দালালের হাতে জিম্মি ৪, নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে দাবি মুক্তিপণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাগ্য বদলাতে বিদেশে পাড়ি দিয়ে দালালদের ফাঁদে জিম্মি হয়েছেন চট্টগ্রামের চার যুবক। দালালরা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নিয়ে যুবকদের তুলে দিয়েছে সংঘবদ্ধ চক্রের হাতে। এরপর তাদের নির্যাতনের ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠিয়ে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণের টাকার। ঘটনার শিকার চার জনই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা।

তারা হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মধ্যম গহিরা বাচা মিয়া মাঝির ঘাট এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. ওয়াসিম (২২), একই এলাকার মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (১৯), আবদুর রহিমের ছেলে জাবেদুর রহিম (১৯) ও জেবল হোসেনের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২০)। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে জিম্মি সদস্যদের পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার চার যুবককে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

অপহৃতদের স্বজনরা জানায়, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে জহিরুল ইসলাম কাউকে মসজিদ, কাউকে হাসপাতাল আবার কাউকে দোকানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নেন। প্রথমে যুবকদের ট্যুরিস্ট ভিসায় দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের তুলে দেওয়া হয় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বাসিন্দা মো. মিজানের হাতে।

মিজান তিন দিন পর তাদের সবার পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে নেন। সাত দিন পর দুবাই থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি মিশর হয়ে তাদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে মিজান অন্য দালালের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রামের এই চারজনকে। ওই দালালরাই এখন তাদের স্বজনদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছে। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃত যুবকদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন।

জিম্মি যুবক বোরহান উদ্দিনের বড় ভাই সালাউদ্দিন বলেন, ‘২০ অথবা ২১ মার্চ আমার ভাইসহ চারজনকে জিম্মি করে দালালরা। এরপর ২৪ মার্চ সকালে মোবাইলে কল করে আমাদের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না হলে আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পর পর হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মুক্তিপণ পাঠানোর জন্য তাগাদা দিচ্ছে। কল করে বলে, আমি অ্যাকাউন্ট নম্বর দিচ্ছি ওই অ্যাকাউন্টে টাকা দাও। টাকার জন্য প্রতিনিয়ত কল দিচ্ছে। মোবাইল বন্ধ থাকলে তখন ভয়েস মেসেজ পাঠাচ্ছে। টাকা কেন দিতে হবে জানতে চাইলে অপহরণকারীরা আমাদের বলে, তোমার ভাইকে আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই এখন ছাড়াতে হলে মুক্তিপণ দিতে হবে।’

সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের জন্য যারা যোগাযোগ করছেন সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। অপহরণকারীরা সবাই বাংলাদেশেরই লোক। যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য বলা হচ্ছে, সবগুলো চকরিয়া ব্র্যাঞ্চের। তাই আমাদের ধারণা, এই অপহরণের সঙ্গে বাংলাদেশের লোকজনই জড়িত।’

   

গরমে সবজির বাজারে উত্তাপ, বেড়েছে আলু- পেঁয়াজের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপ প্রবাহের কবলে অস্বস্তিতে ভুগছেন মানুষ। এর সাথে নতুন যুক্ত হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও সবজির ঊর্ধ্বমুখী দর।

গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলুতে ১০ টাকা এবং পেঁয়াজে বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ টাকা করে। এছাড়াও সব ধরনের সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) মেহেরপুর জেলার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা এবং সবজির মধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, ঢেড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


পাইকারিতে গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও আলুর দর ছিল ৩৮ টাকা। এদিকে পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে আরও ২৫-৩৫ টাকা পর্যন্ত। যা ভোক্তাদের তাপদাহের অস্বস্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাংনী কাঁচা বাজারের সতত ভান্ডারের স্বত্তাধিকারী সাহাদুল ইসলাম বলেন, এখনও আলু ও পেঁয়াজ সংরক্ষণ পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষেত থেকে পরিপক্ক আলু পেঁয়াজ তোলার পর সেগুলোর সংরক্ষণ হয়ে থাকে। আর কিছুদিন পরেই সংরক্ষণকৃত এসব পেঁয়াজ ও আলু বাজারে বিক্রি শুরু হবে। তখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ার আশা করছেন তিনি।

ভোক্তারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে জনীবন অতিষ্ট। কোথাও নেই স্বস্তি। এর মধ্যে আলু পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি তাদের বাড়তি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রীষ্মের দাবদাহে সবজি আবাদে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। বছরের এ সময়টাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। তবে এবার সেই চিত্রের ভিন্নতা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

;

বহিষ্কৃত মেয়রের স্ত্রী মিতুই কাটাখালীর নতুন মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাজশাহী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। তিনি ওই পৌরসভার বহিষ্কৃত মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী। অন্যদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

আর পুঠিয়া ইউপি নির্বাচনের ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় ভোটারদের দেওয়া তথ্য মতে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল।

তিনি জানান, ৬৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী রাবেয়া সুলতানা মিতু ৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাবগাছ প্রতীকের আবু সামা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট।

এদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন দুই জন। বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু ঘোড়া প্রতীকে ও পুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল আনারস প্রতীকে লড়াই করেন।

৫ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঝন্টু পান ৪ হাজার ৮৭ ভোট।

;

বগুড়ায় পটকা তৈরীর কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম বগুড়া
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া শহরের মালতিনগরে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে যায় এবং টিনের চালা উড়ে যায়। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর শ্মশান রোডের একটি বাড়িতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরনে আহত ৪ জন হলেন- বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা(৪০), মেয়ে সুমাইয়া আকতার(১৫), রেজাউলের ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম আক্তার(১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তাসনিম বুশরা(১৪)।

৪ জনের মধ্যে রেবেকা ছাড়া ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রবিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মালতিনগর এলাকায় বিকট শব্দে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ওই বসভবনের দেয়াল ধসে গেছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বাসার মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিলো। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তারা ৩ জন এবং তার স্ত্রী আহত হন।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই বাসভবনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারই তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পটকা তৈরী করা হচ্ছিল। বাড়িটি পটকা তৈরীর কারখানা হিসেবে পরিচিত।

বাড়িটি পরিদর্শনে যাওয়া বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৬৫)। তার বাড়ি উপজেলার সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী (টিউবওয়েল) জোবায়দুর রহমানের চাচা মোহাম্মদ আলী।

পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ভোট গণনায় আজিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন জোবায়দুর রহমান। এর পর পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ফলাফল না মেনে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর ওই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালাতে থাকলে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড শটগান থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ঘটনাস্থলে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ, বিরল ও আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। সকাল ৮টায় ব্যালটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

;