কুষ্টিয়ায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে শেফা (১৭) ও শাহাজাদা (১২) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা মামাতো ও ফুপাতো ভাইবোন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ বাসিন্দাপাড়া জামে মসজিদের সংলগ্ন গড়াই নদীতে এ ঘটনা ঘটে। 

শেফা উপজেলার শেরকান্দী এলাকার শামীম ইসলামের মেয়ে এবং শাহাজাদা চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
শেফা এবং শাহাজাদা তারা দুজনেই সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই বোন।

শেফা কয়েকদিন আগে জয়নাবাদ এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার দুপুরে শেফা এবং শাহাজাদা দুই জন মিলে গোসল করার জন্য গড়াই নদীতে নামে। একপর্যায়ে স্রোতের কারণে তারা দুইজনে পানিতে ডুবে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মনজু জানান, গড়াই নদীতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে শেফা ও শাহাজাদা গোসল করতে নেমে পানির প্রবল স্রোতের কারণে তলিয়ে যায়। অনেক সময় ধরে পানির মধ্যে খোঁজাখুঁজি করে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। একসাথে দুইজনের করুণ মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

   

ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে পিটিয়ে হত্যা, র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে সাবের হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে ২ এবং টেকনাফ থেকে ৪ জনসহ মোট ৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-১৫।

মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল ) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ( মিডিয়া ) মো. শামীম হোসেন।

র‍্যাব জানায়, টেকনাফে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. ইয়াছিন (৩৫)সহ মোট ৬ জন আসামিকে রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ এবং র‍্যাব-১৫ এর যৌথ একটি আভিযানিক দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ইয়াছিন (৩৫), মো. সালমান (২৭), আব্দুল্লাহ (৪৩), সোহাগ (৩২), বাবলু (২৮), আব্দুল জব্বার (৩১)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে র‍্যাব জানতে পারে নিহত সাবের টেকনাফের বার্মিজ মার্কেটে জুতার ব্যবসা করতেন। তারই দোকানের সামনে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি ইয়াছিনের একটি বন্ধ দোকান রয়েছে। ইয়াছিন পূর্বশত্রুতার জেরে সাবেরের ব্যবসা শুরুর পর হতেই তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে অহেতুক হয়রানি করে বেচা-বিক্রিতে ক্ষতি করার চেষ্টা করতো।

পরবর্তীতে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে সাবের মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জানালে ইয়াছিন ও অন্যান্য আসামিরা সাবেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

এরপর গত ২ এপ্রিল ইয়াছিনের দোকান বন্ধ থাকায় সেই দোকানের সামনে একটি জুতার বস্তাসহ কয়েক জোড়া জুতা ঝুলিয়ে রাখে সাবের। আর এ কারণে ইয়াছিন সাবেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন সাবের প্রতিবাদ করায় তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ইয়াছিন, সালমান, আব্দুল্লাহ, সোহাগ, বাবলু, জব্বার এবং আরও একজন পলাতক আসামি নুর হোসেন সহ ৪/৫ জন মিলে ধারালো টিপ ছুরি, রামদা, হাতুড়ি ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নৃশংস হামলা চালালে সাবের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যায় সাবের।

এই ঘটনায় সাবেরের বড় ভাই সাদেক বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করে। তারপর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিলে র‍্যাব তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করলে অবশেষে তাদের পল্টন ও টেকনাফ থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

;

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

এক সপ্তাহে হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সাত দিন সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদফতর হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এসব তথ্য জানায়।

এর মধ্যে সোমবারই তিনজন মারা গেছেন বলে জানিযেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার হিট স্ট্রোকে মারা যাওয়া তিনজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়।

এছাড়া হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গত ২২ এপ্রিল থেকে কন্ট্রোল রুম মনিটরিং করে সারাদেশ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য বলছে, হিট স্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু ও পাঁচ জনের হাসপাতালে ভর্তির তথ্য পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে দুজন মাদারীপুরের। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মারা গেছেন।

;

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ৬ হাজার কেজি আম বিনষ্ট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ মেট্রিক টন আম জব্দের পর গাড়ির চাকায় বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার বলেন, দেবহাটা থেকে ১ ট্রাক অপরিপক্ব আম বিষাক্ত কেমিক্যালের সাহায্যে পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে বলে জানতে পারি। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন ও উপসহকারী ইয়াসির আরাফাত সঙ্গে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলিপুর চেকপোস্ট থেকে আমের গাড়ি জব্দ অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে কৃত্রিমভাবে পাকানো ৬ মেট্রিক টন অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে পালিয়ে যান অসাধু ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমগুলো গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে বিনষ্ট করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

;

বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে জমকালো ভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মুথরাপুর বটতলা গ্রামে এ বিয়ের আয়োজন করেন এলাকাবাসী৷

বিয়েতে ছেলে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় আকাশ ও মেয়ে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় বৃষ্টি। বিয়েতে মোহরানা নির্ধারণ করা হয় ৪৯ হাজার টাকা। ছেলে পক্ষ হিসেবে বটতলী গ্রামের আন্তিল ও মেয়ে পক্ষ হিসেবে একই গ্রামের মুসলিমের বাড়িতে এই আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আয়োজন করা হয় রাতের খাবারের৷

স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।


বিয়ে দেখতে আসা স্কুলছাত্র ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি জীবনে এরকম বিয়ে দেখিনি। আজকে প্রথমবারের মত নিজ চোখে দেখার সুযোগ হল। যেভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় সেভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলী বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অধিকতর তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির আশায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

বিয়ের গীত গাওয়া হিরা আক্তার বলেন, মাঠে-ঘাটে কোথাও কাজ করা যাচ্ছেনা। রুম থেকে বের হলে শরীর পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। আগের আমলে বাপ-দাদারা ব্যাঙের বিয়ে দিতেন বৃষ্টির আশায়। সে কারণে আজকে আমরা এই বিয়ের আয়োজন করেছি যাতে তাপ কমে আর বৃষ্টি আসে।

;