নিরাপদ নয় রাজশাহীর মার্কেট-সুপারমল, অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন



আব্দুল হাকিম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর মার্কেট ও সুপারমলগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। বহু মার্কেট ও শপিং মলে পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ক্রেতা ও দোকানিরা সবসময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানই অগ্নি নিরাপত্তা বিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীন বা অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, যা বৃহত্তর ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

রাজশাহী শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত মার্কেট ও সুপারমলগুলো অনেক ক্ষেত্রেই নিরাপদ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অভাবে চিহ্নিত হয়েছে। জরুরি নির্গমন পথ, অগ্নি নির্বাপক, ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র এবং জলের স্প্রিংকলার সিস্টেমের মতো প্রাথমিক অগ্নি নিরাপত্তা উপাদানগুলোরও ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া, নিয়মিত অগ্নি নিরাপত্তা মহড়া এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ নাই বললেই চলে।

জানা গেছে, রাজশাহীর পাঁচটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বহন করতে করতেই দিন পার হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের বারবার সতর্কবাণীর পরেও, মার্কেটগুলোর ঝুঁকি মোচনে কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। ফায়ার সার্ভিস দ্বারা মার্কেটগুলোর সামনে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো হলেও, রাতারাতি তা খুলে ফেলা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতা হচ্ছে এই ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার মূল কারণ।


মার্কেট পাঁচটি হলো- নগরীর সাহেববাজারের আরডিএ মার্কেট, রাজশাহী নিউমার্কেট, হড়গ্রাম নিউমার্কেট, সোনাদীঘি এলাকার সমবায় মার্কেট এবং নগরীর সাহেববাজার কাপড়পট্টি। এর মধ্যে আরডিএ মার্কেট রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) অধীনে, সমবায় মার্কেট সমবায় বিভাগের, রাজশাহী নিউমার্কেট ও হড়গ্রাম নিউমার্কেট রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এবং কাপড়পট্টি সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকানপাট নিয়ে গড়ে উঠেছে।

রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেট ও সুপার মল ঘুরে দেখা গেছে, বহু মার্কেটে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ অমান্য করা হচ্ছে। মার্কেট ও সুপারমলগুলোর অধিকাংশের মধ্যে অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেই এবং অগ্নি সতর্কতা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে, স্থানীয় প্রশাসন ও অগ্নি নিরাপত্তা বিভাগের উচ্চতর মনোযোগ এবং কঠোর পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজন। নিরাপদে কেনাকাটা ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য এই মার্কেট ও সুপারমলগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি এবং নিয়মিত মনিটরিং জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।


সচেতন নাগরিকরা বলেন, নিরাপদে কেনাকাটা এবং ব্যবসা পরিচালনার জন্য রাজশাহীর মার্কেট ও সুপারমলগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি সত্যিই অপরিহার্য। আমরা যখন কেনাকাটা করতে যাই, তখন আমাদের মনে একটি নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, এসব মার্কেট ও সুপারমলে জরুরি নির্গমন পথ অবরুদ্ধ বা অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদির অভাব থাকে। এমনকি অগ্নি সংক্রান্ত দুর্ঘটনা মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণের অভাবও প্রায়ই দেখা যায়।

রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান বলেন, আরডিএ নগর উন্নয়নে যারা কাজ করে, যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, তাদেরই নিজস্ব একটা মার্কেট আছে, তাদের নিজস্ব মার্কেটেই অগ্নি নির্বাপক কোনো ব্যবস্থা তারা রাখেনি। এছাড়া যে সমস্ত মার্কেট বা শপিং মলগুলো রয়েছে সে সমস্ত মার্কেটগুলোতেও খুব অল্প সংখ্যক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। আর যেখানে ফায়ার সার্ভিস বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো আইন বা নোটিশ মানেনি।


তিনি বলেন, বিশেষ করে রাজশাহী নিউ মার্কেটের পাশে একটি পুকুর ছিল, সেটিও ভূমি দস্যুরা খেয়ে নিয়েছে। সুতরাং আমি মনে করেছি রাজশাহীতে আর ডি মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ যে সমস্ত মার্কেটগুলো রয়েছে, সেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব মার্কেটগুলোতে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, ব্যবসায়ী সমাজ ও ক্রেতাদের মধ্যে অগ্নি নিরাপত্তা সচেতনতা বাড়ানো এবং নিরাপদ কেনাকাটার পরিবেশ নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে মনে করছেন জামাত খান।

