ধুলাময় মহাসড়ক, সমাধানে নেই কোনো উদ্যোগ



অলোক সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠি, বার্তা২৪.কম
ঝালকাঠি-রাজাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ধুলাবালিতে একাকার। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝালকাঠি-রাজাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ধুলাবালিতে একাকার। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠি-রাজাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ধুলাবালিতে একাকার। এ কারণে প্রায় ২০ কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চমর দুর্ভোগ। এতে করে এই রুটের নিয়মিত যাত্রীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বিষয়টি সমাধানে নেয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। যেন দেখার কেউ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের সংস্কার কাজ ফেলে রাখায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগে আড়াইশ কোটি টাকার ২টি মেঘা প্রকল্প আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কালিজিরা থেকে ভান্ডারিয়া পর্যন্ত ৩৮ কি.মি. সড়ক ১৮ ফুট থেকে ২৪ ফুট চওড়া করে নির্মাণ ও রাজাপুর-কাঁঠালিয়া ও আমুয়া পর্যন্ত মহাসড়কের ৩১ কি. মি. ২৪ ফুট সড়ক প্রশস্তকরণের কর্মকাণ্ডে ঠিকাদারের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। এর মধ্যে এই ২০ কিলোমিটার সড়কে ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/10/1547102535124.jpg

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্স, ওরিয়েন ট্রেডার্স ও অহেদ কনস্ট্রাকশন ১২৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ও রানা বিল্ডার্সের পক্ষে ইসলাম ব্রাদার্স ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে।

প্রকল্পের ধুলা ব্যবস্থাপনার কথা মাথায় রাখেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে এই সকল প্রকল্পে ধুলা উড়তেই থাকছে। সড়কের চলমান উন্নয়নের মধ্যেই ঝাঁকুনি দিয়ে চলছে গাড়িগুলো, আর এতে উড়ছে ধুলা। ফলে সড়কের দোকানপাট, গাছ-গাছালিতে ধুলার আস্তর পড়ে আছে।

সড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১ বছর আগে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া ধীরগতির কাজ আর নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে ধুলায় নাকাল সড়কটি ও চলাচলকারী মানুষগুলো।

এই রুটের নিয়মিত যাত্রী পলাশ হোসেন বলেন, ‘চাকরির সুবাদে এই সড়ক থেকে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। রাস্তায় ধুলার কারণে আমাদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/10/1547102582978.jpg

আবুল হাসান নামে এক বাস চালক বলেন, ‘ধুলার কারণে আমাদের অসুস্থ হওয়ার মতো অবস্থা। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি দ্রুত এই সড়র সংস্কারের কাজ শেষ করা হোক।’

এ ব্যাপারে জানতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্সের প্রোপাইটর মাহফুজ খানের কাছে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসাইন জানান, গত বছরের মার্চ মাসে ওই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। উন্নয়ন কাজের ফলে সৃষ্ট ধুলা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রযুক্তি নেই। তবে নিয়মিত ঠিকাদারদের পানি ছিটানোর কাজটি করার জন্য তাগিত দেয়া হয়ে থাকে। ওই সড়কে সংশ্লিষ্টরা পানি ছিটানোর কাজটি ঠিকমতো করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

   

১৬ দেশ নিয়ে সিপিডির পর্যালোচনা

সর্বনিম্ন আয়ের বিপরীতে খাবারে সর্বোচ্চ ব্যয় বাংলাদেশে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংবাদ ব্রিফিং

সংবাদ ব্রিফিং

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রীলঙ্কায় মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে ৬৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি হলেও দেশটির খাবার বাবদ মাথাপিছু ব্যয় বাংলাদেশের মাত্র ৬৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মাথাপিছু প্রায় ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ আয় করা ভারতের মানুষের খাবার বাবদ গড় ব্যয় বাংলাদেশের মাত্র ৫৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, বাজারে প্রতিযোগিতার অনুপস্থিতি, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফালোভী প্রবণতার কারণে তুলনামূলক কম আয় সত্ত্বেও বাংলাদেশে খাদ্য বাবদ অস্বাভাবিক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে বলে মনে করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডাযালগ (সিপিডি)।

রোববার (২ জুন) সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বিশ্ববাজারে ১০৫ টাকা লিটারের সয়াবিন তেল দেশে ১৬৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইউরোপের বাজারে ৩৯ টাকা কেজি দরের চিনি দেশে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গরুর মাংসসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম দেশের বাজারে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি বলে তিনি মনে করেন।

দেশের অর্থনীতির হালনাগাদ চালচিত্র তুলে ধরতে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সিপিডি। সংস্থাটির নিজস্ব অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণা পরিচালক ছাড়াও গবেষণা ফেলো মুনতাসির কামালসহ অন্য গবেষকরা বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অনেক কম আয় করেও বাংলাদেশের জনগণকে বেশি দামে নিত্যপণ্য কিনে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির প্রবণতার কারণে দৈনন্দিন ব্যবহার্য ‍অনেক নিত্যপণ্য এক ধরনের বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের যথেষ্ট উদ্যোগ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সমস্ত উদ্যোগের কথা বিভিন্ন সময়ে ঘোষণা দেওয়া হয়ে থাকে, সেগুলোও বাস্তবায়ন হয় না।

তিনি বলেন, এখানে বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। কম্পিটিশন কমিশনের দুর্বলতা আছে। কম্পিটিশন এক্টেরও কিছু ধারা পরিবর্তন করতে হবে।মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের ট্যারিফ কমানোর পরামর্শ দেন মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, অনেক সময় কিছু পণ্যের ট্যারিফ কমানো হলেও এর সুবিধা ভোক্তারা পায় না। আমদানিকারকদের সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় পণ্যের দাম কমানোর বিষয়টি তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে।

