সুন্দরবনে বনবিবি পূজা ও মেলা



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
পূজা পালন করতে মানুষ যাচ্ছে মণ্ডপে মণ্ডপে, ছবি: বার্তা২৪

পূজা পালন করতে মানুষ যাচ্ছে মণ্ডপে মণ্ডপে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবনের কোল ঘেঁষা জনপদে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী বনবিবি পূজা। প্রতি বছরের পহেলা মাঘে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল বনসংলগ্ন লোকালয়ে বনবিবি’র পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ বাংলার লোকসংস্কৃতির একটি উপাদান এ ‘মা বনবিবি’ পূজা। এ পূজায় প্রধান দেবতা হল ‘মা বনবিবি’। 'বনবিবি' দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো সুন্দরবনজীবীর মনে ভক্তি, শ্রদ্ধা আর পূজার দেবী।

পঞ্জিকা অনুসারে, পহেলা মাঘ, বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলে বনবিবির পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পূজা হয়, খুলনার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের ঢাংমারী গ্রামে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ পূজায় বনবিবি, শাহ জঙ্গলি, ধনা, মনা, গাজী কালু, দুঃখে, দক্ষিণ রায়ের (সুন্দরবনের বাঘের মূর্তি) তৈরি করা হয়। গ্রামবাসীরা অস্থায়ী মণ্ডপ তৈরি করে এ পূজার আয়োজন করে। বেলা শুরু হলেই স্থাপিত মণ্ডপে শুরু হয় পুঁথি পাঠ। এর পর পূজার সাথে সাথে দেয়া হয় অঞ্জলি। মন্ত্রপাঠ, প্রসাদ বিতরণ ও মণ্ডপে মণ্ডপে শিরনি বিতরণ করা হয় এ পূজাকে উপলক্ষ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/17/1547703127749.gif

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মনোবাসনা পূর্ণ করতে মান্নত করেন। এছাড়াও দিনভর এ বনবিবি পূজা উপলক্ষে মুড়ি, মুড়কি, বাতাসা, মিষ্টি, ধুপ, ধুনো, খেলনা, চা বিস্কুট, শাখার দোকানসহ নানা ধরনের দোকান দিয়ে গ্রামীণ মেলা বসে সর্বত্র। হাজারো ভক্ত ও দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত গ্রামের মেঠোপথ। পূজা উপলক্ষে ভক্ত ও দর্শনার্থীরা সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও নদীতে নৌ ভ্রমণে বের হন।

ঢাংমারির বাসিন্দা উৎপল রায় বার্তা২৪.কম কে বলেন, 'জন্মের পর থেকে আমরা মা বনবিবি’র পূজা করছি। এ পূজা করলে সুন্দরবনের ভয়ংকর বাঘ, কুমির, সাপসহ বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন মা বনবিবি। বনের পাশের মানুষদের রক্ষা করেন বনবিবি। এ অঞ্চলে ১৮৯৬ সাল থেকে বনবিবির পূজা হয়।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/17/1547703163859.gif

উল্লেখ্য, কথিত আছে বহু বছর আগে সুন্দরবনের পাশের এক গ্রামের এক দরিদ্র মায়ের সাথে তার শিশু থাকত। শিশু ছেলেটির নাম ছিল দুঃখে। একদিন দুঃখে সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে যান ধনে আর মনে নামের দুই ব্যবসায়ীর সাথে। যাবার আগে দুঃখের মা তাকে বলে দেন, 'বনে আমার মতো তোর আরেক মা আছেন। কোনো বিপদে পড়লে তাকে ডাকবি।'

তখন সুন্দরবনে গাজী নামে এক আউলিয়া থাকতেন। আর দক্ষিণ রায় ছিল বাঘবেশী অপশক্তি। গাজীর সঙ্গে সখ্যতা ছিল দক্ষিণ রায়ের। এক রাতে দক্ষিণ রায় ব্যবসায়ী ধনে-মনের স্বপ্নে আসেন। দুই ভাইকে প্রচুর মধু আর সম্পদ দেওয়ার লোভ দেন দক্ষিণ রায়। এর ফলে শিশু দুঃখেকে উৎসর্গ করার প্রস্তাব দেন। অন্যথায় ধনে-মনের নৌকা ডুবে যাওয়া ও মধু না পাওয়ার ভয় দেখানো হয়। এরপর ধনে আর মনে ভয়ে দুঃখেকে উৎসর্গ করে তাকে পানি আনতে পাঠিয়ে নৌকা ছেড়ে লোকালয়ে ফিরে যান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/17/1547703182684.JPG

দুঃখে তার মায়ের কথামতো বনের মাকে স্মরণ করে। বনবিবি এসে দুঃখেকে বাঘরূপী দক্ষিণ রায়ের কবল থেকে উদ্ধার করেন এবং তাকে কুমিরের পিঠে ভাসিয়ে মায়ের কাছে ফেরত পাঠান।

