নোয়াখালীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এক প্রবাসী তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়। নিহত আনোয়ার হোসেন অনিক (২২) কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জগদানন্দ গ্রামের মাজারুল হক মন্টু মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বন্ধুদের ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি থেকে জেলা শহর মাইজদীতে আসেন অনিক। সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টোকিও ফুডের পাশে হায়দার ইলেক্ট্রনিক্সের সামনে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনিক গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের বাবা মন্টু মিয়া জানান, অনিক ২ মাস আগে বিয়ে করে। সে আবুধাবি প্রবাসী ছিল। ২মাস ৫দিন আগে সে দেশে ফিরে আসে। আসরের নামাজের পর বাড়ি থেকে সে বের হয়। আমাকে বলেছিল তাদের একটা ইফতার পার্টি আছে। ইফতার পার্টি শেষে বাড়ি ফিরবে। ইফতারের সময় একটি নম্বর থেকে আমার মুঠোফোনে কল দিয়ে জানানো হয় অনিককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। হাসপাতালে এসে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গেছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

ঝগড়া থামাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বউ-শাশুড়ীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জয়নাল আকন্দ (৪০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের মির্জাপুর আকন্দ বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল আকন্দ ওই এলাকার মুসলিম আকন্দের ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে নিহতের চাচা খুরু আকন্দের মেয়ে ফুলেরা বেগমের সাথে পাশের বাড়ী শাবু মিয়ার ছেলে সাথে বিবাহ হয়। এর পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তারই সূত্র ধরে শনিবার দুপুরে ফুলেরা বেগমের সাথে তার শ্বাশুড়ীর ঝগড়া লাগে। এসময় ফুলেরার চাচাতো ভাই জয়নাল আকন্দ ঝগড়া থামাতে যায় ওই বাড়িতে। এক পর্যায়ে ফুলেরার শ্বশুর শাবু মিয়ার সাথে কাটাকাটি হয় জয়নাল আকন্দের। এসময় তাদের লাঠির গুরুতর আহত হয় জয়নাল ও নবিজল। এসময় সাফুল (৩০),আলমগীর (২৪) ও বাবুল (৩০) নামে আরও তিন জন আহত হন।

পরে আহতদের উদ্বার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের নেওয়া হয়। এসময় আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জামালপুর নেওয়া পথে জয়নাল আকন্দের উচ্চ রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনার স্থলে আসছি। এঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;

ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা

ধর্মঘট প্রত্যাখান তিন সংগঠনের, গাড়ি চালানোর ঘোষণা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামে ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট প্রত্যাখান করেছে পৃথক তিন পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠন। সেই সঙ্গে তারা গাড়ি চালানোরও ঘোষণা দেয়।

সংগঠনগুলো হলো- বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম পিকআপ-সিএনজি-টেম্পো ও পণ্য পরিবহন মালিক-চালক ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ অটোরিকশা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে স্ব-স্ব সংগঠনের নেতারা বিয়ষটি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

;

কাঠের গুদামে মিলল ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি কাঠের গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকার এই গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশের একটি দল ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সহযোগিতা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে বহদ্দারহাট এলাকায় একটা কাঠের গোডাউন ও কারখানায় বেশ কিছু চিনি মজুদ করা হয়েছে। বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছিল- যেহেতু কাঠের গোডাউনে চিনি। এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। এর প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনা সত্যতা পাই।

তিনি বলেন, গোডাউনে এসে দেখি ৬০০ বস্তা চিনি মজুদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহযোগিতায় আমরা জানতে পারি, চিনিগুলো ফ্রেশ ব্রান্ডের মোড়কে থাকলেও এসব ভারতীয়। কাঠের গোডাউন থেকে তারা সরাসরি বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়ে মজুত করেছিল। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একই তথ্য পেয়েছি। গুদাম মালিক দোষ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধ আমলে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী গুদাম মালিক মো. আব্দুর রব্বানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গুদাম মালিক আব্দুর রব্বানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‌গোডাউনটা আমার থেকে পাশের এক দোকানদার ভাড়া নিয়েছি। আমাকে বলেছিলেন কাঠ রাখবে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই চিনি রাখছেন, এসব চিনি যে অবৈধ তা তিনি জানতাম না।

;

হিট অফিসারকে নিয়ে ট্রল করতে না করলেন নুর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তীব্র গরমে দেশের তরুণরা হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়ে ট্রল করছেন। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন মাত্র এক বছর হয়েছে। এক বছরে তিনি কি করবেন? এসব ঠিক করতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে। শুধু শুধু তাকে ট্রল করে কোনো লাভ নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, বাটপাররা দেশের টাকা বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে, রিজার্ভ ফাঁকা করে ফেলছে। তাই সাংবাদিকরা যাতে কোনো নিউজ করতে না পারে সেজন্য তাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ নীতি করার কারণে বাংলাদেশে ঔষধ শিল্প বিকশিত হয়েছে। এই ঔষধ নীতি করার আগে বাংলাদেশে প্রায় দুই হাজার রকমের ঔষধ আমদানি করা হতো। এখন ৯৭-৯৮ শতাংশ ঔষধ বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ থেকে ঔষধ এখন বিদেশে রফতানি করা হয়।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনা করা উচিত। তার মতো ব্যক্তিত্বপূর্ণ মানুষ আমি আমার ৩২ বছর বয়সে দেখিনি। তিনি অসহায় মানুষ, ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের যেকোনো জায়গায় যখন প্রাকৃতিক সমস্যা হতো তখন তিনি মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে গিয়েছেন। তিনি সবসময় বলতেন, আমি তোমাদের মধ্যে ভবিষ্যৎ দেখি।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিশ চৌধুরী বলেন, আমার বাবা একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি কখনোই চাইতেন না যে সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাক। তিনি সবসময় মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেন।

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বাবলু বিশ্বাস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।

;