তিনি আরও বলেন, এক সময় ৫-৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতির একটা কাঠামো থাকলেও দেশ এখন ৯-১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির কাঠামোতে চলে গেছে।

এত দিন পর্যন্ত যে দেশগুলোর দিকে আঙুল তুলে দেখাতাম, সেই শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বেশি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা সরকারের একটা বড় ব্যর্থতা।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ১৬টি দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় খাদ্য বাবদ এক বছরে জনপ্রতি ব্যয়ের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন মোয়াজ্জেম।

তালিকায় দেখা গেছে, জর্ডান, মরক্কো, বলিভিয়া, উজবেকিস্তান, লাওস, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, তিউনিশিয়া, ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কাসহ ১৬টি দেশের মধ্যে মাথাপিছু আয় বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। তবে এক বছরে ব্যয় বাবদ একজন নাগরিককে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয়।

;

নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ হয়েছে। এই সরকার প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত '৪র্থ জাতীয় সম্মেলন' এ নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। তিনি নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের সহযোগিতা দান, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রেরণের মাধ্যমে নারীর সার্বিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রবাহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দীর্ঘ ২৪ বছরের পথচলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক অনন্য অর্জন। তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি নিরসনে সংগঠনটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা, ফেক নিউজ চিহ্নিত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সহযোগিতা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এর সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী, তদন্তে কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্রসহ দরকারি সব কাগজপত্র পেয়েও ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন গেছেন মালয়েশিয়ায়। সে হিসেবে কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যেতে না পারার কারণ খুঁজতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির কাছে ভুক্তভোগীদের যে কেউ অভিযোগ করতে পারে, বলেন তিনি।

বিপুল সংখ্যক এই কর্মী না যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটভুক্ত ১০০টি এজেন্সি দায়ী, যার মধ্যে ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে– এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যিনি বা যারা দায়ী থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমপি চিনি না। তাদের সাথে কোন ডিল নাই। আমরা শুধু এজেন্সিকে কাজ দিব।

ভবিষ্যতে আবার সিন্ডিকেট হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। যে দেশ কর্মী নেবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্সি কর্মী পাঠায়। আমরা চাই আমাদের নিবন্ধনকৃত আড়াই হাজার এজেন্সির সবাই যেন কর্মী পাঠাতে পারে।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

;

আদাবরে চাঁদা না পেয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা যুবলীগ নেতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবর থানার ১৬ রোড এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক চা-দোকানির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

অনুসারীদের দিয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা করিয়েছেন যুবলীগের ওই নেতা। এ সময় চা-দোকনি ও তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলা নির্দেশদাতা যুবলীগ নেতার নাম- আব্দুর রাজ্জাক। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আদাবর ১৬ নম্বর কাঁচা বাজারের সামনে চা দোকানদারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী চা-দোকানি সেদিন বিকেলে আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রোববার (২ জুন) এ তথ্য প্রকাশ পায়।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগী চা-দোকানি তোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি আদাবর ১৬ নম্বর ব্রিজের ওপর চা দোকান বিক্রি করি। পাশাপাশি আমার কয়েকটা রিকশা আছে। সেগুলো দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই।

কয়েকদিন আগে আমার দোকানে যুবলীগ নেতা রাজ্জাক ও তার সহযোগী সোহাগসহ কয়েক জন এসে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চান।

দোকান চালাতে হলে এককালীন ২০ হাজার টাকাসহ প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে বলেন।

এরপর শুক্রবার দুপুরের নামাজের আগে রাজ্জাকের অনুসারী সোহাগ, শাকিল, শাকিলের বোনের স্বামী ‘অটো জামাল’সহ প্রায় ৭০-৮০ জনের একটি বিশাল দল আমার এক রিকশাচালককে রিকশাসহ আটক করে মারধর করেন। আমি রিকশাচালককে বাঁচাতে গেলে আমাকেও আটকে মারধর করা হয়।

এ সময় আমার চিৎকার শুনে স্ত্রী রাশিদা বেগম, ছেলে রাসেলসহ স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পাশেই কাঁচা বাজারের তিন চারজন দোকানদার আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে।

যারা আমার ওপর হামলা করেছেন, তারা সবাই ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগী ও কিশোর গ্যাং সদস্য।

এ ঘটনায় আমি থানায় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় হাসপাতালের কাগজপত্রসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি।

এমন নৃশংস হামলার পরও পুলিশ নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। হামলার পর শুক্রবার রাতে রাজ্জাক আমার দোকানে এসে আবারও আমাকে হুমকি দিয়ে যায়।

ওই সময় বলে যায়, ‘আজকে মাল (ধারালো অস্ত্র) ছাড়া পোলাপাইন হালকার ওপর দিয়ে গেছে। এরপর আবার আসতে হলে হাত-পা, মাথা আলাদা করে দিয়ে যাবে। তার আগেই টাকা রেডি রাখ’।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, অন্য একটি ঘটনা সমাধান করতে আমাকে আদাবর থানার এক এসআই ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার সঙ্গে তোফাজ্জল হোসেনের কোনো বিরোধ নেই।

চাঁদা দাবির বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো চাঁদা চাইনি। এমন কী কোনো ছেলেকে আমি তার কাছে পাঠাইনি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে, আমি আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেবো।

ঢাকা মহানগর উত্তর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। মারামারির খবর আমরা পেয়েছি। তবে এ বিষয়টি সমাধান করার জন্য সন্ধ্যার পর আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবো।

এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল হক জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।

;