সিরিয়াল প্রতারকের খপ্পরে নারী ক্রিকেটাররা, অবশেষে ধরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিরিয়াল প্রতারকের খপ্পরে নারী ক্রিকেটাররা, অবশেষে ধরা

সিরিয়াল প্রতারকের খপ্পরে নারী ক্রিকেটাররা, অবশেষে ধরা

  • Font increase
  • Font Decrease

আল আমিন ওরফে আযান। এক সময়ে ছিলেন কাপড়ের দোকানের কর্মী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় কর্মীর কাজ করা আযান নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা। এই পরিচয় ব্যবহার করে ২০১৫ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের টার্গেট করে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ছবি ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল আবার কখনো বিয়ে করে হাতিয়ে নিতেন টাকা পয়সাসহ সর্বস্ব। এরপর আত্মগোপনে গিয়ে বন্ধ করে দিতেন সকল যোগাযোগের পথ। 

তার এমন অভিনব প্রতারণার শিকার হলেন কয়েকজন নারী ক্রিকেটার। রাজধানীর রাজাবাজার থেকে জাতীয় দলের কয়েকজন নারী ক্রিকেটারের মালামাল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১৩ ও র‌্যাব-২-এর যৌথ অভিযানে দিনাজপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে ৪টি আইফোনসহ ৫টি মোবাইল ফোন, প্রাইম ব্যাংকের একটি চেক বইয়ের পাতা, প্রাইম ব্যাংকের একটি মাস্টার কার্ড, বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রা, ৩টি হাত ঘড়ি, ৪টি চেইন, ১টি নোজপিন, ১টি ব্রেসলেট, ২টি আংটি ও ১টি হ্যান্ড ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার ও তার সতীর্থ খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলনকালে তার ব্যবহৃত দুটি আইফোন চুরি হয়। একইদিনে তার বাসা থেকে সাড়ে ৩ হাজার মার্কিন ডলার, ব্যাংকের চেক বই ও ভিসা কার্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় ক্রিকেটার স্বর্ণা আক্তার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হয়। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র‌্যাব।

গ্রেফতার আযানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার মঈন বলেন, তিনি মূলত প্রতারণার টার্গেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি খুলে নিজেকে কখনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, আবার কখনো বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে সুন্দরী নারীদের আকৃষ্ট করত। এজন্য সে নিয়মিত বিভিন্ন স্টাইলে ছবি পোস্ট করতো। এছাড়াও নিজেকে প্রদর্শনের জন্য টিকটক ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করতো।

এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুন্দরী নারীদের সঙ্গে কৌশলে সম্পর্ক গড়ে তুলতো। পরবর্তীতে ওইসকল নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করে নিয়মিত তাদের সঙ্গে দেখা করতো। অনেক ক্ষেত্রে কোনো নারীকে বিয়ে করে বা বিয়ে না করে সুবিধাজনক সময়ে তাদের নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে কৌশলে আত্মগোপনের জন্য অন্য এলাকায় অবস্থান করতো। এসময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে তার সংশ্লিষ্ট ফেসবুক আইডি ডিলেট করে দিতো। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিছুদিন পরে আবার সে কারো সঙ্গে প্রতারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেকটি আইডি খুলে একই কাজ করতো।

একই টার্গেট নিয়ে গ্রেফতার আল আমিন নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তার পরিচয় ও বর্তমানে ছুটিতে অবস্থান করে কাপড়ের ব্যবসা করছে বলে একজন নারী ক্রিকেটার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত হয়। পরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে পরিচয়ের ১৭ দিনের মাথায় গত ১২ জানুয়ারি গ্রেফতার আল আমিন ওই নারী ক্রিকেটারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

