ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

ঈদ উপলক্ষে রোববার থেকে মিলবে নতুন নোট

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী রোববার (৩১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট বিনিময়। যা চলবে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও গাজীপুরের কয়েকটি শাখা থেকেও নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন শাখা কাউন্টারের মাধ্যমে ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকা অঞ্চলের বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখার মাধ্যমেও গ্রাহকরা নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যেসব ব্যাংকের যেসব শাখায় নতুন নোট পাওয়া যাবেঃ

জনতা ব্যাংকের পোস্তগোলা শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, ব্যাংক এশিয়ার বনানী-১১ শাখা, উত্তরা ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, যমুনা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, দি সিটি ব্যাংকের ইসলামপুর শাখা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নবাবপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের লালবাগ শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা।....

অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্পোরেট শাখা, প্রাইম ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা, জনতা ব্যাংকের টিএসসি কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের জাতীয় সংসদ ভবন শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের সাত মসজিদ রোড শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মেইন ব্র্যাঞ্চ, দিলকুশা, যমুনা ব্যাংকের লালমাটিয়া শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা মেইন শাখা।....

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রায়ের বাজার শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিউমার্কেট শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের দিলকুশা শাখা, এক্সিম ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের মিরপুর শাখা, মিরপুর-১, উত্তরা ব্যাংকের বাবু বাজার শাখা, জনতা ব্যাংকের রজনীগন্ধা, ঢাকা (কচুক্ষেত করপোরেট শাখা), দি সিটি ব্যাংকের মগবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইব্রাহীমপুর শাখা, এনসিসি ব্যাংকের মগবাজার শাখা।

ন্যাশনাল ব্যাংকের উত্তরা শাখা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, এনসিসি ব্যাংকের মালিবাগ শাখা, রূপালী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখা, ইসলামী ব্যাংকের খিলগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংকের কোর্ট বিল্ডিং শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের রামপুরা টিভি শাখা, ইসলামী ব্যাংকের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, এবি ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রগতি সরণি শাখা, এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা।....

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দক্ষিণ বনশ্রী শাখা, এনআরবিসি ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ ভুলতা শাখা, ঢাকা ব্যাংকের বনশ্রী শাখা, ইসলামী ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ কাঁচপুর শাখা, ঢাকা ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, প্রাইম ব্যাংকের সাভার শাখা, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের বসুন্ধরা শাখা, ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা, সোনালী ব্যাংকের মুন্সীগঞ্জ কর্পোরেট শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের শ্রীনগর শাখা।

   

চসিকের ৫০০ কোটি টাকা দেনা পরিশোধ করেছি: মেয়র রেজাউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১১০০ কোটি টাকা দেনার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

তিনি বলেন, আরও ৪৪০ কোটি টাকা দেনা বাকী আছে। দায়-দেনামুক্ত করে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ চলছে।

বুধবার (১৫ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রাক বাজেট (২০২৪-২৫) আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র রেজাউল করিম বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর দায়-দেনা নিয়ে খুবই জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। তবে, কৃচ্ছতা সাধন, অপচয় হ্রাসসহ বিভিন্ন কৌশল নিয়ে প্রায় ১১০০ কোটি টাকার দেনা থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি। বর্তমান দেনার পরিমাণ ৪৪০ কোটি টাকা। বাকী দেনা শোধ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রকৃত জনসেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

চসিকের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ চসিকের যে ব্যাপক কার্যক্রম তা কেবল হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এজন্য বন্দরসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য শিশুপার্ক ও খেলার মাঠ করে দেওয়া হবে।

মেয়র আরও বলেন, চট্টগ্রাম পর্যটন নগরীর অথচ অহংকার করতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে চট্টগ্রামকে সাজাতে পারিনি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে বন্দর ও কাস্টম থেকে সিটি ডেভেলপমেন্ট চার্জ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাজেট নিয়ে মতামত দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, সিআরসি, আইসিএবি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান এফসিএ, সিআরসি আইসিএবি সাধারণ সম্পাদক নাজনীন সুলতানা এফসিএ, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সালেহ জহুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট উমর হাজ্জাজ, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মোহাম্মদ এরাদত উল্লাহ এফসিএ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. ইমাম হোসেন রানাসহ কর্মকর্তারা।

