এমপির দম্ভ, এমপির ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে সোয়া কোটি টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে জাতীয় সংসদের একজন সদস্য ঘোষণা দিয়েছেন তিনি তার খরচের এই টাকা তুলবেন। যেভাবেই হোক তুলবেন। মাননীয় সংসদ সদস্য বুঝতে পারছেন এটা অন্যায়, এবং এই অন্যায়টুকু করতে চান তিনি। এটুকু করে এরপর আর কোন অন্যায় না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) যখন উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে অন্যায় করার এই ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন ওই মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেনসহ অনেকেই। এমপির এই ঘোষণা সত্ত্বেও বিব্রত হওয়া ছাড়া তাদের করার কিছু ছিল না। ইউএনও পরে গণমাধ্যমকে নিজের বিব্রত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। মাঠপ্রশাসনের একজন কর্মকর্তা একজন সংসদ সদস্যের প্রটোকলের অনেক নিচে অবস্থান করেন বলে আসলে তার করারও কিছু নেই। একই কথা প্রযোজ্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং অন্যদের ক্ষেত্রেও।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম বলেছেন, ‘আমার পাঁচটা বছরের বেতন–ভাতার টাকা ছাড়া আমার কোনো সম্পদ ছিল না। আগামী দিনেও আমার থাকবে না। তবে এবার (সংসদ নির্বাচনে) ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এইটা আমি তুলব। যেভাবেই হোক। এটুকু অন্যায় করব, আর করব না।’ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন আবুল কালাম। ওই সময়ের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, ‘ওই সময় কিন্তু এক টাকাও খরচ হয়ছিল না আমার। শুধু ব্যাংকে ২৫ লাখ টাকা জমা রাখতে হয়, ওটা রেখেছি। এক টাকাও খরচ নাই, ২৫ লাখ টাকা তুললাম। ২৭ লাখ টাকার গাড়ি কিনেছিলাম, ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি। চাইলে ১ কোটি টাকা দিয়ে কিনতে পারতাম। আমার যখন টাকা নাই, তখন ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই যে টাকা, ওই টাকা তুলে নিব আমি। খালি ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলব।’

সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তিনি গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে এখন বলতে চাইছেন 'মজা করে বলেছেন কথাগুলো'। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি সিরিয়াস কোনো কথা বলিনি। কথার কথা বলেছি। এটা মজা করেও বলা যেতে পারে। আমি নির্বাচনী খরচের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বোঝাতে চেয়েছি, আগামী দিনে আমি টাকার পাহাড় গড়তে চাই না, আমি শুধু খরচের টাকা তুলতে চাই। এটা অন্যায়ভাবে না কিংবা কারও কাছ থেকে অবৈধভাবে না। আমার সম্মানী থেকে উপার্জন করতে চাই। এই কথাকে বিকৃতভাবে চিন্তা করার কোনো কারণ নাই।’


অনুষ্ঠানের ব্যানারে ৬৭ বছর বয়স্ক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নামের আগে 'বীর মুক্তিযোদ্ধা' লেখা দেখছি। ১৯৭১ সালের ১৫ বছর বয়েসি এই রাজনীতিক জীবনে দুইবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। প্রথমবার ২০১৪ সালে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি, নির্বাচনও করেননি। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন।

তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, এবং এই আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই। মমতাজ উদ্দিন আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, ছিলেন একবারের সংসদ সদস্য। ২০০৩ সালে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ২০২৩ সালে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত ছিলেন প্রয়াত এই রাজনীতিক। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্যে রাষ্ট্র মরণোত্তর সম্মাননা দেয় প্রয়াত মমতাজ উদ্দিন আহমেদকে।

আবুল কালাম আজাদ এমপির দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণার সাহস কোথা থেকে আসে, প্রশ্নটা রাখতে চাই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি না হলেও আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে 'ডামি প্রার্থী' ছিলেন। নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ ছিল, অভিযোগ ছিল সহিংসতার। এছাড়া নির্বাচনের পর এই আসনের ভোট পুনরায় গণনা এবং আসনটিতে বিজয়ী প্রার্থীর নামে গেজেট প্রকাশ বন্ধ রাখার জন্য আবেদন জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল। আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি, সেইসঙ্গে অন্তত ২১টি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ফলাফল নিজের অনুকূলে নেওয়ার। ৭ জানুয়ারির ওই নির্বাচনের জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ছিল ১ হাজার ৯৯৬ ভোট; যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট।

অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ যে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা যেকোনো মূল্যে তুলতে চান সেটা তিনি নির্বাচনের সময়ে খরচ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন। নাটোরের এই এমপি নিয়মের অন্তত ৫ গুণ বেশি অর্থ খরচ করেছেন নির্বাচনে, এবং নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরাও অভিযোগ করেছেন তিনি টাকা দিয়ে ভোট কেনার। প্রতিদ্বন্দ্বীদের অভিযোগ, নিজের খরচের হিসাব এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশনার কিছুই একটার সঙ্গে অন্যটা মেলে না। এখানে পরিস্কার তিনি নির্বাচন করতেও অন্যায় করেছেন, এবং নির্বাচনে জিতে এসে দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে দেশের আইনকানুন, রীতিনীতি, শিষ্টাচার, জবাবদিহি সবকিছুকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছেন।

দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সরকার-দলের কারো প্রতি ততটা কঠোর না হওয়ার। পুরোপুরি না হলেও কিছুটা হলেও অবিশ্বাস করতে চাই এই অভিযোগকে। এখানে তাই তাদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আবুল কালাম আজাদকে নিয়ে কিছু করার। তিনি সরকার-দল আওয়ামী লীগের সরাসরি এমপি নন বলে কিছুটা সাহস তাদের কাছ থেকে আশা করতেই পারি!

এমনিতেই অনেক রাজনীতিকের সততা নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রশ্ন। ব্যবসাবাণিজ্য, সিন্ডিকেট, অর্থ পাচারের নানা গুঞ্জন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি—নেই কী অভিযোগ! এমন অবস্থায় আবুল কালাম আজাদ এমপির অনিয়ম-দুর্নীতি করার প্রকাশ্য ঘোষণা রাজনীতিকদের ভাবমূর্তি সংকটের অন্যতম উদাহরণ হয়ে গেছে। এই ঘোষণা, এবং ঘোষণার পর কোন রাষ্ট্রীয় কোনো সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোন বার্তা না আসায় জনমনে জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা জন্মাচ্ছে।

ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছেন রাজনীতিকরা, সময়ে-সময়ে আবুল কালাম আজাদরা দিচ্ছেন এর নেতৃত্ব। দুর্নীতির প্রকাশ্য ঘোষণা দেওয়া এই এমপিকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

   

নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে হিট ষ্ট্রোকে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তাপদাহে নির্বাচনী প্রচারনা গিয়ে হিট ষ্ট্রোক করে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদার জানিয়েছেন।

মৃত রিয়াজুল ইসলাম (৪২) উপজেলার কলসকাঠী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। সে উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক।

চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদার বলেন, সাবেক সংরক্ষিত সদস্য পারভীন তালুকদার দুপুরে কলসকাঠি বাজারে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীরা তার সাথে দেখা করেন। তার সাথে দেখা করে বাসায় ফিরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিয়াজুল ইসলাম। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কলস কাঠি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বশির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নেছার খান সাংবাদিকদের জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিব আহমেদ তালুকদারের সাথে কলসকাঠীতে গণ সংযোগে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম। প্রখর রৌদ্রের মধ্যে হিট স্ট্রোক করেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সেহতাব আহসান বলেন, রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বে মারা গেছে। রোগীর হিষ্ট্রি শুনে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি হিট ষ্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও অন্য কোন ক্লু পাওয়া যায়নি।

;

সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের চালানোর অভিযোগ উঠেছে জলঢাকা পৌর নির্বাচনের মেয়র পদপ্রার্থী মো নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বিরুদ্ধে। এঘটনায় সংবাদ প্রতিবাদ জানিয়ে সম্মেলন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে ওই আসনের আ. লীগের অঙ সংগঠন গুলো।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার অন্নেষা ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন জলঢাকা পৌর যুবলীগ। এছাড়া একই দিনে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করে স্বেচ্ছা সেবকলীগসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গ সংগঠন।

সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলনে পৌর যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলুর রশীদ বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন কেন্দ্রীয় যুব লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর নানা ভাবে আ. লোগ বিরোধীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সদস্যকে নয়ে মন গড়া ভাবে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে প্রচার করা হচ্ছে। পৌরসভা৷ নির্বাচনকে পুঁজি করে এসব বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে প্রার্থী নভো।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি নিজের কাজ ও সংসদীয় এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে ঘুরছেন। এলাকায় না থাকা সত্ত্বেও এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এদিকে গত ২৬ এপ্রিল জলঢাকা পৌর নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী নভো।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আ. লীগ এমপি হয়েও বিএনপি প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন সাদ্দাম হোসেন পাভেল।
এ বিষয়ে জানতে পদপ্রার্থীকে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেল বলেন, আমি দীর্ঘদিন আমার সংসদীয় এলাকার বাহিরে। নিজ এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবার লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি ঢাকা থেকে। এমনকি কোন নির্বাচন যেন প্রভাবিত না হয় সে জন্য উপজেলা নির্বাচনে আমার ভাইকে মনোনয়ন জমা থেকে বিরত রেখেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে।

;

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে দক্ষ মানবশক্তি গড় তুলতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসির কনফারেন্স হলে আয়োজিত অষ্টম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স-২০২৪ (বিআইজিএফ) এর Zero Digital Divide শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠান বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু প্রযুক্তি মানুষের জন্য, তাই প্রযুক্তির সাথে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। উন্নত, উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসের ধরণ ভিন্ন।

সময়ের সাথে মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা চালকবিহীন গাড়ির চেয়ে আমাদের জরুরি প্রয়োজন উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা। দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে তরুণ মানবশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে হলে প্রতিটি নাগরিককে প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) চেয়ারপারসন জনাব হাসানুল হক ইনু বলেন, ডিজিটাল বিভক্তি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা চ্যালেঞ্জ হলেও যেহেতু প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়াতে হলে ডিজিটাল অবকাঠামো, ডিজিটাল সেবা এবং সেবা গ্রহণের বিষয়গুলো উন্নত ও সহজলভ্য করতে হবে। ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বাড়লে অর্থনৈতিক বৈষম্য, নারী-পুরুষ বৈষম্য কমে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই জনবান্ধব, জলবায়ুবান্ধব ও নারীবান্ধব হতে হবে।

কমিশনের সিস্টেমস্ এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান বলেন, তরুণ, নারী এবং যুবকদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ডে অংগ্রহণ এবং তাদের মতামতকে গ্রহণ করতে হবে। এআই, বিগ ডাটা, আইওটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই আমাদের এ প্রযুক্তি পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন করতে শিখতে হবে।

অনুষ্ঠানে ৮২ জন ফেলোর অংশগ্রহণে তিন দিনের কর্মসূচীতে বৈশ্বিক ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংগস (আইওটি) বিগ ডাটা , ডোমেইন নেইম সিস্টেম (ডিএনএস), ইন্টারনেট ইকোসিস্টেম, নিরাপদ ইন্টারনেট প্রযুক্তি, ডাটা প্রটেকশন, টেলিযোগাযোগ ও ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড সম্পর্কে আলোচনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।

;

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠাতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ একদিকে যেমন সুরক্ষিত থাকবে অন্যদিকে এই অর্থ থেকে সরকারি প্রণোদনাসহ সঞ্চয় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত রেমিটেন্স মেলায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠাবেন তাদের জন্য ‘রেমিটেন্স এওয়ার্ড’ প্রবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে। রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধির যে প্রস্তাব রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, তা বিবেচনার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে উত্থাপন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসীদের কল্যাণে ও তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছেন।

এতে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক।

অনুষ্ঠানে রেমিটেন্স প্রেরণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনাসহ উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী তাদের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। মেলায় যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রধান ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কে মেলায় দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রবাসীদের স্বার্থ ও কল্যাণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

;