সংগ্রামী নারী বিথী সেনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বিথী সেন

বিথী সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিথী সেন। ৪০তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। বর্তমানে ফরিদপুরের বোয়ালমারি সরকারি কলেজে দর্শন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু বিথী সেনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পিছনের গল্পটা অন্যরকম। কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়েছে বিথী সেন। বিথী সেনের চলার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছেন তিনি। জীবন সংগ্রামের যুদ্ধে আজ বিথী সেন একজন সফল নারী।

বিথী সেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল গ্রামের মনোরঞ্জন সেন ও নাগরি সেনের মেয়ে। তার বাবা খেটে খাওয়া একজন দিনমজুর। আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বিথী সেন সবার বড়। পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ জোগাড় করতে যেখানে দরিদ্র বাবার ঘাম ছুঁটে যায় সেখানে সন্তানদের লেখাপড়ার করানোটা তাদের কাছে বিলাসিতা ছিল।

কিন্তু অদম্য ইচ্ছা আর সৃষ্টিকর্তার রহমতে বিভিন্ন লোকের সাহায্যে নিয়ে লেখাপড়া করা বিথী সেন আজ জীবনের সফল একজন নারী। ২০২৩ সালে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত জয়িতা পুরস্কার হিসেবে বিথী সেন শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তার এই সফলতা ও পুরস্কার অর্জনে পুরো পরিবার গর্বিত।

নিজের জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম আর সফলতার গল্প শোনান বিথী সেন। তিনি জানান, তার বাবা একজন দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাদের লেখাপড়া ও খাবারের জোগান দিতেন। এমনও দিন গেছে তাদের ঘরে কোন খাবার ছিলনা। মা অন্যের বাড়ি থেকে যে খাবার পেতেন সেই খাবারই তারা ভাগ করে খেতেন। তার বাবা-মা দুজনই অক্ষর জ্ঞানহীন। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষ। তবুও তার মা-বাবার চাওয়া ছিল ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার। তারই ফলশ্রুতিতে শত কষ্ট আর বাঁধা উপেক্ষা করে আজ তার এ পর্যন্ত আসা।

সন্তান কোলে মায়ের সঙ্গে বিথী সেন

বিথী সেন ২০০৬ সালে জঙ্গল সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৮ সালে মাগুরা আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি ও যশোর এমএম কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিথী সেন তার গল্প শোনাতে গিয়ে জানান, আত্মীয় স্বজন, শিক্ষক ও সহপাঠিদের সহযোগিতায় কোন রকম দিন পার করেছে সে। কখনও স্বজনদের টাকা কখনও নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে লেখাপড়া ও নিজের খরচ চালিয়েছে সে। স্বজনরাও মাঝে মাঝে টাকা দিতে গড়িমসি করতো। কিন্তু কখনও হাল ছাড়েননি সে। হতাশ হয়ে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে আসত তার বাবা-মার জীর্ণশীর্ণ দেহ ও শুকনো মলিন মুখখানা। তখনই আবার নতুন উদ্দামে পথচলা শুরু করতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাড়ির সকল সদস্যদের পুরাতন কাপড় কিনে ব্যবহার করেছেন সে। নতুন পোশাক বলতে সে স্কুল ড্রেসকেই বুঝত।

সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে বিথী সেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার কষ্টের কথা জানতে পেরে মাগুরা আদর্শ কলেজের তখনকার অধ্যক্ষ তাকে নতুন একসেট বই কিনে দেন এবং কলেজের বেতন মওকুফ করে দেন। এরপর থেকেই তার শিক্ষা জীবনের চলার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এখান থেকে এইচএসসি পাস করার পর সে ভর্তি হন যশোর মাইকেল মদুসূদন মহাবিদ্যালয়ে।

টাকার অভাবে বাইর থাকার সামর্থ না থাকায় একবুক আশা নিয়ে ওঠেন পিসাতো বোনের বাসায়। কিন্তু তার পিসাতো বোন চাকরি করায় তাদের বাসার সকল কাজ ও বাচ্চাকে দেখাশুনা করতে হত তাকে। ফলে সে নিয়মিত ক্লাস করতে পারত না। তাকে কাজের লোক হিসেবে রেখেছিল। নিয়মিত ক্লাস করতে না পারায় তার প্রথম বর্ষের ফলাফর খারাপ হয়। পিসাতো বোনের কথা অমান্য করে সে দ্বিতীয় বর্ষে নিয়মিত ক্লাস করতে থাকে। বাসার কাজ করতে না পারায় পিসাতো বোন তাকে বাসা থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর সে তার এক বান্ধবীর সহযোগিতা নিয়ে হোস্টেলে ওঠেন এবং টিউশনি করতে থাকেন। এভাবেই চলতে থাকে তার লেখাপড়া।