এছাড়া বনবিবির ভাই শাহ জঙ্গলি বাঘরূপী দক্ষিণ রায় ও গাজী আউলিয়াকে ধরে বনবিবির কাছে নিয়ে যান। গাজী-দক্ষিণ রায়ের সঙ্গ ছেড়ে বনবিবির পক্ষ নেন। এভাবেই পরবর্তী সময়ে বনবিবি সুন্দরবনজীবী মানুষের কাছে দেবীর মর্যাদা পেয়ে পূজিত হতে শুরু করেন।

   

জামালপুরে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জামালপুরের তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বকশিগঞ্জ উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকে নজরুল ইসলাম সাত্তার উপজেলা ৫৩টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী ২৮ হাজার ৮৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের চার বারের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮০৯ ভোট।

এই উপজেলায় মো: শাহজামাল টিউবওয়েল প্রতীকে ৩০ হাজার ১৮০ ভোট পেয়ে ভাইস এবং জহুরা বেগম হাঁস প্রতীকে ৩০ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭৪ টি ভোট কেন্দ্রে ৩০ হাজার ৭০৩ ঘোড়া প্রতীকে ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক সোলাইমান হোসেন ২৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে ইসলামপুর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন এডভোকেট আব্দুস ছালাম।

৯৩ টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ২৫৫ টিউবওয়েল প্রতীকে ভোট পেয়ে পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল খালেক আখন্দ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকে ফারুক ইকবাল হিরো ৪ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ১২ হাজার ১২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবিদা সুলতানা যুথি ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের আঞ্জুমানয়ারা বেগম ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৬৩০।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

;

চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলাতেই নতুন মুখ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের ভাস্তে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। ভোট গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ৫০ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, পরপর তিনবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪১৯টি।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪০ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী কে এম মঞ্জিলুর রহমান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. জিল্লুর রহমান ২৬ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আইয়ুব হোসেন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৩০৬ ভোট, মো. মোমিন চৌধুরী ডাবু আনারস প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ১০৭ ভোট ও মো. নুরুল ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১৪ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৭ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন। উপজেলার মোট ৯৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এখানে মোট প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

অপর দিকে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৫ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৫ জন। উপজেলার মোট ১১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

;

গৌরীপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী সোমনাথ সাহা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৩.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সোমনাথ সাহা আনারস প্রতীকে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন খান দোয়াত কলম প্রতীকে ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহেল রানা পালকী প্রতীকে ৪২ হাজার ৫০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জহিরুল হুদা চশমা প্রতীকে ২৯ হাজার ২৩ ভোট পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন হাঁস প্রতীকে ৪১ হাজার ৩৮০ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সালমা আক্তার প্রজাপতি প্রতীকে ২১ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ বেসরকারি ভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৫টি ভোট কেন্দ্রে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উপজেলায় মোট ভোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৫৯ ভোট। নির্বাচনে সর্বমোট প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৫ ভোট। বৈধ ভোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৬২ টি। বাতিল ভোট ২ হাজার ৭৯৩ টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৪১.৩৮%।

;

উপজেলা নির্বাচন: ফটিকছড়িতে নাজিম ও হাটহাজারীতে ইউনুছ বিজয়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নাজিম উদ্দিন মুহুরী ও হাটহাজারীরে ইউনুছ গণী চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেছেন। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

হাটহাজারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণী চৌধুরী (আনারস) প্রতীকে ৩৬ হাজার ৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোঁড়া) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী আশরাফ উদ্দিন জীবন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮শ ৬৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বৈদ্যুতিক বাল্ভ প্রতীকের প্রার্থী এমএ খালেদ চৌধুরী পেয়েছেন ২৫ হাজার ১শ ২৩ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ হাজার ২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিবি ফাতেমা শিল্পী (প্রজাপতি)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের প্রার্থী শারমিন আক্তার পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪শ ৩৫ ভোট।

এদিন ভোট গণনা শেষে রাত সাড়ে দশটায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পরান্টু চাকমা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এদিকে ফটিকছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী নাজিম উদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতিয়ার সাঈদ (ইরান) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট। এ উপজেলায় মোট ২২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড.সালামত উল্লাহ চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৭ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শারমীন আক্তার নুপুর ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৫ ভোট।

রাত ১২টার দিকে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

বিজয়ী চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, ‘জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাকে তারা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যদি বেঁচে থাকি, পাঁচটি বছর মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা গঠন করতে চাই।’

এর আগে বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ঘিরে কিছু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি। ।

এদিকে ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় নির্বাচন হলেও রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় আর ভোটগ্রহণ হয়নি।

;