'শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়, এজন্য বিএনপি ভয় পেয়ে গেছে'



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'হাসিনার সাথে কেউ নির্বাচনে এসে পারবে না। কারণ শেখ হাসিনাকে জনগণ চায়। এজন্য এরা (বিএনপি) ভয় পেয়ে গেছে। কারণ তারা দেখেছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। তারা মানুষের কথা বলে না। মানুষের গায়ে যেগুলো লাগে, সেগুলো নিয়ে কথা বলে না। তারা বুঝে তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে।' 

মন্ত্রী বলেন, 'তাদের নেত্রীকে শেখ হাসিনার সরকার জেলে পাঠায়নি। তাদের প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার জেলে পাঠিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারবো না।' 

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে তাদের (বিএনপির) মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নাই। তারা শুধু তাদের মুরব্বীকে খুশি করতে চায়। এদেরকে কেউ কী মানুষ বলে? এরা তো অমানুষ। এতো মানুষ মারা যাচ্ছে, সব ধরণের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠছে। কিন্তু এরা একটি কথাও বলে না' ।

মন্ত্রী আরও বলেন, 'কিছু বিপথগামী লোক নির্বাচন বানচাল করতে চায়। কারণ তারা নির্বাচনে এলে ভোট পায় না। তারা ২০০৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে ২৯টি আসন পেয়েছে। এরপর ২০১৮ সালে নির্বাচন করে ৭টি আসন পেয়েছে। তারা এবার হিসেব করে দেখেছে নির্বাচনে এলে কোনো ভোট পাবে না। তাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়।' 

বিনামূল্যে সবজির বীজ দেন পাবনার ‘সাইকেল বাদশা’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পাবনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশায় তাঁত শ্রমিক হলেও কাজের ফাঁকে আশেপাশের গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ করেন পাবনার সাইকেল বাদশা। দেন রোপণ ও পরিচর্যার পরামর্শও। এ যেন প্রায় শতবছর বয়সী নাটোরের সেই পলান সরকার। যিনি পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসতেন। তবে সাইকেল বাদশা দেন সবজি বীজ, পার্থক্য এটুকুই।

পাবনার বেড়া উপজেলা সদর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে জগন্নাথপুর গ্রাম। এই গ্রামের দরিদ্র তাঁত শ্রমিক বাদশা আলম (৪৫)। নামে যেমন বাদশা, মনেও তিনি বাদশা। সব সময় তার মনে উঁকি দেয় কি করে মানুষের ভালো করা যায়। এ জন্য তিনি ভাঙাচোরা একটি সাইকেল নিয়ে প্রায়ই বেড়িয়ে পড়েন বেড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে সবজির বীজ বিতরণ করেন পাবনার সাইকেল বাদশা। সাইকেলের হ্যান্ডেলে ও তার নিজের গলায় ঝোলানো থাকে বিভিন্ন সবজি-বীজ ভর্তি বোতল। বিনামূল্যে সেই বীজ পতিত জমি রয়েছে এমন পরিবারের মানুষের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। কিভাবে বীজ বপণ করতে হয় তা-ও শিখিয়ে দেন। কখনও কখনও নিজের খরচে বাল্য বিবাহ ও যৌতুক বিরোধী লিফলেট ছাপিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করেন। এ জন্য ইতিমধ্যেই তিনি মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন ‘সাইকেল বাদশা’ নামে।

সচেতনতা বাড়াতে নানা শ্লোগান লিখে সাইকেলের সামনে পিছনে সেঁটে দিয়েছেন সাইকেল বাদশা। 

পরিবারের ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই বাদশা অন্যদের চেয়ে আলাদা। গ্রামের কেউ কোনো বিপদে পড়লে সবার আগে ছুটে যাওয়া তার নেশা। কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে, ওষুধ কিনে আনার দরকার হলে বা বাজার থেকে জরুরী কোনো জিনিসের প্রয়োজন হলে ছুটে গিয়ে তা করে দেন বাদশা। এভাবেই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয়পাত্র। তিনি নিজেই ছন্দ মিলিয়ে সমাজ সচেতনতামূলক নানা শ্লোগান লিখে গ্রামের বিভিন্ন স্থানে সেঁটে দিতে থাকেন। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর পরিধি। এর পর আর্টিস্ট দিয়ে টিনের ওপর সাইনবোর্ড আকারে বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও মাদকবিরোধীসহ সচেতনতামূলক নানা শ্লোগান লিখিয়ে গ্রামের বাইরেও সাঁটতে শুরু করেন। প্রায় বছর পনের আগে একটি সাইকেল কিনে তাতেই শুরু করেন মানুষকে সচেতন করার প্রচারণা। আর সেই প্রচারণার সঙ্গে সবজির বীজ বিতরণের কর্মকাণ্ডটি যুক্ত হয়েছে দশ বছর ধরে। ওই সময় থেকে তিনি বিনামূল্যে বিভিন্ন এলাকায় বীজ বিতরণ করে আসছেন। বিনামূল্যে বীজ বিতরণের জন্য এলাকার সবজিচাষির অনেকেই তাকে ভালোবাসেন। দেশের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক হানিফ সংকেত ২০১৭ সালে তাকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে পুরস্কৃত করেন।

