যে খুনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
যে খুনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়!

যে খুনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে শুধু একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে যেভাবে ফাঁদে ফেলে ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়াকে খুন করা হয়েছে তাতে বিস্মিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরাও। ওই কলেজছাত্রকে খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের পুরো রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই খুনের গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানিয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত চান্দগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘটনার পুরোটা তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে পঙ্কজ দত্ত জানান, নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আশহাদুল ইসলাম ইমন ও মো. তৌহিদুল আলম এক সময় অন্যজনের সহকারী হিসেবে বিভিন্ন বিয়ে অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কাজ করতেন। তাদের কাছে কোনো ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিল না। সেজন্য একটি ক্যামেরার শখ জাগে তাদের। বিষয়টি তারা এলাকার বড় ভাই মো. বাহারকে জানান। বাহারসহ মিলে এরপর ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ফন্দি আঁটেন। সেই পরিকল্পনায় তারা যুক্ত করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মো. আলমগীর ও মো. ইমতিয়াজ আলম মুরাদ নামে আরও দু’জনকে।

তিনি জানান, শুরুতে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ফটোগ্রাফিতে যুক্ত এমন বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে উচ্ছ্বাস বড়ুয়া নামের একটি ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে তারা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে একটি বিয়েতে ছবি তোলার বিষয়ে কথা বলেন। তবে ওই পেজ থেকে জানানো হয় তারা এখন ফটোগ্রাফি করেন না, সেখান থেকে জনি বড়ুয়া নামের এক ফটোগ্রাফারের মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। তবে জনি বড়ুয়ার অন্য কাজ থাকায় তিনি শাওন বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি করবেন কিনা জানান। শাওন রাজি হলে ইমন-তৌহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন জনি। এরই মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করতে মোবাইল আর্থিক লেনদেন সেবা-বিকাশে অগ্রিম ৫০০ টাকাও পাঠান ইমন-তৌহিদুল।


পুলিশ কর্মকর্তা পঙ্কজ দত্ত বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী ইমন ও তৌহিদুল সোমবার রাত ৮টা ২৫মিনিটের দিকে ফোন করে শাওনকে জানান তাকে ‘রিসিভ’ করতে মুরাদ নামের এক ছোট ভাই বাহির সিগন্যালের ব্যাপারী পাড়ার ভাঙা পুলের মাথায় অপেক্ষা করছেন। পরে শাওন মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই এলাকায় আসেন। এরপর মুরাদকে নিজের মোটরসাইকেলের পেছনে বসান শাওন। এসময় মুরাদ শাওনকে জানান বিয়ের অনুষ্ঠানটা অনন্যা আবাসিক এলাকা হয়ে যেতে হবে। সে অনুযায়ী শাওন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশাচালক আলমগীর গাড়িতে করে ইমন, তৌহিদুলকে নিয়ে তাদের পেছনে পেছনে যেতে থাকেন। তবে এক পর্যায়ে ফাঁদে পড়েছেন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শাওন দ্রুত গাড়ি চালিয়ে অনন্যা আবাসিকের দিকে চলে যান।

তিনি বলেন, ‘এক পর্যায়ে পকেট থেকে ছুরি বের করে মুরাদ বলে উঠেন, ‘কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান নেই, ভালোমতো ক্যামেরাসহ ব্যাগটা দিয়ে দাও।’ এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে গাড়ি থামিয়ে মুরাদকে নামিয়ে দিয়ে চলে যেতে চান। এর মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুরাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শাওন তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে চান। সুযোগ বুঝে মুরাদ শুরুতে শাওনের উঁরুতে ছুরিকাঘাত করেন। আহত অবস্থায় শাওন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে যেতে চাইলে মুরাদ মাটি থেকে উঠে শাওনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আরও ছয়টি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর বাহারকে ফোন করে শাওনকে মেরে ফেলার বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে শাওনের ক্যামেরাসহ ব্যাগটি নিয়ে মুরাদসহ দু’জনেই পালিয়ে যান। পরদিন মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ শাওনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। এরপরই ঘটনার কারণ বের করতে মাঠে নেমে পড়ে পুলিশের একটি দল।’

অভিযানে অংশ নেওয়া চান্দগাঁও থানার দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই) বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘হত্যার পর ক্যামেরা নিয়ে পালিয়ে গেলেও শাওনের মুঠোফোনটি নিয়ে যায়নি হত্যাকারীরা। সেই মুঠোফোনই খুনি ও পরিকল্পনাকারীদের খোঁজ পাওয়ার কাজটি সহজ করে দেয়। প্রথমে আমরা জনি বড়ুয়াকে হেফাজতে নিই। তার মাধ্যমে যে নম্বর থেকে বিকাশ করা হয় সেটি বের করি। পরে বিকাশের দোকানে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বের করে বিকাশে টাকা পাঠানো ইমন ও তৌহিদুলকে শনাক্ত করি। এরপর অভিযান চালিয়ে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করি।’ তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় জনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডকে ‘বিরলতম’ বলেও মনে করছেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তারা বলেন, ‘বহু সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ তৈরি হয়েছে হত্যার সত্য ঘটনা অবলম্বনে। আবার অনেক খুনের ঘটনা রয়েছে, যেগুলোর অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ। তবে শাওন বড়ুয়াকে হত্যার ঘটনায় হত্যাকারীরা কোনো সিনেমা বা ওয়েব থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন কিনা এখনো নিশ্চিত হইনি। তবে এটা ঠিক যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটি সিনেমাতেই বেশি দেখা যায়।’

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;