগের দুই সন্তান স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে জানিয়ে অস্ত্রোপাচারে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর উপর নানা প্রকার মানসিক চাপ তৈরি করেন। চিকিৎসক আপত্তিকর মন্তব্যসহ হয়রানিমূলক কথা বলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে মুগদা নবস্বাস্থ্য নামের এক সরকারি হাসপাতালে ওই নারীর স্বাভাবিক প্রসব হয়।

   

তীব্র দাবদাহে পিরোজপুর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার আছেন ফ্লোরে। গত ৭ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯ শ' ২০ জন। প্রচণ্ড গরম, জ্বর আর শ্বাসকষ্টে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২ মে) হাসপাতালের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

প্রতিদিনই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটেরপিরা, ডিহাইড্রেশন ও এ্যাজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগী আসছে দলে দলে। রোগীদের অবস্থা জটিল হওয়ায় তারা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় ও  জায়গা সংকটে ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৯০ জন। ফলে অনেককে রোগী নিয়ে বারান্দায় পড়ে থাকতে হচ্ছে। একেতো রোগীর চাপ তার উপর প্রচণ্ড গরম থাকায় হাসপাতালে রোগীদের সমস্যা আরোও চরমে পৌঁছেছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালটির সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কখনো তা দ্বিগুণের বেশী হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রোগীদের সাথে চিকিৎসকদেরও কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিট এলার্ট জারী থাকায় গরমে কম বের হতে ও বাইরের খোলা খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

;

মেটাল কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুদিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শত কোটি টাকা, এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্ব পরিচিত মো. ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

পিবিআই জানায়, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্যতা ও বিশ্বাস স্থাপন করে। তারপর তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করানোর কথা বলে তাকে নিয়ে চাঁদপুরের আসামি মানিক মোল্লার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান।

আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম।

চুক্তি অনুযায়ী, রফিকুল ইসলাম ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একই সঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারেন, সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পাড়ানো হয়, রফিকুল ইসলামকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেটা ‘তক্ষক’ ‘সীমান্ত পিলার’-এর মতো এটাও একটি প্রতারণার কৌশল মাত্র।

তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে সদরঘাটে এসে চক্রের অন্যান্য সদস্যরা সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে আসামি ইউসুফ এবং মেটাল কয়েনটি তাদের হেফাজতে নিয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি নাটক সাজিয়ে শেষে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চক্রের আরেক সদস্য সাখাওয়াত এসে কয়েনটি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং আরেক সদস্য লিটন ৮০ লাখ টাকা নিলে রফিকুল ইসলামের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের অন্য সদস্যরা এখনো পলাতক।  

পিবিআই জানায়, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। 

 

;

পটিয়ায় ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে ট্রাক-মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকসহ অনন্ত ৫ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে পটিয়া পৌরসভার আমজুর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রাকচালকের নাম মো. আবদুর রউফ (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। তবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। সবাইকে পটিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারমুখী একটি মিনিবাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ড্রাইভারের বামপাশে দরজার অংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রাকটিরও। ট্রাকচালক পায়ে আঘাত পেয়েছে। এর আগে ওই বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

পটিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং সিমেন্টবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে আমরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে সড়ক পিছলা হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও বাস আটক করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

হবিগঞ্জে নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ৪ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশুসহ এক প্রাইভেটকারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন।

নিহতরা হলেন, মৌজালী মৃধার ছেলে জামাল মৃধা (৪২) ও খোকন মৃধা (৩৫), নিহত জামাল মৃধার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩০) ও ছেলে কাওসার (১২)। এছাড়াও তাদের সাথে ড্রাইভারও মারা গেছে।

নিহতদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের চৌরাস্তা স্থানে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

বুধবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত জামাল ও খোকনের মামা মোঃ সোনা মিয়া বলেন, নিহত জামাল মৃধা ঢাকার সাভারে পরিবার নিয়ে থাকত। জামাল মৃধার ইলেকট্রিক্যাল দোকান ছিল এবং খোকন মৃধা গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করত। ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কাওসারের মানত থাকায় সপরিবারে সিলেট শাহজালাল মাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার আগে সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে নিহত জামাল মৃধা তার মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ পটুয়াখালীতে কখন আনা হবে সে বিষয়ে এখন তথ্য পাইনি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। নিহতদের দাফনসহ নিহতের পরিবারের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন কাজ বরবে।

;