ফিশিং বোটে বিস্ফোরণে আগুন, দগ্ধ ৪ জনকে চমেকে ভর্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক ভর্তি দগ্ধ চারজন হলেন- জামাল উদ্দিন (৫৫), মাহমুদুল করিম (৪৫), মফিজুর রহমান (৪৫) ও এমরাম (২৮)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

দগ্ধ জামাল উদ্দিনের বন্ধু স্বদেশ গুহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইঞ্জিন চালু করার সময় বিস্ফোরণ হয়েছে শুনেছি। আনুমানিক সকাল ১০ থেকে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমি তখন একটু দূরে ছিলাম। খবর ‍শুনে ঘটনাস্থল থেকে জামালকে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসি। এরপর আরও ৩ জনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। জামাল আমার বন্ধু। সে একজন মেকানিক। বোটের মধ্যে ইঞ্জিনের কাজ করছিল। তার মাথার চুল আর হাত পুড়ে গেছে। এখনো মোটামুটি কথা বলছে। বাকিরা মনে হয়, বোটের কর্মচারী।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশিক জানান, বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ চারজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদেরকে বার্ন ও ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। 

এর আগে কোস্টগার্ড জানায়, দুপুর ১২টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে আগুনের খবর পেয়ে তাদের জাহাজ 'প্রমত্ত' আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

   

সেবা বাড়াতে টেলিটকের তিন হাজার টাওয়ার নির্মাণ হচ্ছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সরকারি মোবাইল সিম কোম্পানি টেলিটক সিমের নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে তিন হাজার বিটিএস সাইট (টাওয়ার) নির্মার্ণের কাজ চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম রহুল আমীন হাওলাদারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক সংসদে জানান, ইতিমধ্য সেবার মান বাড়াতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ সারাদেশে সরকারি মোবাইল ফোম্পানি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে 'গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন' শীর্ষক চলমান প্রকল্পের অধীন তিন হাজার নতুন বিটিএস সাইট (টাওয়ার) স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে দেশের দুর্গম পার্বত্য জেলা চট্টগ্রাম, হাওর, উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চল এলাকায় ৪২০ নতুন বিটিএস সাইট (টাওয়ার) স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রস্তাবিত 'ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিটকের ৪জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার বিটিএস সাইট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসকল প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে টেলিটকের মোট বিটিএস সাইট (টাওয়ার) সংখ্যা ১১ হাজারে উন্নীত হবে। ফলে, সারাদেশে টেলিটকের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার উন্নতি হবে এবং ৪জি নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান সক্ষমতা অর্জিত হবে।

;

বিদেশ পাঠানোর নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত জীবন যাপনের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটা কালমেঘা ইউনিয়নের জলিল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ১২টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সংবাদম্মেলন করেছেন জলিলের প্রতারনার শিকার হয়ে সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য মুক্তি পেয়ে ফিরে আসা মিজানুর রহমানসহ ৬টি আসহায় পরিবার।

অসহায় এসব মানুষ জলিল চৌধুরীর কাছে অর্থ ফেরত চাইতে গেলে হুমকি দিচ্ছেন জানিয়ে এসময় কান্নায় ভেঙে পরেন তারা।

পাথরঘাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম, মিজানুর রহমান, শাহিনুর বেগম, আব্দুল কাদের ও আবুল হোসেন মাস্টার। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে প্রতারক জলিল চৌধুরীর মিষ্টি কথায় ভুলে তার হাতে তুলে দেন ধার করে আনা এবং ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন নেয়া টাকা।

এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে তারা জানান, মিজানুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মামুন মিয়া, মো. সুমন, ইমরান ও ফোরকানকে বিদেশে পাঠানো হয় পাথরঘাটা পৌরসভার বাসিন্দা আ. জলিল চৌধুরীর মাধ্যমে। কিন্তু অঙ্গীকার অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ না দেয়ায় সৌদিতে কষ্টে দিন যাপন করছে। ঠিক মতো খেতেও পারছে না। ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন এবং জমি বিক্রি করে টাকা দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশে টাকা পাঠানো দূরে থাক ওখানে নিজেরাই খেতে পারছে না। সন্তানদের ফেরত পেতে চান তারা।

সৌদি আরবের কারাগার থেকে সদ্য দেশে আসা মিজানুর রহমান বলেন, অঙ্গীকার অনুযায়ী বিদেশে যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হলে ইকামা না দেয়ার কারনে ওই দেশের পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে জলিলকে জানালে তিনি উল্টো তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।

ফোরকানের বাবা আ. কাদের বলেন, আমি ও ছেলে রিকশা চালাতাম অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাই। আজ বাবায় বড় কষ্টে আছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আ. জলিল চৌধুরী বিদেশ নোয়ার কথা স্বীকার করলেও তাদের মানবেতর জীবন জাপনের কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারের নিয়ম মেনেই তাদের বিদেশে পাঠিয়েছি। শর্ত অনুযায়ী তাদের ভিসা এবং কাজ দিয়েছি। কাজ না করে যদি দেশে চলে আসে এর দায়ভার তো আর আমি নিব না। ইকামা না দেয়ায় তাদেরকে পুলিশ জেলে পাঠাচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

;

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র করার দাবিতে সংহতি সমাবেশ ও মানব পতাকা প্রদর্শন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের উদ্যাগে এ সমাবেশ করা হয়েছে।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা গাজায় যুদ্ধ বিরতি চাচ্ছি। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আমরা এই সমাবেশ থেকে তিনটা দাবি জানাচ্ছি।