জাতীয় ক্রিকেট দলের নারী অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ওই নারী ক্রিকেটারসহ ৪ জন প্রায় তিন বছর ধরে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছিলেন। কৌশলে ওই নারী ক্রিকেটারকে বিয়ের সূত্র ধরে গ্রেফতার আল আমিন ওই ফ্ল্যাটে নতুন স্ত্রীকে নিয়ে একটি আলাদা রুমে বসবাস করতে থাকে। এসময় প্রতারণার জন্য সে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ব্যবসায়ীক বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কৌশলে বিভিন্ন সময় তাদের কাছ থেকে পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার স্বর্ণা ও তার ৩ জন রুমমেটসহ সতীর্থ খেলোয়াড়দের নিয়ে রাজধানীর তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে অনুশীলনে যান। এসময় গ্রেফতার আল-আমিন বাসায় অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে পরিকল্পনা অনুযায়ী অলরাউন্ডার স্বর্ণার রুমের ওয়ারড্রবের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ডলার, ১টি চেক বই, ভিসা কার্ড, তার রুমমেট অন্য নারী ক্রিকেটারের ব্যাগ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা ও তাদের ব্যবহৃত ব্যাগ করে নিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে তেজকুনীপাড়া খেলাঘর মাঠে আসে। এসময় তাদের অনুশীলনের ভিডিও করার কথা বলে অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তারের ব্যবহৃত আইফোন দুইটি ব্যাগ থেকে নিয়ে কিছুক্ষণ ছবি তুলে কৌশলে মাঠ থেকে পালিয়ে যায়। 

পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আল আমিন স্বর্ণা আক্তারের ব্যবহৃত একটি আইফোন রাজধানীর একটি পুরাতন মালামাল বিক্রির মার্কেটে ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে বাসযোগে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে প্রথমে রংপুর গিয়ে রাতে হোটেলে অবস্থান করে। পরেরদিন রংপুর থেকে দিনাজপুর হোটেলে অবস্থান করে। অনুশীলন শেষে স্বর্ণা আক্তার গ্রেফতার আল আমিনকে দেখতে না পেয়ে অন্য নারী ক্রিকেটারের মোবাইল থেকে ব্যবহৃত মোবাইল দুটিতে ফোন করলে ফোন দুইটি বন্ধ পায়। পরবর্তীতে তারা বাসায় ফিরে ফ্লাটের মূল দরজা লক করা অবস্থায় খেতে পায়। এসময় বাসার দারোয়ানের সহযোগিতায় তালা ভেঙ্গে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে রুমের সমস্ত জিনিসপত্র এলামেলো অবস্থায় দেখতে পায়।

র‍্যাবের মুখপাত্র আরও বলেন, গ্রেফতার আল-আমিন ২০১১ সালে রাজধানীর একটি স্কুল থেকে এসএসসি সম্পন্ন করেছে বলে জানায়। সে ইতোপূর্বে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে কাপড়ের দোকানে চাকরি করতো। পরবর্তীতে ২০১৬/২০১৭ সাল থেকে নারীদের সঙ্গে প্রতারণাসহ অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করা ও বিভিন্ন ধরণের প্রতারণা করতে থাকে। প্রতারণার পর পার্শ্ববর্তী দেশে আত্মগোপনে চলে যেতো। সে ২০২২ সালে প্রথম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর আগে বেশ কয়েকজন নারীর সঙ্গে তার প্রতারণা করার বিষয়ে প্রথম স্ত্রী জানতে পারলে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এ ঘটনার পর সে এবারও পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে রংপুর হয়ে দিনাজপুরে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার হয়।

তার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন থানায় ৪টির বেশি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় সে তিনবার বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছেন।

   

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের তাগিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড় ও দুর্যোগ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য সুপারিশ করেছে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় সিকদার রিপোর্ট ও ভিলা'র কনফারেন্স রুমে জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র তৃতীয় বৈঠক এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি আ, স, ম, ফিরোজ এমপি’র সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মোঃ মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মোশতাক আহমেদ রুহী, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আবদুর রশীদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

এসময় বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, উপকূলীয় ও ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এবং মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

