‘মানুষের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা রয়েছে, তাই যা চাচ্ছে তাই পাচ্ছে’
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Feb/22/1708605175912.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও বাজারে পণ্য পাওয়া যেতো না। এখন আমরা সেই সংকট থেকে বের হয়ে এসেছি। এখন মানুষের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি টাকা রয়েছে। তাই এখন মানুষ যা চাচ্ছে তাই পাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক যুগান্তরের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ‘দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা: উত্তরণের উপায়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। রোজায় যেনো সেই প্রভাব বাজারে না পড়ে সেজন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী এক মাসের মধ্যে প্রত্যেকটি চালের বস্তায় ধানের নাম ও নির্ধারিত মূল্য লিখে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি যেখানে কৃষি পণ্য উৎপাদনের খরচ, যৌক্তিক মূল্য এবং বাজার মূল্য কত তা দেখা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয় মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। আগে মানুষের কাছে টাকা থাকলেও বাজারে পণ্য পাওয়া যেতো না। সেই সংকট থেকে আমরা বের হয়ে এসেছি। কৃষিপণ্য, তেল, সুগার ইত্যাদি আমদানিকৃত পণ্যের দাম নিয়ে বিআইডিএস'র আরও গবেষণা করতে হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের রিজার্ভ নেই এটি সঠিক বক্তব্য নয়। আমাদের যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা চাপের বিষয় এতে সন্দেহ নেই। ৪৮ বিলিয়ন থেকে এটা ২০ বিলিয়নে এসেছে। আইএমএফের মানদণ্ড অনুযায়ী আগামী তিন মাসের আমদানির জন্য এ রিজার্ভ যথেষ্ট। আমরা যদি রিজার্ভ রেখে দিয়ে ভ্যাকসিন না আনতাম তাহলে কিন্তু দেশে আরও একটা দুরবস্থা তৈরি হতো।
এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কিন্তু সাড়ে তের লাখ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। এর কারণে আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি রমজানে আমাদের কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট থাকবে না। আমরা যদি আমদানি না করতাম তাহলে তো রিজার্ভ আরও বেশি থাকতো।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন, সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, দৈনিক যুগান্তরের অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।
দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা ও উত্তরণের উপায় বিষয়ক মূল প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর রিসার্চ ফেলো ড.বদরুন নেসা আহমেদ। তিনি বিভিন্ন চার্টের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণসমূহ, স্থানীয় বাজারের বর্তমান অবস্থা, দ্রব্য মূল্যের বর্তমান পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ বিষয়ক জরিপ উপস্থাপনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এমরান মাস্টার সহ আরো অনেকে।