জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসছে ২৫ এপ্রিল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসছে ২৫ এপ্রিল

জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসছে ২৫ এপ্রিল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর বসছে আগামী ২৫ এপ্রিল। ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে হবে শত বছরের পুরোনো এই খেলা। প্রতিবারের মতো এবারও এই বলীখেলার আয়োজন করছে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখি মেলা কমিটি। এতে সহায়তা করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

বলি খেলা উপলক্ষে লালদীঘি ময়দানের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২৪, ২৫ এবং ২৬ এপ্রিল ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জমজমাট বৈশাখি মেলাও। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলীখেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেলে লালদীঘি পাড়ের সিটি করপোরেশনের লাইব্রেরি ভবনে ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখি মেলা কমিটি।

যুবসমাজকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বকশিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর চালু করেছিলেন বলীখেলা। সময়ের ব্যবধানে লালদীঘির মাঠে বসা ‘জব্বারের বলীখেলা’ হয়ে উঠেছে এই জনপদের অন্যতম আকর্ষণ। শুধু কি তাই? বলীখেলাকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বৈশাখি মেলাটিও বসে এখানে। ১৯০৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই মেলা হয়ে আসলেও করোনার থাবা এই আনন্দ-উৎসব থামিয়ে দিয়েছিল ২০২০ সালে। পরের বছরেও এই মেলা হয়নি একই কারণে। ২০২২ সালেও ঐতিহাসিক এই আয়োজনের ভবিষ্যৎ ঝুলেছিল সুতার ওপর। শেষ পর্যন্ত সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় সড়কের মাঝখানে অস্থায়ীভাবে রিং তৈরি করে আয়োজন করা হয় বলীখেলায়। গত বছর থেকে বলীখেলা ফিরেছে নিজের পুরোনো ঠিকানা-লালদিঘী ময়দানে। এবারও সেখানেই হচ্ছে এই আসর।

   

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।

;

হাসপাতালের জেনারেটর অচল, গরমে হাঁসফাঁস রোগী-স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমেরা মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও স্বজনরা। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও লোডশেডিংয়ের সময়ে তা চালানো হয় না। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনসহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে লোডশেডিংয়ের সময়ে ভোগান্তি আরও বাড়ে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থা হিসেবে ১০ কেভি কিলো ভোল্টের ইঞ্জিনচালিত একটি জেনারেটর বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বরাদ্দের পরে সক্ষমতা সম্পূর্ণ সংযোগ ব্যবস্থাসহ নানা জটিলতার কারণে কয়েক বছর পড়ে থাকার পর গত বছরে নাম মাত্র সচল করে ছয় মাসে জ্বালানি খরচ বাবদ ত্রিশ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বর্হিবিভাগ, নারী ও পুরুষ ওয়ার্ডে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বিদ্যুৎ না থাকলে জরুরি পরিস্থিতিতে এটি বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার কথা থাকলেও কয়েকবছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালে। এতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জেনারেটরের যন্ত্রাংশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অসুস্থ রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। তীব্র গরমে হাসপাতালের বিছানায় ঘেমে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মুমূর্ষু রোগীরা। বিশেষ করে অসহায় অবস্থায় পড়েছে শিশু ও ডায়রিয়া রোগী। লোডশেডিংয়ের সময়ে আইপিএসের সাহায্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোর শূন্যতা পূরণ করা হলেও মাথার উপর ফ্যান ঝুললেও জেনারেটর সংযোগ না থাকায় ঘুরছে না পাখা। রোগীর স্বজনরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জেনারেটর সংযোগ চালু করার দাবি জানায়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রফিকুল নামে এক রোগীর স্বজন জানায়, আমার ভাতিজা চারদিন ধরে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগজনিত কারণে ভর্তি আছে। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। আমি শুনেছি হাসপাতালে জেনারেটর ব্যবস্থা আছে কিন্তু এখানে কখনো চলতে দেখি নাই।

মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আরেক স্বজন রেহেনা বেগম জানায়, আমার মেয়ে শিশু বাচ্চা দুইদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে। গরমে অবস্থা খারাপ, ছোট মানুষ গরম সহ্য করতে পারছে না, এখানে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। আর এখানে মানুষ বেশি থাকার কারণে গরম খুব বেশি পড়েছে।হাসপাতালে জেনারেটর চালু করলে আমরা ভালোই থাকতাম। সরকারি হাসপাতালে জেনারেটর নাই, গরমে বাচ্চাকে নিয়ে এসে খুব সমস্যায় পড়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো আল মামুন বলেন, আমাদের হাসপাতালে জেনারেটরের পরিবর্তে আইপিএস দিয়ে আলো সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

;

আল আমিন সবুজের কথায় গাইলেন রুনা-ওয়াসী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মা দিবসে (১২ মে) আসছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার ‘এইনা বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের নতুন একটি গানের মিউজিক ভিডিও। তার সঙ্গে এতে দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন চলতি সময়ের কণ্ঠশিল্পী খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুর করেছেন খায়রুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনায় রিপন খান। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার নিজেই। এটি এজে, এস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে।

গানটি প্রসঙ্গে সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ‘রুনা লায়লা ম্যাম আমার সুরে আমার সাথেই গান গেয়েছেন এটা সত্যি আমার ভাগ্য। ছোটবেলা থেকেই আমার প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠ ও শিল্পী ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যাম এর গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গান চর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সাথে দ্বৈত গান গাইতে পারবো ভাবতে পারিনি। রুনা ম্যাম গানের কথা ও সুর নিয়ে প্রশংসা করেছেন। আমার মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন ভালভাল কাজ যেনো অব্যাহত রাখি।

গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমার এই গানটা করা। যেদিন থেকে আমি গান লেখালেখি করি সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখতাম কিংবদন্তী শিল্পীদের দিয়ে এমন কিছু গান করাবো। যে গানের মাধ্যমে শ্রোতারা বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ম্যাসেজও পাবে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখন অবক্ষয় ঢুকে গেছে। বাবা মা কত স্বপ্ন, কত কষ্ট, কত আশা নিয়ে ছেলে মেয়েকে বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার তাদের বাবা মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে তাদের কাছে রাখতে চান না। তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ তারা ভুলে যায় কদিন পর তারাও বাবা মা হবেন। তাদের সন্তানরা তাদের সাথে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার সেই নিরিখে আমার এ গানটি লিখেছি।

;

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার মুরাদনগরে পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কালারাইয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- কাজী ইয়াসিন আরাফাত (৫) ও রোজামনি (৩)। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। ডোবার পাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে যায় তারা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বাহার খাঁন বলেন, পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে ডোবায় ভাসতে দেখে দুজনকে মৃত উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

;