চাষিদের অনেকেই বাদশার বিনামূল্যে বীজ বিতরণের কথা জানেন। তারাই বীজ উৎপাদনের সময় বাদশার জন্যও বেশি করে উৎপাদন করেন। সেখান থেকেই বিনামূল্যে মেলে বীজ। এর পর সেই বীজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন বোতলে ভরে প্রতি মঙ্গলবার তাত বুনানোর সাপ্তাহিক ছুটির দিন তিনি বেরিয়ে পড়েন বিতরণ করতে। গত দশ বছরে তিনি বেড়ার অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক শ' বাড়িতে বীজ বিতরণ করেছেন। তিনি সবাইকে শিখিয়ে দেন কি করে কোন জায়গায় বীজ বপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কখনও কখনও তিনি নিজেই বিভিন্ন বাড়ির পতিত জায়গা খুঁজে বীজ বপণ করেন। বাদশা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। ইচ্ছা থাকলেও দারিদ্রতার জন্য তিনি বেশি দূর আগাতে পারেননি। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। তাঁত শ্রমিকের কাজ করে প্রতিদিন আয় করেন গড়ে ৪০০ টাকা।

বাদশা জানান, যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম আমার মা পাড়ার সবাইকে লাউ, কুমড়া, শাক বীজ সহ অনেক রকম বীজ দিত। সেই থেকেই বিজ বিতরণ করা, গাছ লাগানো আমার নেশায় পরিণত হয়। কাজের ফাঁকে সাইকেল আর বীজ নিয়ে বের হই। আমার চাওয়া চারিদিক সবুজে ভরে উঠুক। পাশাপাশি ফাঁকা জমিকে কাজে লাগিয়ে অন্তত ব্যক্তিগত চাহিদা মিটুক।

হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরকার বাদশার ব্যাপারে জানান, বাদশা তার সীমিত সামর্থ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনে অসামান্য ভূমিকা রাখছে। তার অবদানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সবুজে ভরে উঠছে।

বেড়া উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার নুর আলম বলেন, আমরাও সাইকেল বাদশার বিনামূল্যে বীজ বিতরণের বিষয়ে জানি। উনার এই মহতী উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ওনার যদি বীজ বিতরণের ক্ষেত্রে কোন সহয়তা দরকার হয় উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ হতে যতটুকু সম্ভব তাকে সহায়তা করা হবে।

;

চট্টগ্রামে আজ ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল



স্টাফ কসেরপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যান্য জেলার মতো বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও চলছে সরকার ঘোষিত কারফিউ।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ছে।

চট্টগ্রাম জেলায় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ জুলাই) দুইদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। এ তিনদিন সকাল থেকেই নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হন নগরবাসী।

কারফিউ শিথিলের সময়ে মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। সকাল থেকে নগরে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।

;

আন্দোলনে আহত শ্রমিকের চমেক হাসপাতালে মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় চাঁদপুরে আহত আবদুল মজিদ (২০) নামে এক পরিবহন শ্রমিক চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আবদুল মজিদ পরিবহন শ্রমিক ছিলেন। চাঁদপুরে একটি গণপরিবহনের হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই চাঁদপুরে আহত হন মজিদ। সেখানে সহিংসতার ঘটনায় তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় এ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

;

র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০

র‍্যাবের অভিযানে রাজধানীসহ সারাদেশে গ্রেফতার ২৯০

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত মোট ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার (২৭ জুলাই) র‍্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সহিংসতা-নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নাশকতার অভিযোগে ঢাকায় ৭১ জন ও ঢাকার বাইরে ২১৯ জনসহ সারা দেশে মোট ২৯০ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। 

;