পাশাপাশি বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নীতিমালার আলোকে মুজিব কিল্লায় স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং সঠিকভাবে রক্ষনাবেক্ষণ করার জন্য কমিটি কর্তৃক সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে পুনরায় সুপারিশ করা হয়।

সেই সাথে কমিটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি টুঙ্গিপাড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপারিশ করে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনে। এসময় ৩১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জনে।

শনিবার (১৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জন।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

;

‘তথ্যের দরকার হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একশবার যাবেন, বাধা নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা নেই বলে মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেছেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন।

শনিবার (১৮ মে) গ্রাহকদের ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পঞ্চগড়ে ‘গ্রাহক সচেতনতা সপ্তাহ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য দেওয়ার জন্য তিনজন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছি উল্লেখ করে ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম বলেন, আপনার তো তথ্যের দরকার, একশবার যাবেন। সবার তো কথা বলার দরকার নাই। তিনজন মুখপাত্র আছে। তাদের কাছে যাবেন। সেখানে বসার জায়গা আছে। চায়ের ব্যবস্থা আছে। তারা যদি আপনাকে সন্তুষ্ট না করতে পারে আমরা চারজন ডেপুটি গভর্নর আছি আমরা আপনাকে উত্তর দেবো। সমস্যা কোথায়? তাও বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশ নিষেধ।

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, অবাধ বলতে কি? আপনার একটা প্রাইভেট কোম্পানি কি আরেকটি কোম্পানিকে অবাধে কোন কিছু দেবে? সাংবাদিককে দেবে যতোই বন্ধু হন?। তাহলে আপনি বলছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা অবাধে যেতে চান। আমিতো যেতে নিষেধ করি নাই। আপনি যান না। আমার লোকজন আপনার জন্য রেডি হয়ে আছে। যদি কোন কর্মকর্তার কাছে একাই যেতে চান, যান। ধরুন আমার কাছে একাই আসতে চান, আসুন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ দেশের মঙ্গল, আমাদেরও তাই। দেশটা সবার। বঙ্গবন্ধু এটাই বলেছিলেন। এদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তি। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেন, আমি ১৭টা ডিপার্টমেন্ট চালাইতে হিমশিম খাই। আর প্রধানমন্ত্রী দেশ বিদেশ সামলাচ্ছেন। কি পরিমাণ পরিশ্রম করছেন তিনি ভাবতে পারেন।

ডেপুটি গভর্নর খুরশিদ আলম আরও বলেন, এবছর ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হবে। যারা অপ্রচার চালাচ্ছে তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে রোল মডেল। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পেছনে তাকানোর সময় নেই। মানুষের আয় বেড়েছে। অনেকে না জেনে বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

;

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

নারী স্পিকারদের সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর অনবদ্য প্লাটফর্ম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্টে নারী স্পিকারদের সম্মেলন লিঙ্গ সমতা আনয়ন, লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি বলেন, এই সম্মেলন বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এক অনবদ্য প্লাটফর্ম।

শুক্রবার (১৭ মে) অপরাহ্নে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সদর দপ্তরে ‘প্রিপারেটরি কমিটি ফর দ্য ফিফটিন্থ সামিট অব উইমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ড. টুলিয়া অ্যকশন এবং সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগংসহ বিভিন্ন দেশের স্পিকাররা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল বিভিন্ন দেশের সংসদের স্পিকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। স্পিকাররা একটি অভিন্ন প্লাটফর্মের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সমাধান খুঁজে বের করতে পারেন।

স্পিকার বলেন, বিগত সম্মেলন গুলোতে লিঙ্গ সমতা, নারী নেতৃত্ব এবং নারীর ক্ষমতায়নের ওপর প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। ১৫তম নারী স্পিকারদের সম্মেলনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নারীদের সার্বিক উন্নয়নে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম. এ কামাল বিল্লাহ ও যুগ্মসচিব মো.এনামুল হক উপস্থিত ছিলেন। 

;