মহেশখালীর পাম্পিং স্টেশন থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) ৪০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল নিরাপদে পরিবহন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ লালিত এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্পের কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. লোকমান এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, আশা করছি এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্প সাশ্রয়ী ও লাভজনক হবে।
এসপিএম প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের নভেম্বরে। গত বছরের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
এসপিএম প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপরেশনে যাওয়ার ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বিনিয়োগ উঠে আসবে। এরপর পুরোটাই মুনাফায় থাকবে বলে জানিয়েছেন ইআরএল এমডি।
মহেষখালীর দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে থাকছে প্রধান কেন্দ্র। সেখান থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরত্বে থাকছে রিজার্ভার ট্যাংক। এই ১৭ কিলোমিটার থাকছে ৩৬ ইঞ্চি ব্যসের পাইপ। গভীর সমুদ্রে মাদার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড অয়েল সরাসরি পাইপের মাধ্যে রির্জাভারে আসবে। এই রির্জাভারের ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই লাখ মেট্রিক টন।
স্টোরেজ ট্যাংকার থেকে ইআরএল পর্যন্ত অবসোরে ৬৩ কিলোমিটার এবং অনসোরে ৩০ কিলোমিটার মোট ৯৩ কিলোমিটার ডাবল পাইপ লাইন। এর একটি হচ্ছে ১৮ ইঞ্চি ডায়া অপরটি থাকছে ১০ ইঞ্চি ডায়া।
ইআরএল এমডি জানান, বাংলাদেশ মারবান ও অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রড আমদানি করছে। একটি পাইপ লাইন দিয়ে মারবান ক্রড(কালচে রঙয়ের), অপর দিয়ে তুলনামুলক উজ্জল অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড সঞ্চালণ করা হবে।
যা এখন গভীর সমুদ্রে মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজের মাধ্যমে কর্ণফূলী নদীতে অবস্থিত ইষ্টার্ণ রিফাইনারীরতে জেটিতে আনা হচ্ছে। সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইআরএল’র স্টোরেজে নেওয়া হয়।
এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাবিধ কারণে মাদার ভ্যাসেল থেকে ক্রুড আনলোড করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ কারণে মোটা অংকের লোকসান দিতে হয় বিপিসিকে। এসপিএম নির্মাণ হলে অনিশ্চয়তা দূর হয়ে সক্ষমতা বাড়বে ইআরএল’র। বছরে সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টন অর্থাৎ সাড়ে ৫৫ লাখ টন ক্রুড অয়েল হ্যান্ডেলিং করতে পারবে রাষ্ট্রীয় মালিকার প্রতিষ্ঠানটি।