অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম, বার্তা২৪.কম।
টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪

টাকা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবাররা। একসঙ্গে অতিশীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের টাকা পরিশোধের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে নগরীর হালিশহর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির থেকে এ দাবি উপস্থাপন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, চট্টগ্রামসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে তারা জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসককে অধিগ্রহণ করা ৬৭ একর জমির টাকা প্রদান করলেও এখন তাদের মাঝে অর্থ প্রদান করা হয়নি। উল্টো জমি অধিগ্রহণ শাখার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একটি সিন্ডিকেট মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছে। এ সময় অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অর্থ প্রদানের আহ্বান জানান তারা।

জানা যায়, বে-টার্মিনালের জমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং খাস জমি অধিগ্রহণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের জন্য ৮৮৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে অধিগ্রহণকৃত ব্যক্তি মালীকানাধীন জমির অধিগ্রহণে বিষয়ে অর্থ না পাওয়ার কথা জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।

   

পতেঙ্গাকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বানানোর উদ্যোগ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বানানোর উদ্যোগ!

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বানানোর উদ্যোগ!

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সাবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১৬টি সিদ্ধান্তও হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নগরীর পতেঙ্গা ও আনোয়ারার পারকিসহ জেলার সকল সমুদ্র সৈকতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, পর্যটন উন্নয়ন ও সংশ্লিষ্ট কার্যাবলী সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। একইসঙ্গে সমুদ্র সৈকতগুলোর নিরাপত্তা, শৃংখলা পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাদির ব্যবস্থা, অবকাঠামো নির্মাণ, সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনার জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে গড়ে তোলার বিষয়ে কমিটির সদস্যরা মতামত দেন।


১৬ সিদ্ধান্ত

আলোচনা সভা শেষে ১৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেগুলো হলো বিচ সংশ্লিষ্ট এলাকায় পর্যটকদের সুবিধাজনক অবকাঠামো নির্মাণ করা, বিচ এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, স্থায়ী/অস্থায়ী অফিস স্থাপন, সমুদ্র সৈকতের জন্য মহাপরিকল্পনা তৈরি, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত সৈকতের দোকানসমূহ সুশৃংখল ও পুনর্বাসন করা, সৈকত এলাকায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য পোশাকধারী সেবক নিয়োগ, গাড়ি পার্কিং, সেবা গুলোকে জোন ভিত্তিতে ভাগ করা, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের আদলে সাজানো, বিচের গেজেটভুক্ত এলাকা চিহ্নিত করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও অবৈধ দখলদারদের পুনর্বাসন করে উচ্ছেদ করা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা নেওয়া, পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুবিধাদির ব্যবস্থাসহ সৈকতের সার্বিক উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনাসহ বিদেশী পর্যটকদের জন্য সৈকতে এক্সক্লুসিভ জোন নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, পর্যাপ্ত টয়লেট, শৌচাগার, চেঞ্জিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, বি এলাকায় ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, সাময়িক পরিচয়পত্র প্রদান, সেবা মূল্য নির্ধারণ ও সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা, সৈকত এলাকায় খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বাজার মূল্যের সঙ্গে মিল রেখে বিক্রয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নের বিষয়ে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। সৈকত এলাকায় পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ট্যুরিষ্ট পুলিশের শেড/অফিস নির্মাণের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে।

সভায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ, সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক ইমন, সিএমপির কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আসিফ মাহমুদ গালিব, জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মনীষ দাশ, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েদ, দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, চ্যানেল আইর ব্যুরো চিফ চৌধুরী ফরিদ, হোটেল সৈকতের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অনুপম দাশ, সিডিএর স্থপতি মো. গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, চট্টগ্রাম ট্যুরিস্ট গ্যাংয়ের সিইও সাকিব নাবিল, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা দীপক কুমার সরকার প্রমুখ।

;

ভূমি সেবায় মানুষের দুর্ভোগ দূর করায় পুরস্কার পেলেন এসিল্যান্ড আলাউদ্দিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা ভূমি অফিস মানেই যেন দুর্ভোগ আর ভোগান্তি, দিনের পর দিন সেবা পেতে অপেক্ষা। বোয়ালখালী উপজেলা ভূমি অফিসও তার বাইরে ছিল না। একটা সময় এখানে নথি গায়েবের ঘটনা ঘটতো। সেই নথি খুঁজে পেতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ার দশা হতো মানুষদের।