;

মুক্তিযোদ্ধার কবরে মিলল অবিস্ফোরিত গ্রেনেড!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
অবিস্ফোরিত গ্রেনেড

অবিস্ফোরিত গ্রেনেড

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এক মুক্তিযোদ্ধার কবর খুঁড়তে গিয়ে একটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গ্রেনেড।

মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নে আজম নগর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে এই গ্রেনেড পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি বুধবার জানাজানি হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম জানান, মঙ্গলবার বীরমুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াসের কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেডসদৃশ একটি বস্তু পাওয়া যায়। প্রথমে লোহা মনে করে একপাশে রেখে দেন শ্রমিকরা। পরে বস্তুটির ওপরের মাটি পরিষ্কার করলে গ্রেনেড আকৃতির মনে হয়েছে। আমরা কবরস্থানের পাশে এটি রেখে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ছোড়া গ্রেনেডটি কোনো কারণে বিস্ফোরিত হয়নি। দীর্ঘ সময় মাটিচাপা থাকার কারণে ওপরের আবরণের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি বালির বস্তা দিয়ে নিরাপত্তার জন্য সাময়িক সময়ের জন্য চাপা দিয়ে রাখে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’

‘মাথার মধ্যে একে-৪৭ তাক করা ছিল, ট্রিগার চাপলেই মারা যেতাম’

  • Font increase
  • Font Decrease

‘যখন আমাদের মুক্তি দিবে, পাশে দিয়ে ইউরোপীয়ান জাহাজ ও উপর দিয়ে বিমান যাচ্ছিল, তখন আমাদের মাথায় একে-৪৭ তাক করা ছিল। তারা বলছিল, জাহাজ থেকে যদি কিছু করার চেষ্টা করে, সবাইকে একসাথে মেরে ফেলবে। তাদের হাত ট্রিগারে দেয়া ছিল, ভুলেও যদি গুলি বের হতো, সাথে সাথে মারা যেতাম। এটি একটি দুঃস্বপ্ন, ভুলে যেতে চাই।’

এভাবেই জলদস্যুর হাতে জিম্মি থাকাকালীন সময়ের ঘটনা বর্ণনা করছিলেন জাহাজটির ইলেকট্রেশিয়ান পদে কর্মরত থাকা ফেনীর ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সোমালিয়ার জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দেশে পৌঁছেছেন। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিলেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইব্রাহিম খলিল উল্ল্যাহ বিপ্লব। দীর্ঘ দুই মাস আটকে থাকার পর বিপ্লব ফেনীতে পরিবারের সদস্যদের কাছে এসেছেন। এসে জাহাজে জিম্মি থাকাকালীন সময়ের স্মৃতি তুলে ধরেন বিপ্লব।

বিপ্লব বলেন, দেশের মানুষের দোয়া, সরকারের সহযোগিতা ও আমার বাবা-মায়ের দোয়ায় আমি ফেরত এসেছি মৃত্যুর হাত থেকে৷ সরকার ও আমাদের কোম্পানি এস আর শিপিং এর কর্মকর্তারা আমাদের জন্য অনেক করেছেন। অর্থনৈতিকভাবে সাপোর্ট দিয়ে জীবিত ফেরত এনেছেন। ফেরত আসার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না। ওই ২ মাস ছিল আমার জীবনের দুঃস্বপ্ন, সেটি শেষ হয়েছে এটিই জীবনের বড় পাওয়া।

জিম্মি থেকে মুক্ত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা দিয়ে বিপ্লব বলেন, যখন আমাদের কোম্পানি মুক্তিপণ দিচ্ছিল, তখনকার একটি বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা হয়েছে।
তারা ৬৫ জন ছিল, সবার হাতে একে-৪৭ অস্ত্র ছিল। তারা আমাদের মাথার মধ্যে অস্ত্র ধরে রেখেছিল, ট্রিগারে তাদের হাত ছিল। একপাশ থেকে ইউরোপীয়ান যুদ্ধ জাহাজ যাচ্ছিল, উপর দিয়ে বিমান যাচ্ছিল। তখন তারা আমাদের বলেছিল, ওই সময় যদি কোনো কিছু করার চেষ্টা করে তারা আমাদের সেখানেই মেরে ফেলবে। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, জীবন ওখানেই শেষ। এত ভয় জীবনে আর কোনোদিন পাইনি। আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন।