লেখাপড়া শেষে বিথী সেন নেমে পড়েন কর্মসংস্থানের। যেখানেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখেন সেখানেই আবেদন করতে থাকেন। ২০১৯ সালে তার প্রথম চাকরি হয় সহকারী স্টেশন মাস্টার হিসেবে। কিন্তু বিথী সেনের স্বপ্ন ক্যাডার হওয়ার। স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন বিসিএস এর জন্য। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন ধরা দেয় ৪০তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে। ২০২২ সালে ফরিদপুরের বোয়ালমারি সরকারি কলেজে সে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এখনও সেখানেই কর্মরত রয়েছেন।

২০২২ সালে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী একজন ব্যাংকার। তাদের ঘবে এক বছর বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার উপার্জিত টাকা দিয়ে সে তার বাবা-মা ও ভাইবোনকে সহযোগিতা করেন।

বিথী তার জীবনের গল্প শোনাতে গিয়ে সমাজের অবহেলিত দরিদ্র ও অসহায় নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন বাধায় থেমে যাওয়া উচিত নয়। ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি চান- তাকে দেখে সমাজের অন্য নারীরা যেন অনুপ্রাণিত হন, নারীরা যেন নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে পারেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেই সমাজ থেকে নারীর ওপর সকল নির্যাতন ও অবহেলা বন্ধ হবে।

জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিথী সেন একজন সংগ্রামী সফল নারী। সে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তার পরিবার এখন অনেক সুখে আছে। তার ভাই কুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা শেষ করেছেন। গ্রামের সবাই এখন তাকে অনুসরণ করে।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বার্তা২৪.কমকে জানান, তার দফতর থেকে বিথী সেনকে সংগ্রামী সফল নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিথী সেনের জীবনের গল্প যদি সবাই জানতে পারে তাহলে দেশের হাজারো অবহেলিত অসহায় নারী জেগে ওঠতে পারবে, হতে পারবে স্বাবলম্বী।

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ মানের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ বিশ্বের বেশ কিছু শহর দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে। তবে সম্প্রতি ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি হয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) শহরটির বাতাসে দূষণ মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একিউআই স্কোর ৫৫ নিয়ে ৫৮তম স্থানে রয়েছে ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচিত। আগের দিন শুক্রবার (২৬ জুলাই) একিউআই স্কোর ৪৪ নিয়ে ৭৩তম অবস্থানে ছিল শহরটি, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর, ১৫৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর মেদান, ১৪৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে চিলির শহর সান্তিয়াগো এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ১৩৭।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

;

অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থনীতিকে পঙ্গু করতেই ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২৭ জুলাই) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে আহতদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে তাদের বিচার দেশবাসীর কাছে চাই।

এ সময় তিনি আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

নিটর পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী শামীম উজ্জামান আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। শেখ হাসিনা আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আহতদের অবস্থা দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং চোখের পানি ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সহিংসতায় আহতদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। আহতদের সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন।

তার আগে ওই দিন রাজধানীর রামপুরায় নাশকতাকারীদের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।

;

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিহত

মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চোখতোলায় শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গরু বহনের একটি যানের ধাক্কায় বুড়ি খাতুন (৫৫) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল নয়টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বুড়ি খাতুন গাংনী উপজেলা কাষ্টদহ গ্রামের মোতলেব হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, বুড়ি খাতুন ঘটনার সময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় বামন্দী থেকে গাংনীগামী একটি (লাটা হাম্বার স্থানীয় নাম) শ্যালো ইঞ্জিন চালিত গরু বহনের অবৈধ যান তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত আঘাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ওই অবৈধ যানটি আটক করে। তবে পালিয়ে যায় এর চালক।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ও দুর্ঘনার জন্য দায়ী যানটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই যানের চালককে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুড়ি খাতুন দীর্ঘদিন থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত।

;

সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। 

সজীব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র। তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্ম গ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এ দু’জনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নৈপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করছেন পরিশ্রমী, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন জীবন-জীবিকার অধিকারী কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন জয়। পরে মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান তিনি। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে ভারতে। সেখানকার নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে লেখাপড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করেন তিনি। পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালের ২৬ অক্টোবর ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

লেখাপড়া করা অবস্থায় রাজনীতির প্রতি অনুরক্ত থাকলেও জয় সক্রিয় রাজনীতিতে নাম লেখান ২০১০ সালে। ঐ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়া হয় তাকে, যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্বে আছেন জয়। ২০০৭ সালে জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক গ্লোবাল লিডার অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে নির্বাচিত হন।

তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি নিয়ে আসেন। পর্দার অন্তরালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে গোটা দেশে তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটান এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে দলীয় ঘরানা ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন জয়।

বিশেষ করে দেশের তরুণদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আত্মনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে বেশিরভাগ সময়েই দেশের বাইরে অবস্থান করলেও সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে ফেসবুকে মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। ইতিমধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি হিসেবে তার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষাগত যোগ্যতা আর পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতা এই দু’য়ের মিশেলেই দেশের আইসিটি খাতের এমন তড়িৎ উন্নতিতে সফল নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের পাশাপাশি চর বা পার্বত্য অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

;