সিলেট জেলা পুলিশের এক সদস্যের প্রচেষ্টায় অল্পের জন্য বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতাল।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২নং গেইটের ১০ তলা ভবনের পাশে জেনারেটর রুমের পাশে ময়লার স্তূপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
জানা যায়, শনিবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার ভেতরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের ১০ তলা ভবনের জেনারেটর রুমের পাশে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এসময় লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ছুটে আসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ও সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য মো.জনি চৌধুরী। পরে তিনি বালতি দিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে আগুন দেখে লোকজন চিৎকার শুরু করলে পাশের একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা পুলিশ সদস্য জনি চৌধুরী ছুটে আসেন এবং আগুন নেভান। তাৎক্ষণিক তিনি না এলে অনেক বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। কারণ পাশেই ছিলো জেনারেটর রুম।
এ বিষয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ও সিলেট জেলা পুলিশের সদস্য জনি চৌধুরী বলেন, পাশের একটি টংয়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। আগুন লেগেছে বলে লোকজন চিৎকার শুনে তাৎক্ষণিক বালতি দিয়ে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা.মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। অগ্নিকাণ্ডের ভিডিওটি দেখে আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অনেকগুলো ঝাঁড়ু এক সঙ্গে ও কাগজপত্র রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যদি পাওয়া যায় কেউ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।