রমজানের প্রথম সপ্তাহেই চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে ঈদের বেচাকেনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের প্রথম সপ্তাহেই চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। প্রথম দুটি রোজায় ক্রেতাদের দেখা না মিললেও তৃতীয় রোজা থেকে জমে উঠতে শুরু করেছে পোশাকের দোকানগুলো। ঈদের আগে ব্যস্ততা বাড়ার আশঙ্কা ও সবার আগে পছন্দের পোশাকটি কিনতে ক্রেতারা এক বিপনিবিতান থেকে আরেক বিপনিবিতানে ছুটছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার একটি মাস সারা বছরের সবথেকে বেশি বেচাবিক্রি হয়, যে কারণে রোজার আগেই ঈদের জন্য দোকানে নতুন নতুন পোশাক সাজিয়েছেন তাঁরা।

রোববার (১৭ মার্চ) সরেজমিনে শহরের বড় বাজার পুরাতন গলি, নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা, আব্দুল্লাহ সিটি, মুন সুপার মার্কেটসহ বেশকিছু শো-রুম ঘুরে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের বেচাকিনিতে ব্যস্ততা চোখে পড়ে।

বড় বাজার পুরাতন গলির ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ বলেন, প্রথম রোজা থেকেই পুরাতন গলির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হলেও গত শুক্রবার থেকে ভিড় বাড়ছে। সারাদিনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং ইফতারের পরে ক্রেতারা বেশি আসছেন। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর গরমে হওয়ায় চাহিদা থাকবে সুতি পোশাকের। ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে আমরাও সুতি পোশাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এই বিক্রেতা আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১০ রোজা থেকে গলির সব দোকানে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়ে যাবে।

এই বাজারের ঈদের পোশাক ক্রেতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা খাতুন বলেন, ‘মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা যেমনই হোক না কেন, ঈদ উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবাই নতুন পোশাক কিনবেই। তবে এ বছর বিভিন্ন পোশাকের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। যার কারণে আমি একটু সস্তা দামের জিনিসপত্র কেনাকাটা করছি।’

এদিকে কথা হয় শহরের আব্দুল্লাহ সিটিতে আসা মাসুদ রানা নামের অপর একজন ক্রেতার সঙ্গে। ঈদের পোশাক কিনছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছুটি থাকায় ঈদের বাজার ঘুরতে এসে নিজের জন্য একটি জিন্স ও একটি শার্ট কিনেছি। আমার বাড়ি খুলনাতে, তবে কর্মসূত্রে চুয়াডাঙ্গাতে বসবাস করায় দুই বছরে এখানে কেনাকাটা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। পরিবারের অন্য সদস্যদের কেনাকাটা খুলনা থেকেই হবে। শুধু ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার আগে মায়ের জন্য একটি শাড়ি কিনব। ঈদের এখনও ২৪ দিন বাকি থাকলেও দেখছি অনেক ক্রেতায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে পুরুষের তুলনায় এই মার্কেটে নারী ক্রেতার আগমনই বেশি।’

শহরের নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মনোয়ারা বেগম বলেন, ঈদ এলে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে বাড়িতে কাজের ব্যস্ততা। তাই আগেভাগেই ঘর গোছাতে বিছানার চাদরসহ বেশিকিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। নিজের বা পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনবেন কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের পোশাক নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যাথা নেই। ছেলে-মেয়ে বড় হয়েছে, তারা নিজেদের পোশাক নিজেরাই পছন্দ করে কেনে। আমি দুটো বিছানার চাদর কিনেছি, গত বছরের থেকে দাম কিছুটা বেশি।’

দাম বেশির বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে মালামাল কিনতে গত বছরের তুলনায় এ বছর সব পোশাকের জন্য দাম বেশি ধরা হয়েছে।

এদিকে, ভিন্ন চিত্র চোখে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারের দোকানগুলোতে। এই বাজারে ক্রেতাদের কমবেশি আগমন ঘটলেও, কিছুটা অলস বসে থাকতে দেখা যায় দোকানীদের। শার্ট, জিন্স ও পাঞ্জাবি বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, রোজার প্রথম দিকে এই মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা বড় বাজারের তুলনায় কম থাকে। এসময় বেচাবিক্রিও কম হয়। তিনি আরও বলেন, ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসবে রেলবাজারের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়বে। তবে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণাধীন থাকায় পুরো রেলবাজার এলাকায় ধুলোর সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে গত বছরের তুলনায় বেচাকেনা কিছুটা কম হতে পারে এমন আশঙ্কা করছি।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;