বগুড়া শহরের মালতিনগরে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে যায় এবং টিনের চালা উড়ে যায়। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর শ্মশান রোডের একটি বাড়িতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরনে আহত ৪ জন হলেন- বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা(৪০), মেয়ে সুমাইয়া আকতার(১৫), রেজাউলের ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম আক্তার(১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তাসনিম বুশরা(১৪)।
৪ জনের মধ্যে রেবেকা ছাড়া ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রবিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মালতিনগর এলাকায় বিকট শব্দে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ওই বসভবনের দেয়াল ধসে গেছে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বাসার মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিলো। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তারা ৩ জন এবং তার স্ত্রী আহত হন।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই বাসভবনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারই তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পটকা তৈরী করা হচ্ছিল। বাড়িটি পটকা তৈরীর কারখানা হিসেবে পরিচিত।
বাড়িটি পরিদর্শনে যাওয়া বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তিনি বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।