বরিশালে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নগরীর নাজিরের পুল এলাকা থেকে সাড়ে তিন কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ৩ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদারের নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক কমলেশ চন্দ্র হালদার ও এসআই মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- বরিশাল জেলার গৌরনদী মহিলাড়া বেজাহার ২ নং ওয়ার্ডের মৃত আলতাফ মাতুব্বরের ছেলে মো: ইমরান মাতুব্বর (৩০) ও নগরী কাউনিয়া থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মো: বাবুল হাওলাদার (৬২)।

বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, আমাদের কাছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ জন ব্যক্তি ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

সাতক্ষীরায় পৃথক অভিযানে অপরিপক্ক ১২ টন আম জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় পৃথক অভিযানে অপরিপক্ক ১২ টন আম জব্দ

সাতক্ষীরায় পৃথক অভিযানে অপরিপক্ক ১২ টন আম জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ১২ টন আম জব্দ করে বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপরিপক্ক এসব আম দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছিল।

বুধবার (১ মে) উপজেলার নলতা এলাকা থেকে ও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চাম্পাফুল কালীবাড়ি এলাকা থেকে আমগুলো জব্দ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর কুমার দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজাহার আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালীবাড়ি বাজার এলাকা ও বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা নলতা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রায় ১২ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়।

তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরুর পূর্বেই মালিকপক্ষ পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। আমগুলো অপুষ্ট ও রাসায়নিক দিয়ে পাকানো বলে নিশ্চিত হয়ে জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়।

 

;

জাহাজের ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
জাহাজের ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি

জাহাজের ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে এমভি সামুদা-১ নামের একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় সেতুর ওয়াকওয়ের রেলিংয়ে ৫০ লাখ টাকা পরিমাণের ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

বুধবার (১ মে) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদি হয়ে রেলওয়ের জিআরপি থানায় করা মামলার এজহারে ওই পরিমাণ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়।

এজহারে বেপরোয়া জাহাজ চালিয়ে ক্ষতি সাধনের অভিযোগ করা হয়। জাহাজটির ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর ওয়াকওয়ের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কালুরঘাট সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'ম্যাক্স'।

সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দেওয়া এমভি সামুদা-১ নামের জাহাজটি কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নদীর মধ্যে বাঁক ঘোরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রকৌশল বিভাগ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে ওই জাহাজ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, জাহাজের ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মূল স্ট্রাকচারে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হচ্ছে।

;

আজ রাতে যেসব অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবন হয়ে উঠেছে বিপর্যস্ত। অবশেষে এ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশবাসী। আজ রাত থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য জেলাগুলোয়ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১ মে) পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আজ চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় যশোরে।

;

দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



রেদ্ওয়ান আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

দেশে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক চট্টগ্রামে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শাহজাহান মিয়ার বাড়ি ভোলায়। পেটের দায়ে এসেছেন চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তীরে। যখন যা পান তাই করে খেয়ে বাঁচা শারীরিকভাবে অসুস্থ শাহজাহানের ছোট মেয়ের নাম মোর্শেদা। বাবার সাথে সে জীবন সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে আরও আগেই! বিভিন্ন আড়তে পঁচে পোকায় ধরা পেয়াজ কম দামে কিনে এনে রোদে শুকানোর সময় চাক্তাই খালের পাড়ে দেখা মিলেছে এই বাবা-মেয়ের।

কথা হয় বাবা শাহজাহান মিয়ার সাথে। ১১ বছরের এতো অল্প বয়সের মেয়েকে পড়ালেখায় না পাঠিয়ে নিজের সাথে রেখে কাজ করানোর বিষয়ে শাহজাহান মিয়াকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ’আমাগোতো সংসার চলা লাগবো। সংসার না চললে মাইয়ারে পড়ালেখা করামু কী দিয়া। টেকা পয়সার লাগি মাইয়ারে পড়ালেখা করাইতে পারি না। মাইয়া ফাইভ পর্যন্ত পড়ছে।’

অপু, আরাফাত ও আজগর তিন বন্ধু। তাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ১১ ও ১২ বছর। তাদের বাড়ি ফেনীর সোনাগাজিতে। রহমতগঞ্জ বাই লেইনের একটি ‘প্রিন্টিং এন্ড ফয়েল পেপার কাটিং হাউস’— এ কর্মরত অবস্থায় দেখা মিলে এই তিন বন্ধুর সঙ্গে।

এতো অল্প বয়সে তিন বন্ধুর এই শ্রমজীবনের গল্প জানতে চাইলে তারা বিনিময় করে এক করুণ অভিজ্ঞতা। তাদের তিনজনেরই গল্প এক। তারা জানায়, তাদের বাবা-মায়েরাই তদেরকে এই পেশায় পাঠিয়েছে আয়-রোজগারের জন্য। তবে, তিনজনের বেতন মিলিয়েও অযুতের ঘর ছুঁতে পারেনি।

