বরিশালে নজরদারি জোরদারে ২৬০ সিসি ক্যামেরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
সিসি ক্যামেরা

সিসি ক্যামেরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং উন্নত পুলিশি সেবা প্রদানের লক্ষে ক্রাইম কন্ট্রোল, ট্রাফিক কন্ট্রোল এবং সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের ‘ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার’ চালু করা হয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরের বান্দরোডস্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের তৃতীয় তলায় ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির।

তিনি জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের তৃতীয় তলায় ২ হাজার ৫০৮ স্কয়ার ফুট আয়তনের একটি কক্ষে স্থাপিত এ অত্যাধুনিক কমান্ড সেন্টার থেকে ২৬০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ২৪/৭ বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টারের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ সেল থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় নিয়োজিত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের কার্যক্রম নজরদারি করাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র নজরদারি করার জন্য মহানগরী এলাকায় ২৬০টি উন্নত সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ সেল তিনভাবে কাজ করবে। অত্র সেন্টার থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বরিশাল মহানগরী এলাকার আইন-শৃঙ্খলা চিত্র সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হবে। এছাড়াও মহানগরী এলাকায় অনুষ্ঠিত যেকোনো ধরণের জনসমাবেশের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীকে চিহ্নিত করণ এবং পূর্বে ঘটে যাওয়া অপরাধসহ আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কিত প্রকৃত লাইভ ভিডিও চিত্র ধারণ ও সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। স্থাপিত সিসি ক্যমেরার মাধ্যমে সহজেই বরিশাল মহানগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও যানজট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে যানজট নিরসনে বাস্তবসম্মত নির্দেশনা প্রদান করা সম্ভব হবে।

বিএমপি কমিশনার বলেন, অপরাধীরা এখন ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অপরাধ করছে। বাস্তবতা হলো এই অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন অত্র কমান্ড সেন্টারে স্থাপিত আইসিটি এন্ড মিডিয়া সেলে একঝাক দক্ষ জনবলের মাধ্যমে ফেসবুক, ইউটিউবের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনো ধরণের গুজব প্রতিরোধ এবং অনলাইন ভিত্তিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২৪/৭ সাইবার পেট্রোলিং করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফেসবুক, ইউটিউবসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরিশাল সংক্রান্ত যে কোন ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হলে তা সাইবার পেট্রোলিং টিমের নজরে চলে আসে। অত্র সেন্টার থেকে সার্বক্ষণিকভাবে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে প্রকাশিত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক নিউজ সাইটে প্রকাশিত সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিএমপি কমিশনার মো. জিহাদুল কবির বলেন, কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার থেকে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে দক্ষ জনবলের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিদ্যমান সকল ইউনিটসহ অপারেশনাল ফোর্সের সাথে যোগাযোগের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপত করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে এই সেন্টার নেটসহ অপারেশনাল ফোর্সের সাথে স্বাভাবিক সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের প্রকৃত তথ্য জানা, ফোর্স প্রেরণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সহজে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার নাগরিকদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সহযোগিতায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ তার সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন -শৃঙ্খলা রক্ষা করে নাগরিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার হবে এই প্রচেষ্টার অন্যতম হাতিয়ার।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হাসান মো. শওকত আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাে. আলী আশরাফ ভূঞা, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. ফজলুল করিম ফজলু, সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার টু পুলিশ কমিশনার) প্রণয় রায়সহ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদ কর্মী ও বিএমপি পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;