লাভ বেশি হওয়ায় ঘাস চাষ বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়েছে মাংসের উৎপাদন ও গ্রহণের হার। মাংসের সে চাহিদার প্রায় শতভাগ পূরণ হচ্ছে দেশীয় উৎস থেকে। আর সে চাহিদা পূরণে বেড়েছে পশু উৎপাদনও। তবে পশু পালনের ফাঁকা জমি ও প্রাকৃতিক ঘাস কমে যাওয়ায় বেড়েছে ঘাসের বাণিজ্যিক চাষ।

খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকই এখন ঝুঁকছেন বাণিজ্যিক ঘাস চাষে। এতে করে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। বাড়ছে পশু উৎপাদন, মাংসের চাহিদা মেটাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ।

জানা যায়, আগে যেখানে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে ও পরিবারের সবাই মিলে পরিশ্রম করেও ফসল উৎপাদনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও টিকতো না, এখন ঘাস চাষে ফল হচ্ছে তার উলটো। বছরে এক বিঘা জমিতে মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করেই আয় হচ্ছে ১৮-২০ হাজার টাকা। প্রতি বর্ষার পরে একবার ঘাস লাগিয়ে দিলেই তা পশুকে খাওয়ানো যাচ্ছে ৮-৯ মাস। প্রতিবার কাটার পর একবার করে সার প্রয়োগ করলেই ঘাস বড় হচ্ছে দ্রুত, ফলে দরকার হচ্ছে না বাড়তি পরিশ্রম বা টাকা খরচের।


ঘাস চাষিরা জানান, বর্তমান সময়ে ফসল চাষে অনেক ক্ষেত্রেই গুনতে হচ্ছে লোকসান। অন্যদিকে ঘাস চাষ সহজ ও লাভজনক হওয়ায় ফসলের বদলে ঘাস চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। গরুর জন্য চাষ করা এসব ঘাসের মধ্যে আছে নেপিয়ার ও চাল্লা (স্থানীয় গরুর ঘাসের নাম) জাতীয় ঘাস। আবার গো-খাদ্যের তুলনায় ঘাস খাওয়ানোই খরচ কম হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন খামারিরাও।

ফলে জেলার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুরসহ প্রায় সব উপজেলায় বেড়েছে ঘাস চাষ। পশুপালনেও আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। ফসল ফলানোর পাশাপাশি একটি-দুটি গরু চাষে হচ্ছেন স্বাবলম্বী। আবার এসব এলাকায় প্রবাসী কর্মী বেশি থাকায়, প্রবাস জীবন শেষে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে অনেকেই গড়ে তুলছেন গরুর খামার, স্বপ্ন দেখছেন স্বাবলম্বী হওয়ার।


সম্প্রতি নবীনগরের ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নে গরুর খামার দিয়েছেন সৌদি ফেরত সফিক মিয়া। প্রায় ৬ বছরের প্রবাস জীবন শেষ করে গত বছর দেশে ফিরেন তিনি। উদ্যোক্তা মনোভাব ও গরুর খামারে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নই এই পথে নিয়ে আসে তাকে। ২২টি গরু দিয়ে শুরু করা তার এই খামারের জন্য নিজস্ব প্রায় এক একর জমিতে ঘাস চাষ করেছেন তিনি। চাষ করা সে নেপিয়ার ও চাল্লা দিয়েই পূরণ হচ্ছে গরুর খাবারের চাহিদা।

প্রথমবারের মতো গরু পালন শুরু করলেও সামনের কোরবানি ঈদে সে গরু বিক্রি করে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন জানিয়ে গরু খামারি সফিক মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমান সময়ে গরুর খাবারের যে দাম তাতে করে গরু থেকে লাভ করাটা অনেকটায় দুরূহ। তবে নিজস্ব জমিতে ঘাস চাষে কমেছে সে গো-খাদ্যের চাহিদা। গরুও পাচ্ছে তাজা ঘাসের পুষ্টি। আলহামদুলিল্লাহ্, এতে করে আমার গরুর গ্রোথও ভাল।’

সফিক বলেন, ‘আমি যে ঘাস চাষ করেছি, তাতে করে আরও দুই মাস নিশ্চিন্তে গরুকে খাওয়াতে পারবো। এরপর বর্ষা আসলে কিছুটা সমস্যা হবে। তখন অনেকটাই গো-খাদ্য ও খড়ের উপর নির্ভর করতে হবে। তবে এর আগেই যেহেতু অধিকাংশ গরু কোরবানিতে বিক্রি করে দিবো, তাতে আমাকে সমস্যায় পড়তে হবে না।’

স্থানীয় আরেক কৃষক জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সবজি-ফসল কইরা কোনো লাভ নাই। ঘরের সবাই মিইলা যেই কষ্ট করি হেই তুলনায় দাম পাই না। এরপরে আবার ট্রাক্টর খরচ, সারের টেহা (টাকা), নিরানি (আগাছা পরিস্কার) সব মিলাইয়া অনেক টেহা খরচ হয়। অনেক সময় আবার ফসল মাইরও যা। কিন্তু গরুর ঘাস করলে কিচ্ছুই লাগে না। একবার খালি পারা দিয়া লাগায় দেই, আর মাঝে মধ্যে একটু সার দেই। ২-৩ হাজার টেহা খরচ করলে বছরে কোনো কষ্ট ছাড়াই এক বিঘা জমিতে ২০-২২ হাজার টেহা আয় অয় (হয়)।’