কিন্তু উপজেলায় সহকারী কমিশনার-ভূমি (এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদান করেই সেই চিত্র বদলে দেন মো. আলাউদ্দিন। নথি যেন সহজে খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য তিনি উদ্যোগ নিয়ে গড়ে তোলেন বোয়ালখালীতে ‘ডিজিটাল রেকর্ড রুম’। এর আওতায় উপজেলার সব বিএস এবং আরএস মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ করা হয়। সেই মৌজা ম্যাপের সঙ্গে ভূমি সংক্রান্ত রেকর্ডগুলো সংযুক্ত করে একটি স্মার্ট ভূমি ম্যাপও প্রস্তুত করেন। এই স্মার্ট ভূমি ম্যাপের মাধ্যমে অফিসে বসেই জমির অবস্থান, অবস্থা, পরিমাণসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে। এতে একদিকে মানুষের হয়রানি দূর হয়েছে অন্যদিকে সময় ও অর্থের অপচয়ও কমেছে। বোয়ালখালী উপজেলা থেকে বিদায় নিয়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে যোগ দেন আলাউদ্দিন। এরপর সেখানেও একইভাবে সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেন।

মো. আলাউদ্দিনের জনগণের দুর্ভোগ ও হয়রানি কমিয়ে দেওয়ার সেই প্রচেষ্টা এবার হলো পুরস্কৃত। শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন এই এসিল্যান্ড। প্রযুক্তির প্রসার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক সেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট ভুমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা ও ইনোভেশন প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আলাউদ্দিনকে 'শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগ পুরস্কার ২০২৪' তুলে দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়রাম্যান (সচিব) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল।

প্রতি বিভাগ থেকে দুই জন করে আট বিভাগের ১৬ জন সহকারী কমিশনার-ভূমি তাদের নিজ নিজ উপজেলায় নেওয়া উদ্ভাবনী উদ্যোগ উপস্থাপন করেন। সেখানে তিন জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার ভুমি আলাউদ্দিনের উদ্যোগটি সবার সেরা হয়েছে।

মো. আলাউদ্দিনের পুরস্কারে দারুণ উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন। এটি আমাদের জন্য গর্বের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইডিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা হাতে নিয়ে পুরস্কৃত হওয়া মো. আলাউদ্দিন বলেছেন, ‘সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চেষ্টা করেছি কীভাবে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাপ্রার্থীদের সহজে সেবা দেওয়া যায়। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বোয়ালখালী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করি। ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক আমার উদ্যোগটি শ্রেষ্ঠ উদ্যোগ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।’

এসময় এসিল্যান্ড যারা তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা আমার সব কাজে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন। ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য ভালো কিছু করে যেতে চাই।’

;

লামায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে মো. ওসমান (৪০) নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড হাছনাপাড়া এলাকার নেইচ্চার ঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নিহত মো. ওসমান (৪০) একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে ওসমানের পরিবারের সঙ্গে কবিরের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এনিয়ে দুপুরে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের নিকটস্থ লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ওসমানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস জানান, তাদের মধ্যে ২০ শতক জমি ও ১০-১২টি গাছ নিয়ে বিরোধের বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসা প্রক্রিয়া চলমান ছিলো। তবুও উভয় পরিবারের মধ্যে বিবাদের পরিস্থিতিতে আজ সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান নামে একজনের মৃত্যু হয়।

লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম শেখ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে তিনি ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে অবস্থান করছেন, মামলা হওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এখনও কাউকে আটক হয়নি তবে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের মতো সিলেটেও গত কয়েক দিনের চলছে তাপপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত ৩ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা বিকেল ৪টায় ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা।আর সন্ধ্যা ৬টায় ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা চলতি বছরে শুধু সিলেটে সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.সজীব হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টায় সিলেটে রেকর্ডকৃত তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে বিকেল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তীব্র গরমে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় মো.শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক শেয়ার বাজারের ব্যবসায়ী মাথা ঘুরে পড়ে মারা যান। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার নয়া গ্রামের আবু আহমেদের ছেলে।

এ ব্যাপারে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী বলেন, আমরা খবর পেয়ে সিটি সেন্টারে গিয়ে ওই যুবককে পাইনি। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও তথ্য পাইনি।

শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই যুবককে আমাদের এখানে মৃত অবস্থায় নিয়ে এসেছেন পরিবারের লোকেরা। পরিবারের সদস্যরা আমাদের শুধু বলেছেন, মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন।

এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা.সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাঁটা অবস্থায় কেউ পড়ে মারা গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলা যাবে না। ওই লোক মাথা ঘুরে পড়ে মারা গেছেন।

;