খেজুরের মূল্যবৃদ্ধিতে একে অন্যকে দোষারোপ



মো. রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদিন রোজা পালন শেষে খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করতে চান রোজাদার। তাই প্রতি বছর রমজান মাস এলেই খেজুরের দাম বাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন অসৎ ব্যবসায়ীরা। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ অতিরিক্ত ডিউটি (শুল্ক) ফি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের অতি-মুনাফার লোভ। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বেশি দামে কিনতে হয় বলেই, বিক্রি বেশি দামে করতে হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাদামতলীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর। বাজারে সবচেয়ে কম দামে ১৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জিহাদি খেজুর। আর সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মেডজল; ১০০০-১৪০০ টাকা কেজি।

মেসার্স আল্লাহওয়ালা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার বিপ্লব জানান, বর্তমানে জিহাদি খেজুরের একটি বস্তা (৩৫-৩৬ কেজি) প্রতিকেজি ১৫৬ টাকা দরে ৫৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে একটু নিম্নমানের হলে তা ৪৪০০ থেকে ৪৮০০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে। মাসরুক জাতের খেজুর ৪৪০ টাকা দরে (৫ কেজির বক্স) ২২০০ টাকা। এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় মেডজল জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকা। পাঁচ কেজির একটি বক্স বিক্রি হচ্ছে ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকায়।

এর বাইরে জয়তুন গ্যালাক্সি ১৫৫ টাকা কেজি (৩০ কেজির বস্তা), বারনী ৩২০ টাকা করে (১০ কেজির বক্স) ৩২০০, দাবাস ক্রাউন ৪৬০ প্রতি কেজি (১০ কেজির বক্স ৪৬০০ টাকা), দাবাস নরমাল ৩৭০ টাকা করে (১০ কেজির বক্স) ৩৭০০ টাকা, মাবরুর জাতের খেজুর ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে (৫ কেজির বক্স) ৪৫০০-৪৮০০ টাকা, মাসরুর ৩২০ করে (৫ কেজির বক্স) ১৬০০ টাকা এবং মাজদূর ৫২০ করে ৫ কেজির বক্স বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ টাকায়।

বিপ্লব বলেন, আমরা প্রতি কেজি খেজুরে ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ এক টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারি। এর বেশি লাভ করার সুযোগ নাই। রমজান মাস এলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অতি-মুনাফার যে অভিযোগ আসে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত খুচরা ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ এক কেজি খেজুরে কমপক্ষে ১০০ টাকা থেকে ৩০০/৪০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে খেজুর খেতে পারছে না। এছাড়া সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স ডিউটি ফির কারণে খেজুরের দাম বেশি।

বাজার সিন্ডিকেট নিয়ে প্রশ্ন করলে মেসার্স নাবিল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আব্দুর রব বলেন, এক গাড়ি খেজুর ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকাও লাভ হয়নি। তাহলে বাজারে সিন্ডিকেট করল কীভাবে। তার দাবি, খেজুর ব্যবসায় কোন সিন্ডিকেট নাই। তবে সরকার যে ভ্যাট ১৫ শতাংশ কমানোর কথা তার কোন প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না। সময়মতো ভ্যাট না কমালে দাম কমানো সম্ভব নয়। তাছাড়া বর্তমানে যে খেজুর বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা গত বছরের অর্ডার করে জানুয়ারি মাসে দেশে আসছে। একটা অর্ডার দিলে তা আসতে অন্তত তিন মাস সময় লাগে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলমূলের বাজার বাদামতলীতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে যে কয়জন ব্যবসায়ী খেজুর আমদানি করেন তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম (মদিনা গ্রুপ), সিরাজ হাজী (সাথী এন্টারপ্রাইজ), মো. আল আমিন (শিফা এন্টারপ্রাইজ), সবুজ মিয়া (এস.কে ট্রেডার্স), মো. হুমায়ন হাজী (বন্ধু এন্টারপ্রাইজ), আলমগীর মিয়া (আনিকা এন্টারপ্রাইজ), মো. আক্তার (মারিয়া এন্টারপ্রাইজ), রাসেল আহমেদ (দেশ-বিদেশ এন্টারপ্রাইজ), মো. সাইদুর রহমান (জননী এন্টারপ্রাইজ), মো. কাইয়ুম খান টুটুল (টুটুল এন্টারপ্রাইজ)-সহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান।

খেজুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাথী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজ হাজীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে তারা খেজুর ব্যবসা নিয়ে চিন্তিত। তার দাবি, বর্তমান ডলারের রেট অনুযায়ী অনেকটা লসে বিক্রি করতে হচ্ছে খেজুর। তার প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে। সেখানে দেখা যায় আজকের বাজার দর অনুযায়ী, প্রকারভেদে দাবাস ১০ কেজি ৩৭০০ টাকা, দাবাস ৫ কেজি ২০০০, দাবাস (সিআর) ১০ কেজি ৪৫০০, দাবাস চিপস ৪২০০, লুলু চিপস ৪২০০, বারনী (প্রিমিয়াম) ১০ কেজি ৩০০০, বারনী (নরমাল) ১০ কেজি ২৯০০, খালাস ১০ কেজি ৩৩৫০, নাগাল ১০ কেজি ৩১৫০, ছায়ের ১০ কেজি ২৯৫০, জিহাদি ১০ কেজি ২৫৫০ এবং রেজিজ ১০ কেজি ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত কয়েক রমজানে খেজুরের দাম কম ছিল। দাম বাড়ানোর পেছনে ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে চলবে না। আপনারা গিয়ে এনবিআরকে জিজ্ঞেস করেন, কাস্টমসকে জিজ্ঞেস করেন। এক কেজি খেজুর কেনা ১১০ টাকা কিন্তু ২১০ টাকা কেন ডিউটি ফি দিতে হয়? এর উত্তর কে দেবে। দামটা বাড়ে কোথা থেকে। শুধু টেলিভিশনে বসে আর সেমিনার টকশো করে তো দাম কমানো সম্ভব না। ভ্যাট-ট্যাক্স ডিউটি ফি কত হিসাব আছে? আমরা তো লসে বেচতেছি। যারা দাম বৃদ্ধি নিয়ে বড় বড় কথা বলে তাদের একদিন দেন, ব্যবসা করতে দেখেন- তারা কী করে!

অতিরিক্ত মুনাফার অভিযোগের বিষয়ে খুচরা খেজুর ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে আমরা যে খেজুর আনি তাতে দশ কেজি খেজুরের মধ্যে তিন কেজি থাকে নরম, গলা। কখনো কখনো অর্ধেকের বেশি নষ্ট খেজুর থাকে। মাপেও অনেক সময় কম থাকে। তাছাড়া গাড়ি ভাড়া আছে। দোকান খরচ, কর্মচারী খরচ। সব খরচ বাদ দিয়ে তারপর লাভ করতে হয়। এতো হিসাব করেও মাঝেমধ্যে খালি হাতে বাসায় ফিরতে হয়।

তিনি বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা গড় পড়তায় সব খেজুর একসঙ্গে বিক্রি করে। গতবারের কেনা খেজুর এই বছর বিক্রি করে। তাও তারা বলে লাভ নাকি করে না।

অতিরিক্ত মুনাফার অভিযোগ নাকচ করে আল- আমিন নামে এক খেজুর ব্যবসায়ী বলেন, রমজানে খেজুরের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দায়ী মূলত পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কারণ গতবারের খেজুর এই বছর বিক্রি করলে দাম রাখছে বর্তমান মূল্যে। যে কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;