সাহেব বাজার এলাকার সড়কটি সম্প্রসারণের সময় ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে ১৯৯০ সালে আরডিএ মার্কেটে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। তিন তলা এই মার্কেটে ১ হাজার ৯৫২টি দোকান রয়েছে। এই মার্কেটের তিন পাশেই সরু রাস্তা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো উপায় নেই। সামনে প্রশস্ত রাস্তা থাকলেও প্রধান ফটকের কারণে মার্কেটের ভেতরে গাড়ি ঢুকতে পারবে না। মার্কেটটিতে মুদি দোকান, কাপড়, কসমেটিক্স থেকে ক্রোকারিজ ও ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানও রয়েছে। ফলে মার্কেটটিতে অগ্নিকাণ্ডের চরম ঝুঁকি রয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি রাতে মার্কেটের প্রধান ফটক সংলগ্ন বাইরের অংশে একটি মুদি দোকানের দোতলার গুদামে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রধান সড়ক থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই আগুন খাঁচার মতো ঘিঞ্জি মূল মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং বহু মানুষের হতাহতের আশঙ্কা ছিল।

অগ্নিকাণ্ডের চরম ঝুঁকি থাকায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কয়েক বছর আগেই আরডিএ মার্কেট ভেঙে ফেলতে সুপারিশ করে। তবে মার্কেটটি এখনও ভাঙা হয়নি। এই মার্কেটে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কেনাকাটা করেন। ঈদের সময় মার্কেটের ভেতরে পা ফেলার জায়গা থাকে না। তাই ফায়ার সার্ভিস প্রতিবছরই ঈদের সময় ক্রেতাদের সতর্ক করে মার্কেটের সামনে ব্যানার টানিয়ে দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে গেলেই ওই ব্যানার গায়েব হয়ে যায়।

সর্বশেষ, গত ১৭ এপ্রিল আরডিএ মার্কেট, রাজশাহী নিউমার্কেট, হড়গ্রাম নিউমার্কেট, সমবায় মার্কেট এবং সাহেববাজার কাপড়পট্টি অগ্নিনিরাপত্তার দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অগ্নিনিরাপত্তার দিক দিয়ে এই মার্কেট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ এই দিনে, সকলকে সতর্ক করে মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক ওহিদুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর এই মার্কেটগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে অগ্নিনির্বাপণের জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। আমরা বারবার চিঠি দিয়েও মার্কেট কর্তৃপক্ষকে সচেতন করেছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আরডিএ মার্কেটের কাছে কোনো পুকুর নেই, যা অগ্নিকাণ্ডের সময় পানির অভাব সৃষ্টি করবে। এছাড়া, মার্কেটের সিঁড়িগুলোতে মালামাল রাখা হয়, যা আগুন লাগলে মানুষের নিরাপদে নেমে আসার পথে বাধা সৃষ্টি করবে। মার্কেটের ভেতরে বৈদ্যুতিক তারের অব্যবস্থাপনা রয়েছে, যা সহজেই দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এসব কারণে এই মার্কেটগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, আরডিএ একাধিকবার তাদের মার্কেট ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু ব্যবসায়ীদের অসহযোগিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মানতে চান না। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরাও একই অবস্থানে আছেন। আরডিএ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেছেন, মার্কেট ভাঙা হলে তাদের পুনর্বাসনের ঠিক নেই। নতুন মার্কেট নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের ব্যবসার অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা মূলত তাদের বিরোধিতার কারণ।

আরডিএ’র চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, মার্কেটের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি আমরা প্রায় ২০০টি ফায়ার এক্সট্রিংগুইসার দিয়েছি। পাশ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাদের সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ চলমান। মার্কেটটা ভাঙার পরিকল্পনা আছে। সেটা নিয়েও কাজ চলছে।

ফায়ার সার্ভিস কোন মাপকাঠিকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার বলেন, ফায়ার সার্ভিস কোন মাপকাঠিতে এবং কীভাবে এসব মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারব না। কিন্তু অনেক সময় ব্যবসায়ীরা এক ধরনের দোকান নিয়ে শুরু করে অন্য ধরনের ব্যবসা করেন। অবকাঠামোর আকারও পরিবর্তন করে ফেলেন। এমন পরিবর্তন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। হড়গ্রাম নিউমার্কেটে এ ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তারিত পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব নয়। তবে আমার মতে, রাজশাহী নিউমার্কেট খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয় না। এর তিন পাশে বড় বড় রাস্তা আছে এবং ভবনটি মাত্র দুই তলা বিশিষ্ট। এরপরও, এটিকে ভেঙে একটি অত্যাধুনিক মার্কেট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;