চট্টগ্রামে ৬ দফা দাবিতে উচ্ছেদকৃত হকারদের বিক্ষোভ



 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস সামনে রেখে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ না করা, মামলা প্রত্যাহার ও পরিচয়পত্র প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন নিউমার্কেট এলাকা থেকে উচ্ছেদকৃত হকাররা। 

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক হকার টাইগারপাস থেকে নিউমার্কেটমুখী সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

যদিও পরে পুলিশের মধ্যস্ততায় সড়ক ছেড়ে দুপুর ১টার দিকে পুলিশের একটি টিম ১০ হকার নেতাকে নগরের টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তারা মেয়রকে একটি স্মারণলিপি প্রদান করেন। এর কিছুক্ষণ পরই হকাররা সড়ক ছেড়ে অবরোধ তুলে নেন।

এদিকে ঘণ্টাখানেক অবরোধের ফলে টাইগারপাস নিউমার্কেট সড়কে যানজটে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এসময় অনেককে পায়ে হেঁটে বিকল্প সড়ক ধরে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।

হকারদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো-

মানবিক বিবেচনায় আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হকারদের পূর্বের ন্যায় নগরীর ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ প্রদান করতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের হঠকারী সিদ্ধান্তে হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে হকারদের বিরুদ্ধে গণহারে আসামি দিয়ে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

তৎকালীন মেয়র মহোদয়গণের নির্দেশক্রমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা জরিপকৃত হকার শ্রমিকদের রক্ষিত তালিকা পুনরায় হালনাগাদ করে রাজস্ব নির্ধারণ পূর্বক পরিচয়পত্র প্রদান এবং পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় বিকেলে ৩টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সরকারি ছুটির দিনে পুর্নদিবস ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

কর্মরত হকারদের ওপর এলাকাভিত্তিক স্থানীয় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও শারিরীক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দফতর নিবন্ধিত সংগঠনের সদস্য তথা হকার্স শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হকার্স শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২ বিবেচনায় নিয়ে 'হকার নীতিমালা' প্রণয়ন করতে হবে।

এবিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত বলেন, হকারদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অফিসে নেওয়া হয়। এরপর দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

হাকর সমিতির নুরুল ইসলাম লেদু বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবাদ সভাও মিছিল করেন। সেখান থেকে আমরা মেয়রের কাছে যায়। ৬ দফা দাবি জানিয়েছি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হকার আছে। আমাদের দেশে হয় নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নগরের নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হকাররা। সে সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হকার্স সমিতি, চট্টগ্রাম হকার্স লীগ, চট্টগ্রাম ফুটপাত হকার্স সমিতি, চট্টগ্রাম সিটি হকার্স লীগ এবং টেরিবাজার আমদরকিল্লা হকার্স সমিতির ব্যানারে জুবিলী রোডে বনফুল শো-রুমের সামনের মূল সড়কে অবস্থান নেন হকাররা।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;