জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ‘বিসিডিপি’ গঠন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থ পেতে সরকার বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (বিসিডিপি) গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বিষয়ে ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সংস্থাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিষ্ঠানকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় অর্থ দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে কোন শৃঙ্খলা না থাকায় সেই অর্থের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদারদের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে এই প্লাটফর্ম ভূমিকা রাখবে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের দরকার ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ডেলটা প্ল্যান বাবদ ৪৭ বিলিয়ন, ন্যাশনাল এডাপটেশান প্ল্যান বাবদ ২৩০ বিলিয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান বাবদ ৯০ বিলিয়ন আর ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বাস্তবায়নে দরকার ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম করে এমন বিনিয়োগগুলি অর্জনের জন্য, আমরা উল্লেখযোগ্য অর্থনীতি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক সাথে কাজ করলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

সাবের হোসেন বলেন, এই অংশীদারিত্ব সরকারকে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে জলবায়ু অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করতে পারে, যার ফলে সামগ্রিক বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থ কাঠামোর উন্নতি ঘটবে। এটি অপরিহার্য যে সরকার এই সুযোগটিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে ব্যবহার করবে, কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে লড়াই করার এবং তার নাগরিকদের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দেশের ক্ষমতার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশের এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন বিসিডিপি বাস্তবায়নের নির্দেশনা উপস্থাপন করেন। এছাড়াও, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

ডেমরা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ পুলিশ হত্যা মামলায় রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটাবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় ডেমরা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ সাত আসামি ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

অপর আসামিরা হলেন, দনিয়া ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফান ওরফে রোকন, ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া, তারেক হোসেন ও ঢাকা কলেজের এইচএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্র হাসনাতুল ইসলাম ফাইযার।

শনিবার (২৭ জুলাই) আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডেমরা থানা পুলিশ।

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ করা হয়,  বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে বের হন৷ যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রীজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই সাড়ে ৯টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে।

পরে এ আসামিরাসহ অন্যান্য আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে  পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের এর নাক-কান, মুখ-মন্ডল, গলা ও হাত, বুক, পেট, পিঠ, ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালির নিচে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে ঘটনাস্থলে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রীজের সাথে বুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মৃতদেহ নিয়ে উল্লেখিত আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে এবং  মৃতদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে।

ওই ঘটনায় ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। 

;

নরসিংদী কারাগার পরিদর্শনে যাচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতীয়ভাবে গঠিত তদন্ত দল। রোববার (২৮ জুলাই) সকাল দশটায় নরসিংদী কারাগার পরিদর্শন করবেন তারা। তদন্ত দলের প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ন সচিব ড. ফারুক আহম্মদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

তদন্ত দলে অন্যরা হলেন, কারা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, নরসিংদী জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, পুলিশের স্পশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি, নরসিংদী পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি ও তদন্ত দলের সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ সচিব মোহাম্মদ আবু সাইদ মোল্লা। 

এই তদন্ত দল ১৯ জুলাই বিকেলে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ করে বন্দি, অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা তদন্ত করবেন। এছাড়া ঘটনার কারণ উৎঘাটন, কারাগারে আক্রমনে দোষী ব্যক্তিদের দায় দায়িত্ব নির্ধারণ করে তদন্ত সম্পন্ন করে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নরসিংদীর কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। এই হামলার অংশ হিসেবে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে অগ্নি সংযোগ করে। ফলে পালিয়ে যায় ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ বন্দি, লুট হয় ৮৫টি অস্ত্র।  এর পর থেকে জেলখানা বন্দি শূন্য হয়ে পরে।

;

যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ সম্পাদক তৌহিদুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেস ক্লাব যশোরের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে এসএম তৌহিদুর রহমান পুননির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইসহক।

এর আগে উৎসব মূখর পরিবেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৮৬ জন ভোটারই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তথ্যমতে, সভাপতি পদে ৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাহিদ হাসান টুকুন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ফারাজী আহমেদ সাঈদ পেয়েছেন ২২ ভোট। সহ সভাপতি দুটি পদে ওহাবুজ্জামান ঝন্টু ৪৬ ভোট ও শেখ দিনু আহমেদ ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ৩৫ ভোট ও সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আহমেদ ৩৪ ভোট পেয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আহসান কবীর পেয়েছেন ৩৮ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে জাহিদ আহমেদ লিটন ৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে আব্দুর কাদের ৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দেওয়ান মোর্শেদ আলম ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। কার্যনির্বাহী সদস্য ৬টি পদে বিজয়ীরা হলেন, শহিদ জয় ৬১ ভোট, হাবিবুর রহমান মিলন ৫৫ ভোট, সফিক সায়ীদ ৫২ ভোট, সাইফুর রহমান সাইফ ৪৯ ভোট, শিকদার খালিদ ৪৬ ভোট, আব্দুল ওয়াহাব মুকুল ৪৫ ভোট।

এর আগে ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাব যশোরের নির্বাচন উপলক্ষে সকাল থেকে সাংবাদিকদের মিলমেলায় ক্লাব চত্বরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। ক্লাবেরর সদস্য ছাড়াও ভোট উৎসবে অংশ নেয় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা, রাজনীতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীরা। দিনভর খাওয়া দাওয়া আড্ডায় অন্যরূপ নেয় ক্লাব চত্বরে।

প্রসঙ্গত, প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো গেল বছরের ৩০ নভেম্বর। কিন্তু  প্রেসক্লাবের ভোটাধিকারের বিষয়ে সাবেক একজন সদস্য আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে নির্বাচনট ভোটের ১৪ ঘণ্টা আগে ভোটগ্রহন স্থগিত করেন বিচারক।

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় আবু সাঈদের পরিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ

নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন।

বর্তমানে তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে ঢাকায় রওনা দেয় আবু সাঈদের পরিবার। বর্তমানে তার পরিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অবস্থান করছেন। শুধু আবু সাঈদের পরিবার নয়, কোটা আন্দোলনে নিহত সকলের পরিবার রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।

;