গরমে দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি রেলের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ, যা অব্যহত থাকতে পারে। ফলে সবচেয়ে নিরাপদ যান হিসেবে পরিচিত ট্রেনে বাড়ছে ঝুঁকি। অতিরিক্ত তাপে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার কারণে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেললাইনে ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহনশীল উল্লেখ করে আখাউড়া সেকশনের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান তারেক বলেন, কোনভাবে যদি রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যায় সেক্ষেত্রে যাত্রীবাহী ট্রেনকে সর্বোচ্চ ৪০ এবং মালবাহী ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে হবে। অন্যথায় অতিরিক্ত গরমে রেললাইন কোথাও বেঁকে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সূত্র জানায়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে রেললাইনের ওপর একাধিক স্থানে ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যে কারণে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অঞ্চলে সব ধরনের ট্রেন চলাচলে গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনা এড়াতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে সব ধরনের ট্রেন চলাচলে গতিসীমা নির্ধারণ করে দিলেও অন্য অঞ্চলের জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ এস এম ফেরদৌস আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমানে যে তাপমাত্রা রয়েছে তা সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ দিন থাকবে। আমরা প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট সময় পর পর টেম্পারেচার মেজারিং (তাপমাত্রা পরিমাপক) ডিভাইস দিয়ে রেললাইনের ওপরের তাপমাত্রা রেকর্ড করছি।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত রেললাইনের তাপমাত্রা অসহনশীল পর্যায়ে যায়নি। তবে, যেখানেই তাপমাত্রা বেশি দেখছি সেখানেই রেললাইনের প্রতিটি জোড়া পুলিং ব্যাক (লোহার পাতগুলোর জোড়ার মধ্যে ফাঁকা রাখা) করেছি। ট্রেন চলাচলে গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি এবং দিচ্ছি।

রেললাইনের তাপমাত্রা সহনশীল রাখতে পানি এবং কচুরিপানা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। একদিন ভালোভাবে বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে বলেও জানান এই প্রকৌশলী।

অতিরিক্ত গরমে দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন চলাচলে ধীরগতি হলে সিডিউল বিপর্যয় হবে কিনা- এমন প্রশ্নে প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম বলেন, আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা সিডিউল বিপর্যয়ের চেয়ে যাত্রীর জানমালের নিরাপত্তা আমাদের কাছে বেশি প্রাধান্য। তবে সিডিউলে তেমন প্রভাব পড়বে না।

   

ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ওএমএস চাল আত্মসাতের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়েছে। তবে গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না এই কারণ দর্শানোর নোটিশ করলেও পাঁচ দিনেও নোটিশের জবাব দেয়নি শাহিনুর।

এতে ইউএনও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাকে গতকালও (সোমবার) এ বিষয় বলা হয়েছে। তিনি (শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান) আজকের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে শাহিনুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইউএনও নিশাত তামান্না জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার খোঁজে শিক্ষা অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার অধীনস্থ কর্মচারীরা এই প্রতিবেদককে বলেন, 'স্যার ঠিক মতো অফিসে আসেন না। সপ্তাহে ২/৩ দিন অফিস করেন। আমাদের নাম বলবেন না, তাহলে সে চাকরি খেয়ে দিবে'।

এদিকে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএসের চাল আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মোংলা থানায় আজ যে কোনো সময়ের মধ্যে এই মামলা করবেন মোংলা সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. আশরাফুল হক। তিনি বলেন, গতকালই (সোমবার) মামলা দায়েরের জন্য থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু এজাহারে কিছু সংশোধন আনায় মামলাটি ওইদিন করা যায়নি। আজ সংশোধন করে ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

জানা গেছে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে অসহায় সুবিধাভোগীদের ৩০ কেজির বস্তায় চার কেজি চাল কম দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না। জব্দ করেন ওজনে কম দেওয়া ১৫/২০ বস্তা সরকারি চাল। তবে এসময় ডিলার রাজিব মৃধা পালিয়ে গেলে তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। এসময় ওই এলাকায় চাল বিতরণে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

পরে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএস চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের মামলা করার সুপারিশ করে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দায়িত্বে পালনে অবহেলার দায়ে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়।

;

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন ও গাংনী উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।

জানা যায়, গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন করে প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র অনলাইনে দাখিল করেন। এই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন ৮ জন।

তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক লায়লা আরজুমান বানু ও আওয়ামলীগ নেতা মুকুল আহম্মেদ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন মিঠু, ফারুক হাসান ও রেজাউল করিম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, জাকিয়া আক্তার ও নাছিমা খাতুন।

চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-এর ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে জুলফিকার আলী ভুট্টো বিএনপি'র। বাকি সকল প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী। ‌ এছাড়া অন্য কোন দলের কোন প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের অংশ হিসেবে আগামি ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

অর্থ সাশ্রয় করে কাজের মান অক্ষুণ্ন রাখতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ সাশ্রয় করে কাজের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রাখতে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি'র ২য় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, এম. আবদুল লতিফ, মো. শিবলী সাদিক, মো. মজিবর রহমান(মজনু), আবদুল হাফিজ মল্লিক এবং পারভীন জামান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয় এবং প্রথম বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের কার্যাবলি সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং কমিটির সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে আহ্বায়ক করে এম. আবদুল লতিফ ও মো. শিবলী সাদিককে সদস্য করে ১নং সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

বৈঠকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং ময়মনসিংহ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনা করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী, রাজউকের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য অধিদপ্তর, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বনায়নের জন্য ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। যেসকল বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে গাইডলাইন্সে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-'২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের মার্চ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আশি নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।

তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু এবং অভিযোজন মূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এ যাবত তিন হাজার আটশত সতের কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

;