সেগুলো হলো- গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে পৃথিবীব্যাপী আমেরিকাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে এবং তাদের উপর সে দেশের সরকার যে নিপীড়ন করছে সেটা বন্ধ করতে হবে। আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ
ইসরাইলকে সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে সেটা বন্ধ করতে হবে।

সমাবেশে লেখক ও গবেষক এবং শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করতে করতে তাদেরকে আজ জাতিগত উচ্ছেদ এবং জাতিগত নির্মূলের জায়গায় নিয়ে গেছে। আজকে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধ চলছে সেটি জাতিগত নির্মূলের একটা আকাঙ্ক্ষা; সেটা পৃথিবীর মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে। ফিলিস্তিনের উপরে যে নির্যাতন করা হচ্ছে, জাতিগত উচ্ছেদ আয়োজন চলছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সবাইকে একত্র হয়ে ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করতে হবে। আমরা বিশ্ব বাসীর কাছে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। বাংলাদেশ যদি একটা জাতীয় ঐক্য থাকতো তাহলে আমরা ফিলিস্তিন প্রশ্নে আরো অনেক বড় জোরালো ভূমিকা রাখতে পারতাম। আশা করি সেরকম বাংলাদেশ অচিরেই নির্মিত হবে এবং এতে আমাদের তরুণ সমাধান নেতৃত্ব দিতে পারবে।

;

ভবিষ্যত অর্থনীতিকে চাঙা করার পরিকল্পনা জানালেন অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশও পথ হারিয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। মন্ত্রী জানান, অর্থনীতির এই প্রভাব পড়েছে দেশের রিজার্ভ খাতেও। দেশের ৫০ বিলিয়নের রিজার্ভ কমে বর্তমানে ২০ বিলিয়নে ঠেকেছে। তবে রেমিটেন্সসহ রপ্তানি আয়ে দেশের অর্থনীতি বর্তমানে স্থিতিশীল আছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আসছে বাজেটে বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক ঘোষণা করা হবে জানিয়ে সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনীতিকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে সরকারের বাজেটের আকার ছিল ৬৪ হাজার কোটি টাকা যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরেও বিনিয়োগ, উৎপাদনমুখী ও প্রবৃদ্ধি সহায়ক বাজেট ঘোষণা করা হবে।

আট খাতকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা বাস্তবান করা হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশেষ করে, ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো খাতসমূহ। যেমন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, বন্দর উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আইসিটি খাতকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবে। বিগত ১৫ বছরে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বিবিএস এর হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বিনিয়োগ জিডিপি'র ৩৩.১৫ শতাংশ হয়েছে, যার মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৬.২০ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল ও চাঙা করার অন্যতম উপায় হলো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ। সরকার ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিও অব্যাহত রেখেছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি'র মোট বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা যা ৯.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি।

সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এফডিআই বৃদ্ধির মাধ্যমে বৃহৎ শিল্প কারখানা স্থাপন ও এ খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানগুলো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেজা দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সকল সেবা সময়াবদ্ধ ও স্বচ্ছ উপায়ে এবং একটি ডিজিটাল ইন্টার-অপারেবল প্ল্যাটফর্ম থেকে দেওয়ার লক্ষ্যে বিডা অনলাইনভিত্তিক ওয়ান স্টপ সার্ভিস পোর্টালের কার্যক্রম চালু করেছে। উক্ত পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রায় ১৫০টিরও বেশি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বর্তমানে বিডাসহ ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের ১১৫টি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী কর্মজগৎ তৈরি করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আইটি ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার শিল্প, বিপিও, ই-কমার্স, রাইড শেয়ারিং, ফিনটেক, এডুটেক, ইন্টারনেট সার্ভিস খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামের অদূরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর' এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ডাটাবেজের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যতের শ্রম বাজারের চাহিদা অনুসারে কর্মপ্রত্যাশী ও কর্মসংস্থানকারীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হবে এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব মহিলাদের ক্ষুদ্রঋণ-ভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান কার্যক্রমের চলমান ধারা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া, বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১০৯টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রির জনবলের চাহিদা বিবেচনা করে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০ হাজার ৬৮০ জন এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৭ হাজার ৮০০ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫১টির অধিক স্টার্টআপকে ১ বছর মেয়াদি ইনকিউবেশন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, শ্রমবাজার সম্প্রসারণ, নিরাপদ অভিবাসন, অভিবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আইনি কাঠামো যুগোপযোগীকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে কার্যকর অংশগ্রহণ ও দেশের বর্ধিত শিল্প ও সেবাখাতের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমবাজারের চাহিদাভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে বর্ধিত ব্যয় লাঘব করা এবং বৈধপথে অর্থ প্রেরণ উৎসাহিত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থের ওপর ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছিল, যা বিগত ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে বর্ধিত করে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।

তিনি জানান, রাজস্ব আয়ে গতি আনার লক্ষ্যে কর নীতি এবং রাজস্ব প্রশাসনে যুগপৎ সংস্কার সাধন করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ জিডিপি’র শতাংশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পর্যায় থেকে ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণের পাশাপাশি সরকারি ঋণের ব্যয় হ্রাস এবং সার্বিকভাবে ঋণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত মোট ঋণের এক চতুর্থাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

;