উপরোক্ত গল্প দু’টিতে যে শিশুদের চিত্রায়ণ করা হয়েছে, আমাদের দেশে বর্তমানে সেসব শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭ জনে। যা বাংলাদেশের মোট শ্রমের ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এরমধ্যে চট্টগ্রামে নিয়োজিত রয়েছে ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশু। যা বাংলাদেশের মোট শিশুশ্রমের ৩৬ শতাংশ।

সরকারি তথ্য মতে, দেশের ১৭ লাখ ৭৬ হাজার শিশু শ্রমিকের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বাধিক সংখ্যা রয়েছে। ৩ লাখ ৪০ হাজার শিশুশ্রমিক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগে। গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রামে শিশুশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে মোট শিশুশ্রম ছিলো ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এবছর সেটা বেড়ে হয়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

চট্টগ্রামের শিশুরা গৃহস্থালীর কাজসহ ডাম্পিং স্টেশন, ড্রাই ফিশ সেক্টর, মেটাল ফ্যাক্টরি, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, পরিবহন এবং জাহাজ ভাঙার কাজে জড়িত। যার কারণে তাদের জীবনের ঝুঁকিও ব্যাপক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের অলাভজনক সংস্থা (এনজিও) ’মমতা’র সহকারী পরিচালক (শিশু সুরক্ষা প্রকল্প) মুজতাহিদা কাউসার বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য প্রদান করেন।

তবে, চট্টগ্রামে শিশুশ্রমের শীর্ষে রয়েছে এলুমিনিয়াম খাত। এরপর যথাক্রমে গণপরিবহন, হোটেল, পোশাক শিল্প, নির্মাণ, স্বাস্থ্য ও বিউটি পার্লার খাত রয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্ট্যাডিজের (বিলস) সহায়তায় ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষকের পরিচালনা করা জরিপে এসব তথ্য উঠে আসে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারোর তথ্যমতে (বিবিএস), বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো থেকে জানা যায়, এ ঝুঁকিপূর্ণ পেশাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মিশু কাজ করে থাকে।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) এর মহাসচিব জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনে শিশুর বিভিন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হলেও অধিকাংশ আইনে একজনকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু বলা হয়। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু শ্রম আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুদের নির্দিষ্ট বয়স ও শর্ত অনুসারে শ্রমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, দুঃখের বিষয় হলো পাশের দেশ ভারতেও শিশু সুরক্ষা আইন আছে। কিন্তু বাংলাদেশে নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট শিশুদের কাজের অনুমতি থাকলেও এর কিছু শর্ত আছে। যেমন- দৈনিক ৪-৫ ঘন্টার বেশি কাজ করানো যাবে না। ভারী কাজ করানো যাবে না। কেমিক্যাল, ব্যাটারি, ওয়ার্কশপ, ওয়্যারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল, পরিবহন, ডাম্পিং ইত্যাদি ভারী কাজ করানো যাবে না। ফুলটাইম কাজ করানো যাবে না। তাদের ফিটনেস পরীক্ষা করে তাদের নিয়োগ দিতে হবে ইত্যাদি। তবে, হতাশার কথা হলো- শিশুর মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্র দায়িত্ব হলেও রাষ্ট্র তা পালন করছে না।’

শিশুরা কেনো শিশুশ্রমে জড়াচ্ছে? এর পেছনে কী কারণ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রামের অলাভজনক সংস্থা (এনজিও) ’মমতা’র প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ বলেন, ’চট্টগ্রামে শিশু শ্রম বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দারিদ্র। তাছাড়া, চট্টগ্রাম বানিজ্যিক রাজধানী হওয়ার কারণে অনেকেই ছোটবেলা থেকেই কাজের সাথে জড়িয়ে যান। আবার শিশুদের পারিশ্রমিক কম দেওয়া যায় বলে অনেক প্রতিষ্টান মালিক শিশুদের নিয়ে এসে কাজে লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে, সবচেয়ে বড় কারণ হলো দারিদ্র। রাষ্ট্র সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে এই শিশু শ্রম কমবে বলে আশাবাদী।’

ইলমা (এনসিওর লিগ্যাল সাপোর্ট থ্রো লোকাল মুভমেন্ট এন্ড একশান) এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, ’আমাদের জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটাও শিশু শ্রম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তাছাড়া অনেক পরিবার ছেলেমেয়েদের টাকার জন্য কাজে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু শিশু শ্রম তো শুধু শিশু শ্রম না। এই শিশু শ্রম করতে গিয়ে যে শিশুরা কীরকম শারীরিক ও মানসিক হেনস্তার শিকার হয় তা কল্পনারও বাহিরে। তাছাড়া, সরকার বলছে, একটা শিশুও পিছনে পড়ে থাকবে না। একটা শিশুও রাস্তায় থাকবে না। কিন্তু বললে কী হবে, সেরকম তো কোন উদ্যোগ নেই। শিশু কই আছে, মরে গেছে না বেঁচে আছে, সে খবর কেউ রাখে না। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারিভাবে জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করলে, পদক্ষেপ নিলে শিশু শ্রম একদিন কমে আসবে বলে আমি মনে করি।’

;