ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙামাটি



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ি জেলা রাঙ্গামাটি। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি রাঙামাটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রূপ বদলানো হ্রদ-পাহাড় আর মেঘ মিতালীর অপরূপ দৃশ্য-সমৃদ্ধ রাঙামাটির নান্দনিক দৃশ্য দেখার পর্যটকরা ছুটে এসেছেন। এতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর বেচা-বিক্রিও বেড়েছে।

হোটেল মোটেল ও সরকারি বিশ্রামাগারগুলোতে দেখা গেছে পর্যটকে ঠাসা। রাঙামাটির বিখ্যাত ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো এলাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে গেছে। শহরের পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। পর্যটকের আগমনে প্রতিদিনই রাঙামাটির অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।


রাঙামাটির পর্যটন সংশ্লিষ্ট্যরা জানিয়েছেন, লম্বা ছুটি, হ্রদ-পাহাড় আর পাহাড় ছোঁয়া মেঘের টানে রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে গেছে। পার্ক, ঝুলন্ত ব্রিজসহ দর্শনীয় স্থানগুলো লোকে লোকারণ্য। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। যানবাহন, ট্যুরিস্ট বোট, হাউজ বোটগুলোর ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শহর জুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা বহুগুণ বেড়ে গেছে। রেস্টুরেন্টগুলো পর্যটকদের মধ্যে খাবার বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। শহরের বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং রয়েছে।

সুদূর রাজধানী, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন, প্রকৃতির রূপ কত সুন্দর হয় সেটি রাঙামাটিতে বেড়াতে না আসলে বুঝতে পারতাম না। দেশে এত সুন্দর জায়গা আছে এখানে না এলে জানতাম না। তাই মনকে সতেজ রাখতে পাহাড়ি জনপদে ছুটে এসেছি। খুব ভাল লাগছে রাঙামাটি। এদিকে রাঙামাটির পর্যটনের উন্নয়নে এ শহরকে আরও বেশি ঢেলে সাজানো উচিত। তাহলে মানুষ বিদেশে বেড়াতে না গিয়ে এ শহরে বেড়াতে আসবে বলেও জানিয়েছেন পর্যটকরা।

রাঙামাটি হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, টানা ছুটিতে রাঙামাটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ব্যবসা করতে পারায় ব্যবসায়ীরা খুব খুশি।


হোটেল পরিচালক সুমন জানিয়েছেন, আমাদের এখানে পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে এবং প্রায় সবগুলো রুম বুকিং হয়ে গেছে।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানিয়েছেন, টানা সরকারি ছুটি থাকায় রাঙামাটিতে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কয়েকদিনে জেলায় কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, পর্যটন মোটেলগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে। আগামীকালও বুকিং আছে। খুব ভাল লাগছে পর্যটকদের উপস্থিতিতি বেড়ে যাওয়ায়। তবে করোনার সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে যোগ করেন পর্যটন করপোরেশনের এ ম্যানেজার।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ-বিপিএম (বার) জানিয়েছেন, রাঙামাটিতে আগত ট্যুরিস্টদের জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে যাতে পর্যটকরা নিরাপদে ছুটি উপভোগ করতে পারে।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;