   

‘গরিবের গরম-ঠান্ডা নেই, কাজ না করলে খাব কী’

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



গুলশান জাহান সারিকা , স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছোট-বড় সবার। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে তেমন কেউ বের না হলেও পেটের দায়ে এমন গরমের মধ্যেও কাজ করছেন শ্রমিকরা। তাদেরই একজন পঞ্চাশোর্ধ আঞ্জুরা বেগম।

কাঠফাটা গরমে রাজমিস্ত্রির জোগালি কাজ করা আঞ্জুরা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার একার উপার্জনে পুরো সংসার চলে। বয়সের ভারে কাজ দীর্ঘক্ষণ করতে না পারলেও পরিবারের দিকে তাকিয়ে কষ্ট মেনে নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন পরিশ্রম।

তপ্ত রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন বললে। তিনি বলেন, গরিবের গরম-ঠান্ডা থাকতে নেই, কাজ না করলে খাব কী? দিনমজুরি করে যে টাকা উপার্জন করি সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আগের মতো শক্তি পাই না, তবুও পেটের দায়ে প্রতিদিন বের হতে হয় কাজের সন্ধানে। যেদিন কাজ থাকে সেদিন খাবার জোটে, না থাকলে অনাহারে থাকতে হয়।

তিনি আক্ষেপ করে জানান, বয়সের কারণে কাজ করতে কষ্ট হয়। মানুষ তাকে কাজেও নিতে চায় না বয়স দেখে। বয়স্কভাতার জন্য গেলেও বয়স এখনও না হওয়ায় সরকারিভাতা পান না। তিনি কাজে না আসলে চুলায় আগুন জ্বলে না। দিনে যে টাকা মজুরি পান তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর।

সবকিছু হারিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে চলে আসা আঞ্জুরা বেগম জানান, তার স্বামী সুন্দরবনে মাছ ধরা ও মধু সংগ্রহের কাজ করতেন। তাদের নিজেদের বাড়ি-ফসলি জমি ছিল। কিন্তু সুখের জীবনে দুঃখ নেমে আসে ২০০০ সালের বন্যায়। নদীর বাঁধ ভেঙে এক রাতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঘর। বাস্তুহারা হয়ে ছোট দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর হাত ধরে চলে আসেন সাতক্ষীরা শহরে। সেখানে ভাড়া বাড়িতে থেকে সংসার চালাতে দুজন মিলে শুরু করেন দিনমজুরের কাজ। কয়েক বছর পর অসুস্থ হয়ে যান স্বামী। ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যানসার। তখন অন্তঃসত্ত্বা আঞ্জুরা বেগম পড়েন অকুল পাথারে।

গ্রামের যা ছিল সব বিক্রি করে চলে স্বামীর চিকিৎসা জানিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, অভাবের মধ্যে ছোট মেয়ের জন্মের কয়েক মাস পর ২০১৩ সালে মারা যায় স্বামী। দৈন্যদশা দেখে এক সচ্ছল পরিবার গৃহস্থালির কাজের বিনিময়ে দেয় থাকার জায়গা। জীবিকার তাগিদে পরিবার চালাতে শোককে শক্তিতে পরিণত করে শ্রমিকের কাজে নামেন তিনি।

আঞ্জুরা বেগম বলেন, পুরুষের চেয়ে আমরা কাজ কম করি না। তবুও পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারী শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হয়?

;

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। 

তবে এ বিষয়ে আজ বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসব প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে প্রশাসনিক কোনো আদেশ দেয়নি মন্ত্রণালয়। ফলে এ নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা আপিল করেননি। তাই বৃহস্পতিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং মাদ্রাসা।

এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) চলমান তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন।

পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

 

;

রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবে এমভি আবদুল্লাহ, পৌঁছাতে পারে ১২ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এমভি আবদুল্লাহ

এমভি আবদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির প্রায় ১৭ দিন পর ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ।

বুধবার (১ মে) রাত ১২টার দিকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। আগামী ১২ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ার গভীর সমুদ্রে পৌঁছাতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল সেখান থেকে মিনা সাকার বন্দরে যায় নতুন করে পণ্য বোঝাই করতে। সেখান থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে হরমুজ প্রণালি পেরিয়ে ফুজাইরা বন্দরে যায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে। জ্বালানি সংগ্রহ শেষে বুধবার রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল দস্যুরা। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপরই শুরু হয় দর-কষাকষি। দর-কষাকষি চূড়ান্ত হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপর ওইদিন রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।

;

গাইবান্ধায় গরমে অসুস্থ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মে দিবসের কর্মসূচিতে গরমে অসুস্থ হয়ে সাজু মিয়া (৫৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোটবনপাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।

মৃত্যুর বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বুধবার তাদের সংগঠনের মে দিবসের র‍্যালিতে অংশ নেন সাজু। র‍্যালি শেষে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদ টাউন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। টাউন হল থেকে বের হয়ে সে উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে উপস্থিত লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।

ধারণা করা হচ্ছে প্রচণ্ড গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে সাজু মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।

;