উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

   

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

;

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;