জিম্মি হওয়ার প্রথমদিনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রথম যেদিন আমাদের আটক করে সেদিন সোমালিয়ার হাই রিস্ক জোন থেকে আমরা ৪৭০ নটিকেল মাইল দূরে ছিলাম। তারা একটি ইরানি ফিশিং জাহাজকে ১ মাস জিম্মি করে রেখেছিল। যখন আমাদের জিম্মি করছিল তখন আমি আমার ডিউটি রুমে যাচ্ছিলাম, তাৎক্ষণিক ইমারজেন্সি অ্যালার্ম বাজানো হয়েছে। ক্যাপ্টেন জানিয়েছে, জলদস্যু আমাদের জাহাজে আক্রমণ করছে। উপরে গিয়ে দেখি আমাদের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে।

বিপ্লব বলেন, তখন থেকেই মনের মধ্যে ভয় শুরু হয়েছিল। ক্যাপ্টেন অনেক চেষ্টা করেছিল, যাতে তাদেরকে উঠতে না দেয়া যায়, কিন্তু তারা সশস্ত্র ছিল, ফলে উঠে যেতে সক্ষম হয়। উঠে তারা গুলি করে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। তখন ক্যাপ্টেন আমাদের বলছিল, গোপন কক্ষে যাওয়ার জন্য। আমরা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ঠিক তখন আমাদের সেকেন্ড অফিসারের বুকে গুলি তাক করে, তখন সবাই তাদের সামনে বসে যাই। তারা আমাদের হাত উপর করতে বলে এবং জানায় তারা আমাদের জিম্মি করেছে।

তিনি বলেন, জিম্মি করার ২ দিন পর তাদের অন্য সদস্যরাও সশস্ত্র অবস্থায় জাহাজে আসে। সোমালিয়া কোস্টের পাশে নিয়ে যাওয়া হয় আমাদের। আমাদেরকে যত রকমের ভয় দেখানো যায় তারা দেখিয়েছে। প্রতিদিন আমাদেরকে ব্রিজে রাখত, সপ্তাহে একদিন পানি দিত গোসল করার জন্য। আমাদের খাদ্য সংরক্ষিত ছিল সেগুলো আমরা খেয়েছি। তবে তারা অধিকাংশ নষ্ট করেছে। সম্পূর্ণ জাহাজকে তারা নষ্ট করে ফেলেছে। এটি জীবনের ভয়াবহ একটি স্মৃতি। ঘুমালে মনে হতো, মাথা উঠালেই একে-৪৭ গুলি আমার মাথায় তাক করা আছে। এভাবে দিন কেটেছে।

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপ্লব বলেন, দেশের মানুষ আমাদের চিনতো না, জানতো না। এরপরও তারা আমাদের জন্য দোয়া করেছে, দেশের মানুষের প্রতি আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা। জলদস্যুরা আমাদের তখন বলতেছিল তোমাদের দেশের মিডিয়া অনেক ভালো, তোমাদের নিয়ে সর্বাত্মক খবর প্রচার করছে। তারা সবসময় বাংলাদেশের সকল নিউজ দেখছিল এবং আমাদের বলছিল। সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসের ১২ তারিখ কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। পরে গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেয়। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেয়। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে ১৪ মে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশে ফেরত আসে।

;

ফের লাফিয়ে উঠছে পারদ, ঢাকাসহ ১৮ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ ১৮ জেলায় আবারও খটখটে রোদ আর ভ্যাপসা গরম ফিরতে শুরু করেছে। এর ফলে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বিরাজ করতে পারে।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা ওই আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তবে বৃষ্টির সুখবর কেবল সিলেটের জন্য রয়েছে। এই বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। 

এদিকে আগামীকাল (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

;